ইয়ামাহা বাইক দাম কত! হ্যালো বন্ধুরা! আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে পোস্টটি হবে একটু অন্যরকম। আপনি কি জানেন মোটরসাইকেল পানি দিয়ে চলবে। এই ধারণাটি কি সত্যি করার জন্য বেশ কিছু কোম্পানি বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই একটি কোম্পানি এই মোটরসাইকেলের একটি ধারণা দিয়েছেন, পানি দিয়েই চলবে বাইক, পেট্রোল-ডিজেল ছাড়া!
শিরোনাম পড়েই হয়তো অবাক হয়েছেন জানি, কিন্তু এই ঘটনা সত্য হওয়ার পথেই। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিঔজাইনার ম্যাক্সিম লিফভেরি ও মোটরবাইক নির্মাতা ইয়ামাহা এমনই এক প্রযুক্তি বাজারে আনতে যাচ্ছে , তাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সব ধারণা পাওয়া গেছে । মোটরসাইকেলটির নাম এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো হবে।
ম্যাক্সিম লিফভেরি পানি দিয়ে চালিত একটি টু-হুইলারের কনসেপ্ট ছবি প্রকাশ করেছে
ম্যাক্সিম লিফভেরি পানি দিয়ে চালিত একটি টু-হুইলারের কনসেপ্ট ছবি প্রকাশ করেছেন তারা । ২০১৬ সালে ইয়ামাহার সঙ্গে বাইকটির স্কেচ প্রথম শেয়ার করেন । এরপর ইয়ামাহার উদ্যোগে বাইকটির ইঞ্জিন ফ্রেম ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে । বর্তমানে সেটারই ফাইনাল কনসেপ্টের ছবি ম্যাক্সিম লিফেরি প্রকাশ্যে এনেছে
এই বাইকটির সম্পর্কে অনেকে মতামত রয়েছে,কেউ কেউ মনে করেন, বাইকটিকে সত্তর দশকের ইয়ামাহার এনডিউরো-আডভেঞ্চার বাইক এক্সটি কস। অনেক মনে করছেন ৫০০-এর পুর্নজন্ম হিসাবে । তবে আপকামিং ইয়ামাহা এক্সটি ৫০০ এইচ টু ও এডিশানের বাইকটিতে থাকতে পারে ক্লোজড লুপ এইচ টু ও মোটর। ধারণা করা হচ্ছে এতে অনেক ফিচার থাকবে।
মোটরসাইকেলটি ৪৯৯সিসির পাওয়ার থাকবে; এই নতুন মোটরসাইকেলটি ৪৯৯সিসির পাওয়ার থাকবে। ওই ফোর স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলটি স্পিড ছিল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এক্স টি ৫০০ এইচটুজিরো এডিশনের বাইকটিতে থাকবে একটি পানির পাম্প থাকবে । এই পাম্প পানিকে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ইঞ্জিনকে প্রোপালশন প্রদান করবে। পানিচালিত মোটরবাইকের মাধ্যমে পরিবেশদূষণের আশঙ্কা থাকবে না। মোটরসাইকেলের মালিকের জ্বালানি নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না।
পানি দিয়ে বাইক সচল রাখা আসলে কতটা সম্ভব
আপনাদের অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, পানি দিয়ে বাইক সচল রাখা আসলে কতটা সম্ভব? ব্রাজিলের এক ব্যক্তি পানিচালিত একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন। রিকার্দো আজাভেদা নামের এই ব্যক্তির তৈরি করা মোটরবাইকটির জ্বালানি পানি। সাধারণ খাওয়ার পানিতেই তিনি তার বাইক চালিয়ে দেখিয়েছেন। আপনি চাইলে একটু google করে দেখতে পারেন।
এই বাইকটি আমাদের প্রজন্মকে আরেকটি পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ইয়ামাহা যদি বাইকটিকে বাজারে আনতে সক্ষম হয়, তাহলে এটি বাজারে শোরগোল ফেলার পাশাপাশি প্রযুক্তির দিক থেকে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে। জানা গেছে, ২০২৫ সালের আগে এই বাইক বাজারে আসার সম্ভাবনা কম। ধরনা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যেই কয়েকটি বাজারে আসতে পারে।
বন্ধুরা এই ছিল আজকের এই পোস্ট। এরকমই মজার মজার পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।(ইয়ামাহা বাইক দাম কত)