কোপা আমেরিকা হল ফুটবল ইতিহাসে তৃতীয় জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। যেখানে সমগ্র পৃথিবী থেকে কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী ভক্ত খেলাটি উপভোগ করে।
কোপা আমেরিকা ১৯১৬ সালে সর্বপ্রথম আয়োজন করা হয়। আর এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়ে আসছে। ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীনতম টুর্নামেন্ট হল কোপা আমেরিকা।কোপা আমেরিকার ইতিহাস কেননা কোপা আমেরিকা ইতোমধ্যেই তার শতবর্ষ উদযাপন ২০১৬ সালে শেষ করেছে।
আর এর মাধ্যমে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীনতম টুর্নামেন্টের খেতাব অর্জন করেছে। কোপা আমেরিকা শুরুর দিকে ১২টি দল নিয়ে আয়োজন করা হলেও বর্তমানে এখানে মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করে। আজকে আমরা কোপা আমেরিকার ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আয়োজক | কনমেবল |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯১৬ (সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ) ১৯৭৫ (কোপা আমেরিকা) |
অঞ্চল | দক্ষিণ আমেরিকা |
দলের সংখ্যা | ১৬ |
কোপা আমেরিকা ইতিহাস
কোপা আমেরিকা ১৯১৬ সাল থেকে শুরু হলেও মূলত ১৯১০ সালে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এরপর এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলে ১৯১৬ সালে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিকে এই টুর্নামেন্টের নাম ছিল দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর থেকে এই টুর্নামেন্টের নাম করা হয় কোপা আমেরিকা।
বর্তমানে এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬ টি দল অংশগ্রহণ করে।কোপা আমেরিকার ইতিহাস পূর্বে বারোটি দল অংশগ্রহণ করেছিল। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে বর্তমানে এশিয়ান অঞ্চলের দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন জাপান এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। কোপা আমেরিকা ২০১৬ সালে তার শতবর্ষ উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে করে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র কোপা আমেরিকার মধ্যে সংযুক্ত নয়। কোপা আমেরিকার এই শতবর্ষ উদযাপনটিকে কোপা আমেরিকা সেন্সেনারিও নামে ডাকা হয়।
কোপা আমেরিকা সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী দল
এবারের কোপা আমেরিকা আসরটি ৪৭ তম আসরে অনুষ্ঠিত হবে। আর কোপা আমেরিকা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে জিতেছে। যেখানে এই দুটি দল যথাক্রমে ১৫ বার করে এই শিরোপা নিজেদের ঘরে নিয়েছে। কিন্তু আর্জেন্টিনা ১৯৯৩ সালের পর থেকে গেল কোপা আমেরিকা দীর্ঘ বছর পর ঘরে তুলেছে।
এর পরের স্থানে রয়েছে ব্রাজিল সর্বমোট ৯ বার। এ ছাড়াও এই শিরোপাটি ঘরে তুলেছে প্যারাগুয়ে, চিলি ও পেরু দুইবার করে এবং কলম্বিয়া ও বলিভিয়া একবার করে এই শিরোপা স্বত নিতে সক্ষম হয়েছে। আর্জেন্টিনা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সেরা দল। যারা একটানা তিনবার এই শিরোপা নিজের ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তারা যথাক্রমে ১৯৪৫, ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ কোপা আমেরিকা জয়ী হয়। আর এই রেকর্ডটি এখন পর্যন্ত কোন দল ভাঙতে পারেনি।
কোপা আমেরিকার সবচেয়ে জমকালো ফাইনাল অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ২০২১ সালে। যেখানে বিশ্বের দুই সুপারস্টার দুই দলে। অর্থাৎ আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল সুপারস্টার মেসি এবং নেইমার জুনিয়র একে অপরের মোকাবেলা করে। আর এই ফাইনালে এক শূন্য গোলে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল কে পরাজিত করে ১৫ তম শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলে।
আয়োজক দেশ | সাল | বিজয়ী | রানার-আপ | তৃতীয় স্থান |
আর্জেন্টিনা | ১৯১৬ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
উরুগুয়ে | ১৯১৭ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
ব্রাজিল | ১৯১৯ | ব্রাজিল | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা |
চিলি | ১৯২০ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
আর্জেন্টিনা | ১৯২১ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | উরুগুয়ে |
ব্রাজিল | ১৯২২ | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে | উরুগুয়ে |
উরুগুয়ে | ১৯২৩ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে |
উরুগুয়ে | ১৯২৪ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে |
আর্জেন্টিনা | ১৯২৫ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে |
চিলি | ১৯২৬ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | চিলি |
পেরু | ১৯২৭ | আর্জেন্টিনা | উরুগুয়ে | পেরু |
আর্জেন্টিনা | ১৯২৯ | আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে | উরুগুয়ে |
পেরু | ১৯৩৫ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | পেরু |
আর্জেন্টিনা | ১৯৩৭ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | উরুগুয়ে |
পেরু | ১৯৩৯ | পেরু | উরুগুয়ে | প্যারাগুয়ে |
চিলি | ১৯৪১ | আর্জেন্টিনা | উরুগুয়ে | চিলি |
উরুগুয়ে | ১৯৪২ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
চিলি | ১৯৪৫ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | চিলি |
আর্জেন্টিনা | ১৯৪৬ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে |
ইকুয়েডর | ১৯৪৭ | আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে | উরুগুয়ে |
ব্রাজিল | ১৯৪৯ | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে | পেরু |
পেরু | ১৯৫৩ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | উরুগুয়ে |
চিলি | ১৯৫৫ | আর্জেন্টিনা | চিলি | পেরু |
উরুগুয়ে | ১৯৫৬ | উরুগুয়ে | চিলি | আর্জেন্টিনা |
পেরু | ১৯৫৭ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | উরুগুয়ে |
আর্জেন্টিনা | ১৯৫৯ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে |
ইকুয়েডর | ১৯৫৯ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
বলিভিয়া | ১৯৬৩ | বলিভিয়া | প্যারাগুয়ে | আর্জেন্টিনা |
উরুগুয়ে | ১৯৬৭ | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা | চিলি |
– | ১৯৭৫ | পেরু | কলম্বিয়া | ব্রাজিল |
– | ১৯৭৯ | প্যারাগুয়ে | চিলি | ব্রাজিল |
– | ১৯৮৩ | উরুগুয়ে | ব্রাজিল | প্যারাগুয়ে |
আর্জেন্টিনা | ১৯৮৭ | উরুগুয়ে | চিলি | কলম্বিয়া |
ব্রাজিল | ১৯৮৯ | ব্রাজিল | উরুগুয়ে | আর্জেন্টিনা |
চিলি | ১৯৯১ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | চিলি |
ইকুয়েডর | ১৯৯৩ | আর্জেন্টিনা | ম্যাক্সিকো | কলম্বিয়া |
উরুগুয়ে | ১৯৯৫ | উরুগুয়ে | ব্রাজিল | কলম্বিয়া |
বলিভিয়া | ১৯৯৭ | ব্রাজিল | বলিভিয়া | ম্যাক্সিকো |
প্যারাগুয়ে | ১৯৯৯ | ব্রাজিল | উরুগুয়ে | ম্যাক্সিকো |
কলম্বিয়া | ২০০১ | কলম্বিয়া | ম্যাক্সিকো | হন্ডুরাস |
পেরু | ২০০৪ | ব্রাজিল | আর্জেন্টিনা | প্যারাগুয়ে |
ভেনেজুয়েলা | ২০০৭ | ব্রাজিল | আর্জেন্টিনা | ম্যাক্সিকো |
আর্জেন্টিনা | ২০১১ | উরুগুয়ে | প্যারাগুয়ে | পেরু |
চিলি | ২০১৫ | চিলি | আর্জেন্টিনা | পেরু |
যুক্তরাষ্ট্র | ২০১৬ | চিলি | আর্জেন্টিনা | কলম্বিয়া |
ব্রাজিল | ২০১৯ | ব্রাজিল | পেরু | আর্জেন্টিনা |
ব্রাজিল | ২০২১ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল | কলম্বিয়া |