শিক্ষা

প্রকিতির সৌন্দর্য্য তামাটে কাঠঠোকরা পাখির বিবরণ

কাঠঠোকরা পাখির আচরণ

কাঠঠোকরা পাখির আচরণ! কাঠঠোকরা হচ্ছে একটি পাহাড়ি পাখি। কাঠঠোকরা পাখিটি সাধারনত লাল ডানার কিছুটা বাদামি কালারের হয়ে থাকে । মেয়ে কাঠঠোকরা পাখি গুলা সাধারনত ছেলে পাখিদের তুলনায় কিছুটা ছোট হয়ে থাকে ।

এদের দৈর্ঘ্য ২৭ সেমি , ওজন ১৭০ গ্রাম , ডানা ১৪৫ সেমি , ঠোঁট ৫সেমি , পা ৩ সেমি , লেজ ৯ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই পাখি গুলো মধ্যে যেগুলার একটু বয়স বেশি সেগুলা পিঠ লাল বর্নের এবং দেহ কালচে বাদামি বর্নের হয়ে থাকে।এদের কাঁধ গুলো সাধারনত ঢাকনির মতো হয়ে তাকে। এদের ডানা গুলা কালচে বাদামির মধ্যে ডোরা কাটার মতো রয়েছে।

ঠোঁট গুলা দেখতে ফ্যাকাসে হয়ে থাকে। চোখ দেখতে অনুজ্জ্বল লাল কালারের এবং পা দেখতে শিং বাদামি কালারের হয়ে থাকে। ছেলে পাখি গুলোর কান- ঢাকনা ,ও ঘাড়ের পাশে উজ্জ্বল লাল কালারের পট্টি রয়েছে। আর যে গুলো পাখি অপ্রাপ্তবয়স্ক সেগুলা পাখির মাথায় ছিটা দাগ , কাঁধ ঢাকনিতে বেশি স্পষ্ট ও ঘাড়ের পাশে উজ্জ্বল লাল দাগ দেখতে পাওয়া যায়।

তামাটে কাঠঠোকরা স্বভাব

এরা সাধারনত ক্রান্তীয় অঞ্চলে নিম্নভূমি বনে অথবা পার্বত্য অরন্যে দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়া হিমালয়ের অঞ্চল গুলোতে এদের বিচরন মিলে থাকে । এরা যখন খাদ্যে সন্ধানে বের হয় তখন  এরা একাকীও বের হয় আবার জোড়ায় ও বের হয় কিংবা পারিবারিক দল হিসেবেও বের হয়ে থাকে । দিনভর এরা মৃত গাছের কান্ডে বসে থাকে এবং খাবারের খোঁজ করে থাকে। এরা তাদের ধারালো ঠোট দিয়ে শ্যাওলায় ঢেকে থাকা গাছের ভেতরে খাবারের খোঁজ করে থাকে।

এগুলা থেকে খাবার সংগ্রহ করে এরা সাধারনত তাদের আশ্রয় স্থলে চলে আসে। খাবার সংগ্রহ করার জন্য তাদের ধারালো ঠোটের কোন তুলনায় হয় না । তাদের এই ঠোট দিয়ে কত কত গাছের শক্ত শক্ত কাঁঠ কেটে গর্ত তৈরি করে ফেলতে পারে।

তামাটে কাঠঠোকরা প্রজনন

এই পাখি গুলোর প্রজননের সময় কাল হলো মার্চ থেকে জুন। মার্চ থেকে জুন এই মৌসুমের মধ্যে এই পাখি গুলো তাদের প্রজনন করে থাকে। এদের ঠোঁট এতই শক্ত যে এরা যেকোন গাছের কান্ডে তাদের এই ঠোঁট দিয়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে ফেলে।

এই পাখি গুলো সাধারনত ৩-৪ টা ডিম পেরে  থাকে। এদের ডিম গুলো মুরগির মত দেখতে সাদা হয়ে থাকে। এই পাখি গুলো ডিম ফুটাতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন । এর মধ্যে এরা ডিম ফুটে বাচ্চা বের করে। কাঠঠোকরা পাখির আচরণ,

তামাটে কাঠঠোকরা খাদ্য তালিকা ও বিসতৃতি

এদের খাদ্য তালিকার মধ্যে সাদা সাদা পিঁপড়া ও গোবরে থাকা পোঁকা মাকড় থাকে। এরা সাধারনত সেখানে সাদা পিঁপড়া থাকে সেই যায়গাটা খোজে বের করে। এবং এরা গোবরের কাছে খুজে গোবরের পোঁকা মাকড়  গুলো কে।

কাঠঠোকরা পাখিটি বাংলাদেশ, ভূটান, হংকং, কম্বোডিয়া, চীন, মালেয়েশিয়া, মায়নমার নেপাল, থাইলেন্ড এবং ভিয়েতনাম এই যায়গা গুলোতে দেখা যায়। এদেরকে মাঝে মাঝে বাংলাদেশের সিলেট চট্রগ্রামের অঞ্চল গুলোতে দেখা যায়।

তামাটে কাঠঠোকরা অবস্থা

এই প্রজাতির পাখিটি বিশ্বে বিপ্নিমুক্ত। বিগত  তিন বছর ধরে এদের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে পৃথিবীতে এখনও ১০,০০০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক পাখি আছে। তাই এই প্রজাতিটি এখনও আশঙ্কা জনিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। সেজন্য আই. ইউ.  সি. এন এই প্রজাতিটিকে এখনও বিপদগ্রস্থ বলে ঘোষনা করে নি। বাংলারদেশের ১৯৭৪- ২০১২ সালের বণ্যপ্রানী আইনে এই প্রজাতিটি সুরক্ষিত।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।