আইপিএল ট্রফির দাম কত! আইপিএল হল ক্রিকেট ভিত্তিক ফ্রাঞ্চাইজি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি টুর্নামেন্ট। যেখানে বিশ্বের সকল দেশের ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করে। আর এই উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে ক্রিকেট বিশ্বের অনেক ক্রিকেটার।
কেননা এখানে যেমন টাকার ঝনঝনানি রয়েছে ঠিক একই ভাবে আইপিএল থেকে অনেক ক্রিকেটার তার কেরিয়ারের সর্বোচ্চ শীখরে অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছে। আর এসব কারণে আইপিএলে অংশগ্রহণ করাটাকে অনেক ক্রিকেটার স্বপ্ন হিসেবে দেখে।
আইপিএল মানে গাড়ি গাড়ি টাকা। আর এই কোটি কোটি টাকার মাঝে চ্যাম্পিয়ন দল কত পাবে সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমবেশি সকলেরই থাকে। কারণ যেখানে দলগুলো তাদের সকল প্লেয়ারদের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেখানে এই টুর্নামেন্টের প্রাইজ মানি কত হতে পারে এটি সকলের কাছে জানার একটি মূল আগ্রহ হতেই পারে। আজকে আমরা জানব আইপিএল ২০২৪ এর প্রাইস মানি কত সে সম্পর্কে।
আইপিএল প্রাইজমানি ২০২৪
আইপিএল সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে ৮টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আইপিএল ট্রফির দাম কত। শুরুর দিকে আইপিএল বর্তমানের মতো এত জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ছিল না।
কিন্তু বিসিসিআই এই টুর্নামেন্টটিকে ধীরে ধীরে জমজমাট এবং আকর্ষণীয় করতে সক্ষম হয়েছে বলাই যায়। কেননা আমরা লক্ষ করলে দেখব বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো যেরকমভাবে জাগজমক পূর্ণ হয়ে থাকে আইপিএল তার ব্যতিক্রম নায়।
আইপিএল ট্রফির দাম কত এমনকি বিশ্বের মধ্যে সম্প্রচার সত্য দিয়ে আইপিএল ষষ্ঠতম অবস্থানে উঠে এসেছে। যা তার জনপ্রিয়তাকে প্রকাশ করে। এমনকি আইপিএল ২০২৩ থেকে ২০২৭ সম্প্রচার সত্য বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার ৫০ কোটি রুপিতে। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সম্প্রচার সত্য বিক্রি করে আয়। আর এত কিছুর পরে আইপিএল ট্রফির দাম জানার আগ্রহ সকলের মনে জাগবে এটাই স্বাভাবিক।
বিসিসিআই ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে আইপিএল ২০২৪ এর জন্য সর্বমোট প্রাইস মানি রাখা হয়েছে ৪৬.৫ কোটি রুপি। যেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ কোটি রুপি এবং রানারআপ দল পাবে ১৩ কোটি রুপি। এরপরে তৃতীয় স্থানে থাকা দলটি পাবে ৭ কোটি রুপি এবং চতুর্থ স্থানে থাকা দলটি পাবে ৬.৫ কোটি রুপি। এসবের বাইরেও দলগুলি আরো প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবে।
আইপিএলের দলগুলো কিভাবে লাভবান হয়ে থাকে
আমরা সকলেই জানি আইপিএল মানে গাড়ি গাড়ি টাকা। যখন ফ্রাঞ্চাইজিগুলো তাদের প্লেয়ারদের দলে ভেড়ানোর জন্য প্লেয়ার ড্রাফটে অংশগ্রহণ করে তখন এক একটি ফ্রাঞ্চাইজি কোটি কোটি টাকা দিয়ে তাদের দলে খেলোয়াড় ভিরিয়ে থাকে।
এমনকি দেখা গেছে একটি প্লেয়ারের জন্য ফ্রাঞ্চাইজিগুলো ১০ থেকে ১৬ কোটি রুপি প্রজন্ত খরচ করে থাকে। আর এ থেকেই বুঝা যায় এক একটি ফ্রাঞ্চাইজি তাদের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড সাজানোর জন্য কত টাকা পর্যন্ত খরচ করে। আর এত বিপুল পরিমাণ টাকা ফ্রাঞ্চাইজিগুল কিভাবে আয় করে তা সকলেরই জানার আগ্রহ। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো আইপিএলে কিভাবে ফ্রাঞ্চাইজি গুলো শিরোপা না জিততেও লাভের মুখ দেখে।
ফ্রাঞ্চাইজি বা দল গুলোর আয়ের উৎস
আইপিএলে ফ্রাঞ্চাইজি গুলো বেশ কয়েকটি উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। বলা হয়ে থাকে আইপিএলে একটি দল যত টাকা ইনভেস্ট করে তার চেয়েও দিগুনেরও বেশি টাকা আয় করে। আর এইসব টাকা কয়েকটি ধাপে উপার্জন করে দলগুলো। এর প্রধান ধাপগুলো হলো যেমন জার্সি বিক্রি, স্পনসর, টিকিট বিক্রিসহ অন্যান্য।
-
জার্সি বিক্রি
আইপিএল শুধু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হলেও এটি সারা বিশ্বে উন্মাদনার সৃষ্টি করে এবং বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক ক্রিকেট প্রেমিক ভক্তরা এই খেলাটি উপভোগ করে থাকে। আর এখানে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করে।
এই দলগুলো তাদের নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্মসহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোতে ফ্যান ফলোয়ার তৈরি করে নিজেদের দলকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আর এসব ফ্যান ফলোয়ার আইপিএলের দলগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য কেউ কেউ জার্সি সংগ্রহ করে, অনেকেই আবার জার্সি গায়ে দিয়ে প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করে। আর এভাবেই আইপিএলের দলগুলো জার্সি বিক্রির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে থাকে।
-
স্পনসর
যেহেতু আইপিএল সারাবিশ্বে সম্প্রচার করা হয়। তাই বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক এই খেলাটি উপভোগ করে। আর এসব দর্শকের কাছে কোম্পানিগুলো নিজেদের পণ্যগুলোকে উপস্থাপন করার জন্য আইপিএলের দলগুলোকে মাধ্যম বানিয়েছে। অর্থাৎ আইপিএলে একটি দল কোন কোম্পানির পণ্য জার্সিতে লাগিয়ে মাঠে খেলতে নামলে সেই কোম্পা
নির কাছ থেকে একটি বিপুল পরিমাণ অর্থ দলগুলো নিয়ে থাকে। আর এর মাধ্যমে আইপিএলের প্রতিটি দল কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে।
-
টিকিট বিক্রি
টিকিট বিক্রি থেকে আইপিএলের দলগুলো আরেকটি বিরাট অংশ উপার্জন করে। টিকিট বিক্রির টাকা মূলত তিনটি ভাগ করা করা হয়। যেখানে দুটি ভাগ দল গুলোকে দিয়ে দেওয়া হয়। আর একটি ভাগ বিসিসিআই রেখে দেয়। বলে রাখা ভালো আইপিএলে এক একটি টিকিট ৫০০ রুপি থেকে ৫ হাজার রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে।