কোমর ব্যথা কেন হয়! বন্ধুরা অনেকেই তো কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন । হাড়ের ক্ষয়, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ক্যালসিয়ামের অভাব ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। কোমরে ব্যথায় এই ঘরোয়া টোটকাগুলি ব্যবহার করলে, ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো। চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,,
আদা- আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়ামের অভাবের ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হলুদ- দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।
মেথি বীজ- মেথি বীজের গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্যথার জায়গায় এই মিশ্রণ লাগালে উপকার পাবেন।
লেবুর শরবত- লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি যন্ত্রণা উপশমে খুবই কার্যকারী। অ্যালোভেরা- প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরা শরবত খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য- প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ, ঘি, চিজ, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
যাদের বয়স প্রায় চল্লিশ তাদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন
কোমর ব্যথার যত কারণ
লাম্বার স্পনডাইলোসিস; কোমরে পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পনডাইলোসিস বলে।
এলআইডি; কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ এলআইডি। ৩০ থেকে ৪০ বছর যাদের বয়স তাদের এ সমস্যাটি হতে পারে। মানুষের হাড়ের মধ্যে ফাঁকা জায়গা থাকে। এই ফাঁকা জায়গাটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। এই চাকতি যদি কোনো কারণে বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুর ওপরে চাপ পরে। ফলশ্রুতিতে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
নন স্পেসিফিক লো ব্যাক পেইন; এর কারণ অনেক আবার চিকিৎসকেরা বলে থাকেন অনির্দিষ্ট। মূলত অনির্দিষ্ট কারণে অনির্দিষ্ট কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে এই ব্যথা হয়। এটি তরুণ বয়সে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
অন্যান্য কারণ; এছাড়া বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। মেরুদণ্ডে টিউমার ও ইনফেকশন হলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। মাংসপেশি শক্ত হয়ে গেলে বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে কোমরে ব্যথা হতে পারে। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও কোমরে ব্যথা হয়। একটানা হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা কোলে কিছু বহন করলেও কোমরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোমর ব্যথা থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে
আগে জানতে হবে কোমর ব্যথা কেন হয়? একই স্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। জায়গা ছেড়ে মাঝে মাঝে উঠে পড়ুন।ফোনে কথা বলার সময় হেঁটে হেঁটে কথা বলুন।
দিনে যতো বেশি হাঁটবেন, ততো দীর্ঘদিন শরীরের অবস্থা ভালো থাকবে। কোমর ভাঁজ করে হালকা শরীরচর্চাও করতে পারেন। মাটিতে বসে কাজ করবেন না। এবং নরম ম্যাট্রেস বা ফোমের বিছানায় কখনোই শোবেন না। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
কোমর ব্যথায় ঘরোয়া চিকিৎসা;
সেঁক দিন: কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
আদা: আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়ামের অভাবের ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন নিয়ম মেনে আদা খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হলুদ: দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।মেথি বীজ: গুড়াঁ দুধের সঙ্গে মেথিবীজের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যথার জায়গায় ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
লেবুর শরবত: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি যন্ত্রণা উপশমে খুবই কার্যকারী।
অ্যালোভেরা: প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরা শরবত খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য: প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ, ঘি, পনির, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না।
অফিসে অনেক সময়ই একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে করতে মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা হয়। বসে কাজ করার সময় মেরুদণ্ডের জোর ও পেশিগুলোর যে শক্তি প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই হারিয়ে ফেলি আমরা। পরিচর্যার অভাবে বয়স বাড়ার অনেক আগেই ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকি।
ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অসুখ কমানোর আধুনিক চিকিৎসা ‘পেন ম্যানেজমেন্ট’। সেই বিভাগেরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাঞ্জলি রায়ের মতে, ক্রনিক এই সমস্যার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ এ পর্যাপ্ত ঘুম কার্যকরী। বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে দিনের পর দিন ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়া নিছক বোকামি।
আসুন জেনে নিই কোমর ও পিঠে ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
১. শরীরের গড়ন ও ধরন বুঝে জেনে নিন প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এ ছাড়া দৌড়নো, জগিং কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা সারাতে ও পেশির জোর বাড়াতে বিশেষ কাজে আসে।
২. ব্যথা হলে ও ঠাণ্ডা বা গরম সেঁক দিন। একবার হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যথার জায়গায় ধরে থাকুন ১৫ সেকেন্ডের মতো। তার পর আবার সেখানে ১৫ সেকেন্ডের জন্য কোল্ড ব্যাগ সেঁক দিন। এভাবে মিনিট ১০-১৫ সেঁক দেয়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পেশিকে শিথিল করবে। আর ব্যথা কমবে।
৩. ক্রনিক ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমান। ঘুমানোর সময় শোবার ধরনও ঠিক রাখুন।
৪. কোমর ও পিঠে ব্যথা প্রায়ই হলে জুতা বদলাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জুতা ব্যবহার করুন।
৫. পাতে হাড় শক্ত করার খাবার রাখুন। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও পেশির জোর বাড়ায়।
প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হলুদ- দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে। মেথি বীজ- মেথি বীজের গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্যথার জায়গায় এই মিশ্রণ লাগালে উপকার পাবেন।