কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা! প্রিয় বন্ধুরা কাজুবাদামকে চিকিৎসকরা ডাকেন প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামে। টানা ৭ দিন কাজুবাদাম খেলে কি ঘটে সেটা কি জানেন। নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে শরীরের দশটি রোগ নিরাময়ের উপকার মিলবে। তবে আপনি প্রতিদিন গড়ে কয়টি করে কাজুবাদাম খাবেন এবং বেশি পরিমাণে কাজুবাদাম খেলে কি ক্ষতি হতে পারে, আর কেন কাজু বাদামের কোন বিকল্প হয় নেই বললেই চলে এ সকল প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর জানতে আমাদের পোস্টটি শেষপর্যন্ত পড়ুন।
প্রিয় বন্ধুরা কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আরো নানাবিধ খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন। যেসব উপাদান নানান ভাবে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে কেউ যদি মাত্রারিতিক্ত বা অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেয়ে থাকে তাহলে এর ফলে শরীরের মধ্যে উপকারের থেকে অপকার বেশি হবে। এর একমাত্র কারণ অত্যাধিক পুষ্টিকর কোন খাবার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি থেকে শুরু করে অন্যান্য সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়।
যেটা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা থাকা উচিত। আবার ঐ সমস্ত ফল নির্দিষ্ট পরিমাণ শরীরের জন্য এত বেশি উপকারী যে, যেটি না খেলে কখনোই বুঝতে পারবেন না। এরকমই কিছু নির্দিষ্ট উপকার আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যেমন
১/ আমাদের মস্তিষ্ক বা ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধি করে
কাজুবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেনের পাওয়ার বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। এর ফলে একজন ব্যক্তির বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়াতে সক্ষম হয়।
২/ সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্তি
সংক্রমণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এই প্রাকৃতিক উপাদান টিতে থাকা জিংক ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে থাকে। তাই আপনি যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাজুবাদামকে অবশ্যই রাখবেন।
৩/ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
কাজু বাদামের মাধ্যমে আমাদের শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। কাজু বাদামে রয়েছে অলিসিক নামে এক ধরনের মোনয়ানস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা দেহের মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজে আসে। তাইতো নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এর ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়।
৪/ ক্যান্সার রোগ থেকে দূরে রাখে
প্রিয় বন্ধুরা ক্যান্সারকে আমরা যদি সাপ হিসেবে ধরি তাহলে কাজুবাদাম হল বিজি। তাইতো যেখানে এন্টিঅক্সিজেন থাকে সেখানে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়া কোষের খোঁজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ক্যান্সারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক মুঠো করে কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আন্তর্জাতিক সকল পুষ্টিবিদরা।
৫/ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়
এছাড়াও হার্ট এটাকের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ কাজুবাদামের ম্যাগনেসিয়াম সরাসরি ব্লাডের প্রেসারকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
৬/ হাড়কে শক্তিশালী করে
এর বাইরেও মানুষের শরীরের হাড়কে অত্যন্ত পরিপক্ক করে তৈরি করতে সক্ষম এই কাজুবাদাম। কাজুবাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস থাকায় আমাদের হাড়কে অনেক মজবুত করে।
৭/ চুলের সুন্দর্য বৃদ্ধি কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজুবাদামের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। কপার হলো সেই খনিজ যা কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং মাথার মধ্যে খুশকির অবস্থান দূর করে।
৮/ অ্যানিমিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ
এনিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে এই কাজ বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে। এছাড়াও মুখের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ঘা হওয়ার হাত থেকে কাজুবাদাম রক্ষা করে থাকে।
বন্ধুরা আমরা উপরোক্ত এসব রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারি যদি প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকায় কাজুবাদামকে রাখতে সক্ষম হই।তাছাড়া আপনারা যদি এরকম আরো অন্যান্য ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের পরবর্তী পোস্টটি ফলো করুন ধন্যবাদ।