অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ! বন্ধুরা আজকে আমরা চলে আসলাম আর একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। আমরা আজকে জানবো অ্যালোভেরার জেল সম্পর্কে। অ্যালোভেরা জেল যে সব রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পোস্টটি পুরোটি পড়ুন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ব্যবহার বেশ কয়েক শতাব্দী ধরেই হয়ে আসছে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে আরো অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। বর্তমানে যে হারে ক্যান্সার সহ আরো অন্যান্য রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের কারণে এক দিকে বাড়ছে ফুসফুসের নানা রোগ, অন্যদিকে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন। নানাবিধ নেশার প্রতি আকর্ষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়ার কারনে শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজ এবং উচ্চ রক্তচাপের মত মারাত্মক রোগ।
এরকম ভয়ংকর পরিস্থিতিতে শরীরকে যদি রোগের হাত থেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন অ্যালোভেরার জেল খাওয়া শুরু করুন। আমরা সকলেই জানি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তাহলে,
১/ ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব দূর হয়
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেলে শরীরের মধ্যে ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘাটতি পূরণ হয়।
এন্টিঅক্সিডেন্ট হলো সেই উপাদান যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যালোভেরার জেলকে যদি তুলসী, করলা অথবা আমলকির রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আরো অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শরীরের ভিতরে এবং বাহিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়বেই পাশাপাশি ছোট বড় কোন রোগ শরীরের মধ্যে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে না।
২/ এন্টিঅক্সিডেন্ট
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে পেটের মধ্যে গ্যাসটিকের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি আমরা অনেকেই তেল জাতীয় খাদ্য খেতে পারি না। কেননা আমাদের বদহজম থাকা এর একটি প্রধান কারণ। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন অ্যালোভেরার রস খেতে হবে।
কেননা এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে বদহজমের মতন রোগ আপনার ধারের কাছে ঘেষতে পারে না। সেইসঙ্গে গ্যাস বা এসিডিটি ও অন্যান্য পেটের সমস্যা গুলো কমতে শুরু করে।
৩/ শরীর থেকে সব বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘুম থেকে উঠে অ্যালোভেরার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের প্রতিটি কোনায় অবস্থানরত ক্ষতিকর টক্সিন উপাদানগুলো বের করে দিতে সহায়তা করবে।
শরীরের মধ্যে যদি টক্সিন উপাদান গুলোর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে শরীরের কার্যক্রম বা কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যার ফলে নানাবিধ রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করে।
৪/ অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমানো
অ্যালোভেরা জেল এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে একাধিক উপাদান মানব শরীরে প্রবেশ করার পর এমন পরিবর্তন নিয়ে আসে যে, লোহিত রক্ত কণিকার উপাদান বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে যে সমস্ত ব্যক্তির অ্যানিমিয়া রোগ রয়েছে ঐ সমস্ত ব্যক্তি খুব সহজেই সুস্থ হয়ে ওঠে।
৫/ হরমোনাল ইমব্যালেন্স দূর করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল খাওয়া শুরু করলে দেহের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে, যার প্রভাবে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করে।
ফলে হরমোনাল ইম্বুলেন্স হওয়ার মতো সমস্যা ধারের কাছেও ঘেষতে পারে না। এছাড়া পেন কিলার্স এর মত নানা রকম শারীরিক সমস্যা এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মাধ্যমে সমাধান করা হয়ে থাকে।
৬/ বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে
আপনি যদি সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই এলোভেরার রস খেতে কখনোই ভুলবেন না। কেননা এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সর্দি কাশি থেকে শুরু করে ছোট বড় কোন রোগ শরীরের মধ্যে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে না। সেই সঙ্গে যে কোন সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না বললেই চলে।
বন্ধুরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি অ্যালোভেরার রস খেলে মানব শরীরে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে। আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। আপনার কাছে যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। এরকম প্রাকৃতিক ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ গাছগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের পরবর্তী পোস্টটি ফলো করুন ধন্যবাদ।