আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪! একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশের জনগনের জন্য একটি গৈৗরবউজ্জল দিন। এই দিনে অনেক বীর যোদ্ধা প্রান দিয়েছে।
তাই এই দিনটিকে শহীদ দিবস এবং আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাঙ্গালি জাতির মনে ভাষা আন্দোলন গৌরব উজ্জল দিন নয় এটি একটি স্মৃতি বিজড়িত দিন হিসেবে পালিত হয়ে থাকে প্রতিটি মানুষের মনে। ১৯৫২ সালে বৃহস্পতিবার এই দিনে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে আন্দলনরত অনেক ছাএ দের উপর গুলি বর্ষনের সময় অনেকে শহীদ হয়। তাই এই দিনটিকে আর্ন্তজাতিক শহীদ দিবস হিসেবে পালন কারা হয়ে থাকে। সেজন্য ৫ আগষ্ট ২০১০ জাতিসংঘের নির্দেষ মতাবেক এই দিনটিকে আর্ন্তজাতিক শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি অনেক বড় উদ্যোগের একটি অংশ ২০০৭সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বিশ্বের জনগন দ্বারাব্যবহৃত সকলভাষারসংরক্ষন।আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের ধারনা ছিল বাংলাদেশের উদ্যোগে। আর্ন্তজাতিক মার্তভাষা দিবস হল ভাষাগত বৈচিত্রের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এবং বহু ভাষা প্রচারের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়।
২০০২ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে সাধারন পরিষদ কর্তৃক আনুষ্টানিক ভাবে উদযাপিত হয়। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ইউনেস্ক কর্তৃক প্রথম ঘোষনা করা হয়। বাংলাদেশের একুশে ফেব্রুয়ারি সেইদিনের যখন বাংলাদেশের তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান বাংলা ভাষা স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছিল। এছাড়া এটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গে এটি অধিক মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে থাকে। (আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪)
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস
পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি দিবস হিসেবে সুপরিচিত হয়ে প্রতিটি মানুষের অন্তরে গচ্ছিত হয়েছে উক্ত দিবসটি। এই দিবসটি বাঙ্গালির জাতির প্রতিটি মানুষের একটি গৌরবের দিন যেদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা করার লক্ষ্যে রাস্তায় মিছিলের ম্যধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গুলিতে অসংখ্য বাঙ্গালি বীরেরা তাদের জীবন দিয়েছে। এই ভাষা অর্জনের জন্য যারা তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে তাদের নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা আছে প্রতিটি মানুষের মনে।
তাদের নাম হলো সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং শফিক আরো অসংখ্য বীরের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি অর্জন করা সম্বভ হয়েছে। তাই তো এই গানটি এখনও সবার মনে নাড়া দিয়ে উঠে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তা ভুলিতে পারি”।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শুভেচ্ছা
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটি আসলে প্রতিটি মানুষের অন্তরের অন্তরস্থল থেকে অমর একুশের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিনিময় করে থাকি সেই কালো রাতের কথা যে রাতে সকল মানুষের মাঝে চলে এসেছিল বিপর্যয়। একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটি আসলে আমাদের সবার মনের ভেতর একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল বিষয়
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পৃথিবেতে জোর করে বা অন্যায় করে কখনও কোন দেশ তথা দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।সে কারনে সপ্তাহে যে কোন একদিন জয় হবে তা নিশ্চিত করতে বাস্তব প্রমান অমর একুশে ফেব্রুয়ারি । যার বিনিময়ে আমরা আমাদের বাংলা ভাষা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। জাতিসংঘের ঘোষনা অনুযায়ী সারা পৃথিবীব্যাপি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। আর এ কথা প্রমানিত যে সত্যের পথে যুদ্ধ করে জীবনের বিনিময়ে হলেও সত্যের জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছি আমরা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই মিছিলটি বের হয়েছিল। এটি ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছিল। ঘোষনাটি বাংলাদেশের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্থান তৈরি হয়েছিল পরে এটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল পূর্ব পাকিস্থান ও পশ্চিম পাকিস্থান। সংস্কৃত দিক থেকে দুটি সম্পূর্ন আলাদা ছিল। ১৯৪৮ সালে তৎকালিন সরকার উর্দুকে পাকিস্থানের একমাএ রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু পূর্ব পাকিস্থান এবং পশ্চিম পাকিস্থানের সংখ্য গরিষ্ট মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। পূর্ব পাকিস্থানের জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কারন তাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্থানের গনপরিষদে পূর্ব পাকিস্থানের ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথম এই দাবি উত্থাপন করেন।বিক্ষোভকে ধ্বংস করার জন্য পাকিস্থান সরকার সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। সাধারন জনগনের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা সমাবেশ করে। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি সেই সমাবেশে পুলিশ হামলা করে। সেখানে ছালাম , বরকত, রফিক, জব্বার এবং শফিক নিহত আরো অনেকে আহত হয়েছেলি। সেই থেকে বাঙ্গালিরা তাদের একটি দুঃখের দিন হিসেবে এই দিনটি পালন করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। ভাষা হল আমাদের বাস্তব বিকাশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
পরিশেষে
১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ ইউনেস্কোর ৩০ তম সাধারন পরিষদ সর্বসম্মতি ক্রমে সিদ্ধন্ত নেয় যে ১৯৫২ সালে এই দিনে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদের স্মরনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করেছেন।