বর্তমান দেশীয় প্রেক্ষাপটে জীবন যাত্রার ধারাবাহিকতায় জন্ম নিবন্ধন অতীব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে একটি।সাধারণত দেশের প্রতিটি সিটি এবং উপজেলায় স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিত্বে জন্ম নিবন্ধন সেবা দেওয়া হয়।
কিন্ত অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রদানকৃত সেবায় জণসাধারণ নির্ভূলতা পাচ্ছেন না।যা নির্ভূলভাবে হওয়া জরুরী।সুতরাং, জন্ম নিবন্ধন তথ্যাদি নির্ভূলতা এবং জীবন সহজতর করার জন্য আজকের এই অনুচ্ছেদটি।আশা করছি,এটির মাধ্যমে পাঠকরা উপকৃত হবেন।
বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এক অনন্য আর্শীবাদ হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে।গ্লোবাল ভিলেজ এখন বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিত অব্যয়।গ্লোবাল ভিলেজের বদৌলতে পৃথিবীত মানুষের হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিয়েছে।গ্লোবাল ভিলেজের প্রবর্তক হলেন কানাডিয়ান দার্শনিক এবং লেখক হার্বাট মার্শাল।বিশ্ব জুড়ে অনলাইনের ব্যবহার গ্লোবাল ভিলেজের একটি অংশমাত্র।
গ্লোবাল ভিলেজের কারনে বর্তমান সময়টা অনলাইনের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে।এই শতাব্দীর বেশিরভাগ কাজই সহজভাবে অনলাইনের সাহায্যে হয়ে থাকে।এতে করে যেমন কোনো কাজ সম্পন্ন করতে যেমন কায়িক শ্রমের দরকার পড়ছে না,তেমনি নির্ভৃলতার পাশাপাশি তুলনামূলক কম সময়ে কাজটি হাসিল হচ্ছে।এছাড়াও অনলাইন ভিত্তিক কাজ গুলো যেকোনো সময় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে করা যায়। সারা বিশ্বের সব দেশের মতো বাংলাদেশেও এর বিপরীত কিছু ঘটে না।বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়ে গেছে।স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের জনগণ নিজস্ব গন্ডির ভিতরে থেকেই অনলাইন ভিত্তিক সেবা গ্রহণ করতে পারছে।
আমাদের আজকের অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু হলো জন্ম নিবন্ধন।দেশে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু এবং বিশেষ অর্থে প্রতিটি নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয়পত্র।কোনো শিশুর জন্মের ৪০ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা উচিত।শিশুকে স্কুল ভর্তি করানো থেকে শুরু করে চাকরী,জমি-জমা,বিবাহ সকল ক্ষেত্রেই জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার স্হানীয় সরকারের সাথে জন্ম নিবন্ধন সেবা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।অনলাইন ভিত্তিক সেবা এ সুযোগকে আরো সহজতর করে তুলেছে।ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রেরিত তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যায়।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর নিয়ম
অনলাইনে পারদর্শিতা থাকলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা খুব কঠিন কাজ নয়।ডাটা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই গ্রাহক অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।যেমন-
ধাপ ১ :জন্ম নিবন্ধনটি আপনার হতে নিন।জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রেজিস্ট্রেশন নম্বর।আপনার হাতের জন্ম নিবন্ধনে আপনি ১৭ ডিজিটের একটি নম্বর দেখতে পাবেন।এটি হলো রেজিস্ট্রেশন নম্বর।অনলাইন যাচাই করতে গেলে এই নম্বরটি আপনার অবশ্যই লাগবে।এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের পাশাপাশি জন্ম তারিখও লাগবে।
ধাপ ২-https//everify.bdris.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটি ভিজিটের মাধ্যমে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারেন।এটি জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
ধাপ ৩– ওয়েব সাইটটি ভিজিটের পর আপনার কিছু তথ্য চাইবে।এখানে আপনাকে আপনার জন্ম রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে সাবমিট করতে হবে।তথ্য দুইটি নির্ভূলভাবে সাবমিট করলে স্ক্রিনে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনটি দেখতে পাবেন।
এই প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই অনলাইনে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন টি যাচাই করতে পাযেন।তবে অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি নাও আসতে পারে।
এবার জানাচ্ছি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি না আসার কারণ
মূলত ৩টি কারণে অনলাইনে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনটি খুঁজে নাও পেতে পারেন।কারণ ৩টি –
১.ভূল রেজিস্টেশন নম্বর।
২.ভূল জন্ম তারিখ।
৩.জন্ম নিবন্ধন ডাটাবেইজে না থাকা।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কোনো প্রকার কোনো টাকার প্রয়োজন হয় না।শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন সম্বিলিত একটি অ্যানড্রোয়েট ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি যাচাই করতে পারবেন। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন থাকলে অনেক কাজ আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।যেমন:ভর্তি ফোরাম,ই-পাসপোর্ট ইত্যাদি।
আমাদের আজকের অনুচ্ছেদটি অনূকরণ করলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন ভিত্তিক জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।এটা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়।যারা অনলাইনে পারদর্শি নন,তারাও একটু চেষ্টা করলে সহজেই কাজটি করতে পারবেন।এতক্ষন আমাদের সাথে থেকে অনুচ্ছেদটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।