কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায়! বন্ধুরা একজন মানুষ তার স্মার্টনেস দ্বারা মানুষদের সুন্দরভাবে ইমপ্রেস করতে পারে। এবং আপনি আপনার ব্যবহার কে পরিবর্তন করে বা সুন্দর করে আপনার স্মার্টনেস কে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেন । এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে স্মার্টনেস পাওয়া যাবে? তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের পোস্ট,,,,
How to be smart
কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়, কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়,স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায়,স্মার্ট হওয়ার উপায় কি, কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায় , কিভাবে কিউট হওয়া যায়, মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে, ছেলেদের স্মার্ট থাকার উপায়,কিভাবে ভালো থাকা যায়,স্মার্ট ছেলে হয়ে ওঠার উপায় , সব কিছু এই আর্টিকেল জানতে পারবেন। How to be smart.
স্মার্ট কথার অর্থ কি ;স্মার্ট কথাটি একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ বিভিন্ন সমার্থক শব্দ হতে পারে যেমন : বুধদ্ধিমান, চালাক , উজ্জ্বল , পরিচ্ছন্ন ও পরিষ্কারি, চটপটে ইত্যাদি
স্মার্টনেস কাকে বলে; ” স্মার্ট ” বা ” স্মার্টনেস ‘ কথার অনেকগুলি অর্থ আমরা উপরে জেনে আসলাম তাহলে আমাদের ধারণা হলো স্মার্টনেস হলো সোজা কোথায়-বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ , সহজ সরল, ভাল , জ্ঞানী, আচরণ , বুদ্ধিমত্তা, কাজ কর্মে নম্র ভদ্র নির্ভুল সক্ষমতার সর্বদিক দিয়ে সুন্দর ব্যাক্তিত্বের মানুষকে স্মার্টনেস বা স্মার্ট বলা হয়।
স্মার্টনেস কেন হবো ? স্মার্টনেস এর প্রয়োজনীয়তা কি ?
স্মার্টনেস এর প্রয়োজনীয়তা ছেলে মেয়ে সবারই ব্যাক্তিগত ভাবে প্রয়োজন। ছেলেদের স্মার্ট থাকার উপায়, মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে, কিভাবে কিউট হওয়া যায়, কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায়, কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়, স্মার্ট ছেলে হয়ে ওঠা সবারি ব্যাক্তিগত প্রয়োজন কারণ –
১। স্মার্ট হওয়ার ফলে প্রতিটি ছেলে মেয়ের কাছে সেরা হওয়া যায় যার কারণে সম্মান বেশি পাওয়া যায়।
২। নিজেকে স্মার্ট রাখতে পারলে নিজের কর্মদক্ষতা, স্কুল কলেজ এ সব জায়গায় সফল হওয়া সম্ভব।
৩। স্মার্ট রাখার অন্যতম প্রয়োজন হলো সোদা সর্বদাই সুন্দর থাকা যায়, কথাবার্তায় দৈহিক আচরণে অন্যদের মনে জায়গা করে নেওয়া যায়। তাই নিজেকে স্মার্ট করে তোলার জন্য, স্মার্ট হওয়ার সহজ কিছু উপায় জানতে হবে।
৩। পাঁচজন ব্যক্তির নাম লিখুন যাদের আপনি পছন্দ করেন না। তাদের প্রত্যেকের চরিত্রের কী কী দোষের জন্য আপনি তাদের পছন্দ করেন না তা নির্দিষ্ট করে লিখুন।
৪। আপনার জীবনে এমন পাঁচটি ঘটনার কথা লিখুন। যেখানে আপনার মনে হয়েছিল যে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনার কি কি দোষ আছে কি কি গুণ আছে নিজ ধারণা থেকে সঠিক ভাবে লিখুন। আপনি কী বার বার ব্যর্থতাই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলতে চান না সফলতার।
৫। আপনার জীবনে এমন পাঁচটা ঘটনার কথা লিখুন যেখানে আপনার মনে হয়েছিল অন্য রকম। সেদিন, সত্যিই সফল হয়েছেন। এই সার্থকতার কথা সর্বদা মনে রাখবার চেষ্টা করে জোর মানসিক শক্তি বাড়াবার চেষ্টা করুণ।
৬। আপনি এমন পাঁচটি ঘটনার কথা লিখুন। যেখানে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেননি। কেন পারেননি তাও লিখুন।
৭। আপনি পাঁচটি তিন লাইনের বক্তব্য তৈরী করুণ, যেগুলো শিক্ষার অভাব রয়েছে। যে গুলোর কারণে নিজেকে ছোট মনে হয়। যেগুলোর কারণে হেও প্রতিপন্য মনে হয়। যেগুলো শিখা বা পরিত্যাগ করা খুবই জরুরী। যেগুলো না জানার ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন।
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তালিকা তৈরী করে আজ থেকেই স্মার্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যান দেখবেন ঠিক আপনি স্মার্ট হয়ে গেছেন। মনে রাখবেন অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য স্থান পরিবর্তন করতে হয়। যদি আপনার বদ অভ্যাস পরিবর্তন না হয় যদি আপনার মানসিকতা যুগোপযোগী না হয় তবে স্থান পরিবর্তন করতে হবে।(কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায়)
নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে; কঠোর অনুশীলন, পরিশ্রম, সচেতনতার মাধ্যমে নিজেকে সময় উপযোগী করে তৈরী করেন। এজন্য ধৈর্য , ভ্রমন, আগ্রহ থাকতে হবে মনের গভীর থেকে। তাহলেই স্মার্ট হয়ে উঠবেন।
যুগের স্মার্টনেস বুঝার কৌশল;যুগের স্মার্টনেস বুঝতে হলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিকি পরিবর্তন হচ্ছে তা বুঝতে হবে। নিখুঁত ভাবে পরিবর্তন ধারা বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার পরিবর্তন হচ্ছে কিনা রতা নিখুঁত ভাবে লক্ষ করতে হবে। না হলে কেন হচ্ছে না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
যুগোপযোগী হবার চেষ্টা চালিয়ে যান
যুগোপযোগী হবার চেষ্টা চালিয়ে যান, বিশেষ করে যুগের নতুনত্ব জ্ঞান, নতুন নতুন শিক্ষা, ফ্যাশন সচেতনতা বৃদ্ধি করুণ। রুচিশীল হালের পোশাকের কার্ট জুতা, সেন্ডেল, চুলের কার্ট বৈচিত্রের ছোয়া লাগান।
মনে করবেন জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র একটা স্কুল এ স্কুল থেকে যত দূর সম্ভব শিক্ষা গ্রহণ করে যেতে হবে। ভালোও প্রয়োজনীয় শিক্ষাটা ধরে রাখতে হবে। আর খারাপটা বর্জন করতে হবে। এজন্য সচেতনার সহিত পোশাক আশাক নির্বাচন করুণ।
দৃষ্টিভঙ্গি , অঙ্গভঙ্গি, বাচন ভঙ্গি যুগোপযোগী করুণ। যদি সময় অনুযায়ী পরিবেশ অনুযায়ী পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে সাজিয়ে তুলতে না পারেন, তবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই দ্বিধা দন্ধে ভোগতে হবে। যুগের স্মার্টনেস বুঝার স্বার্থে নিজেকে ফাস্ট করে তুলুন। প্রশ্ন করে জানার মানসিকতা তৈরি করুণ।
তবেই যুগের স্মার্টনেস বুঝতে পারবেন। আপনি যে কাজই করতে চান তা কমপক্ষে পাঁচ মিনিট আগে শুরু করবেন এবং জোর চেষ্টায় পাঁচ মিনিট আগেই শেষ করবেন। এটা প্রতিটা ক্ষেত্রে।
নিজেকে স্মার্ট কররা স্বার্থে সদাধারণ জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি করা।হালের ফ্যাশনের বৈচিত্র আনার ক্ষমতা অর্জন করা;
১/বেষ্ট ড্রেসআপ ।
২/বেষ্ট পারফর্মেন্স।
৩/বেষ্ট হেলথ
৪/বেষ্ট বডি ল্যাংগুয়েজ।
৫/বেষ্ট স্পিকিং।
৬/বেষ্ট কনফিডেন্স।
আপনার গুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশ ঘটিয়ে মনের লজ্জা, ভয় ও সংকীর্ণতাকে দূর করে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে প্রকৃত স্মার্টনেস। কিছু শিখতে হলে যথা স্থানে টুকা মারতে হবে। যেতে হবে বার বার, কথা বলতে হবে সাহসিকতার সহিত। ভুল হক আর শুদ্ধ হক। প্রশ্ন করে অজানা বিষয় যেনে নিতে হবে। বলার প্রয়োজন হলে জেনে বলতে হবে। না জানা থাকলে সোজা না করাই ভালো, এতে লজার কিছু নাই।
তবে ঐ জিনিসটা দ্রুত শিখে নিতে হবে। প্রতিটা ক্ষেত্রে সচেতন ও যত্মশীল হতে হবে। থাকতে হবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন । সব সময় গোপনীয় নিজের কাজ, নিজেই করার চেষ্টা করুণ, কার উপর নির্ভরশীল, কারো উপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন যেটা সেটাকে সৃজনশীলতায় আনুন।(কিভাবে স্টাইলিশ হওয়া যায়)