লাইফস্টাইল

কিডনির ইনফেকশন দুর করার ৭টি উপায়

কিডনি রোগের চিকিৎসা

কিডনি রোগের চিকিৎসা! কিডনি হলো শরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ন অংশ। কিডনি সুস্থ্য থাকলে মানুষ সুস্থ্য। কিডনি মূলত দেহের ছাকনি হিসেবে কাজ করে থাকে। এই ছাকন যন্ত্র দেহের রক্ত ছেকে সংশোধিত করে। এবং শরীরে যা দূষিত পর্দাথ আছে তা মূত্রের সাহায্যে বের করে দেয়। ঠিক এই কিডনির ছাকনির কারনে আমাদের দেহের বিষাক্ত ‍ও দূষিত জিনিস বের হয়ে যায়। তবে কিছু নিয়ম আছে যা সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে কিডনিও ছাকনি দুটোই ভালো থাকবে।

১/ পেয়াঁজ

পেয়াঁজ এমন একটি জিনিস যা মানব দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী। একজন প্রপ্তি বয়স্ক মানুষকে দিনে অন্তত পক্ষে এক থেকে দুটি মাঝারি সাইজের পেয়াঁজ খাওয়া দরকার। ছোটদের খাওয়া দরকার কিন্তু তাদের পরিমান একটু কম হতে হবে পেয়াঁজের। পেয়াঁজে আছে প্রচুর পরিমানে ফ্ল্যাভোনয়েড যা রক্তের চর্বি ও দেহের কিডনিকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে  থাকে। কিন্তু এছাড়াও পেয়াঁজের পটাশিয়াম পদার্থ কিডনিকে সুস্থ্য রাখে।

২/ পানি

কিডনির জন্য পানির কোন বিকল্প নেই । কিডনির ইনফেকশন হলে পানির কোন বিকল্প নেই। কিডনির ইনফেকশন হলে শরীরে পানির পরিমান ঠিক রাখতে হবে। পানির মাধ্যমে নানান সমস্যা বাইরে বের হয়ে আসে। তাছাড়া পানির মাধ্যমে কিডনির টক্সিন ও সংক্রমন বাইরে বের হয়ে আসে। ঠিক সে কারনে দিনে অন্তত আট গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। তাছাড়া পানির আরেক নাম হলো জীবন। সে দিক থেকে ভাবলেও দেখা যায় যে বেশি করে পানি পান করা দরকার।

৩/ রসুন

কিডনির ইনফেকশনের আরেকটি উপাদান হচ্ছে রসুন। নিয়মিত প্রতিদিন রসুন খেলে কিডনির ইনফেকশন দুর হয়ে যাবে। ঠিকসে জন্য খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন নিয়মিত দুটো করে রসুনের কোয়া খাওয়া দরকার। তাছাড়া রসুনে থাকা অ্যালিসন ব্যাথা কমাতে ওঅ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন দুর করতে সাহায্যে করে। সে জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুনের কোয়া রাখা দরকার।

৪/ হলুদ ও দারুচিনি-

কিডনির সমস্যা দুর করতে হলুদের কোন তুলনা হয় না। হলুদে আছে কারকিউমিনে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা শরীরের অনেক ভালো কাজ করে থাকে। আর হলুদ মাইক্রোব তৈরিতে বাধা দেয়। যা কিডনির জন্য অনেক  ভালো কাজ করে । নিয়মিত সঠিক পরিমানে হলুদ তরকারিতে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনের  তুলনায় বেশি না হয়ে যায়। বেশি হলে আবার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সে জন্য প্রয়োজন মত প্রতিদিন তরকারিতে ব্যবহার করতে হবে। আবার সম্ভব হলে প্রতিদিন এক ইঞ্চি করে দারচিনি খাওয়া । দারচিনির মধ্যে অনেক উপাদান আছে যা কিডনির ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।

৫/ আপেল

আপেল খাওয়া স্বাস্থের জন্য অনেক ভালো । আপেল উচ্চ ফাইবার যুক্ত একটি খাবার যা শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টরল দূর করে ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্যে করে এবং পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্যে করে।

যাদের কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যা তারা নিয়মিত একটি করে আপেল খেলে সেই পাথর নরম করে বাইরে বের হতে সহায়তা করে। আবার আপেল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। সে জন্য আপেল খাওয়া দরকার।

৬/ অ্যালোভেরা, লেবুর রস, আদা

কিডনির জন্য অ্যালোভেরা অনেক কাজ করে। অ্যালোভেরা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। সে জন্য দিনে অন্তত এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস করে খাওয়া দরকার। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এর পরিমান যেন বেশি হয়ে না যায় । বেশি হয়ে গেলে উল্টো কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। লেবুতে যে পরিমানে এসিড আছে তা কিডনিতে জমে থাকা পাথর দুর করতে সহায়তা করে। সে জন্য নিয়মিত এক গ্লাস করে লেবু পানি খাওয়া দরকার।

কিডনির ইনফেকশন দুর করতে আদার গুনাগুন অনেক। আদাতে থাকা জিনজ্যারোস ব্যাকটেরিয়া দুর করে সহায়তা করে। ঠিক সে জন্য প্রতিদিন আদা দিয়ে চা পান করা দরকার। কিন্তু আদা চার গ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না খেলে ক্ষতি হতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৭/ চেরি ফল, লাল আঙ্গুর, মিষ্টি আলু

চেরি ফল খাওয়া ভালো বিশেষ করে লাল চেরি ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও কে আর আছে ম্যাগনেসিয়াম । সেজন্য এটি খেলে কিডনি ভালো থাকে। লাল আঙ্গুর খেলে কিডনিকে রাখে সবসময় তরুন। তাছাড়া এটি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। মিষ্টি আলুতে আছে পটাশিয়ামের মত খনিজ পদার্থ যা শরীরের সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং কিডনিকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্যে করে । সেজন্য এসব জিনিস খাওয়া দরকার।(কিডনি রোগের চিকিৎসা)

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।