আজকের তেলের দাম কত! সব জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বাড়লো! বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিশ্ববাজারের জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে ধরে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের দাম কার্যকর হয়েছে। এর আগে বিকেলে শুক্রবার রাজধানীর বারিধারায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার সময় এসেছে এখন,।
বিদ্যুৎসহ তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানোর আভাস প্রতিমন্ত্রীর
নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্ব বাজারের সাথে এখন দাম সমন্বয় না করলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি এটাও বলেন , জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা এডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।
২৫০ টাকা ছাড়াল কাঁচা মরিচের দাম
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে যা অদ্যাবধি বিদ্যমান। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা ছিল। (আজকের তেলের দাম কত)
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে ( ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।