উৎসব

ঈদুল আজহা উৎযাপনের তারিখ, মেসেজ ও উক্তি ২০২৪

কোরবানীর ঈদ কবে হবে! ইসলাম পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম ধর্ম।ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম হিসেবে পরিচিত।সারা পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম অনুসারীর সংখ্যা ২ মিলিয়ন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪%।

কোরবানীর ঈদ কবে হবে

ইসলাম ধর্মানুসারীগন সারা বিশ্বে মুসলিম নামে পরিচিত।গোটা বিশ্বের ৫০ টিরও বেশি দেশে মুসলিম উম্মাহ সংখ্যা গরিষ্ঠ জনসমষ্টি হিসেবে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি।এ ধর্মের মূল কথা,আল্লা এক এবং অদ্বিতীয়।আল্লাহ পরম দয়ালু এবং করুণাময়। একমাত্র তিনিই তার বান্দাদের জন্য যথেষ্ট এবং ইবাদত যোগ্য অভিভাবক।হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ বান্দা ও রাসূল।

অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দীর শুরুর দিকে পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে ইসলামের সূত্রপাত হয়।আল্লাহর সৃষ্টি প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর সময় কাল থেকেই ইসলামের সূচনা হয়।

অন্যান্য ধর্মের মতোই ইসলাম ধর্মেও বিভিন্ন রকম উৎসব আছে।মুসলিমরাও তাদের ধর্মীয় উৎসবে সামাজিকভাবে স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।ধর্মের বাইরেও যেকোনো উৎসব মানুষকে আনন্দ দেয়।উৎসবের আমেজে মানুষ নিজেকে হাওয়ায় মেলে ধরে

বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বিভিন্ন উৎসবের ফোয়ারা দেখা যায়।আমাদের বাংলাদেশেও তার বিপরীত কিছু হয় না।ধর্ম,বর্ণ,নির্বিশেষে স্নেহ,সম্প্রীতি,ভালোবাসায় পরিপূর্ণ আমাদের এ বাংলাদেশ।এ দেশে বিভিন্ন ধর্মাম্বলীর মানুষ ভালোবাসা সিক্ত হয়ে সহনশীল ভাবে বসবাস করে।মুসলিম ধর্মপ্রধান এ দেশে সবাই মিলেমিশে বিভিন্ন উৎসবে অংশ নেয়।মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ২ টি। ১.ঈদ-উল-ফিতর,২.ঈদ -উল-আযহা।মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় এদেশে ঈদকে সবচেয়ে বড় প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।ঈদ মানেই খুশি।ঈদ প্রতিটি ঘরে ঘরে খুশির বার্তা নিয়ে আসে। (কোরবানীর ঈদ কবে হবে)

মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করে। আজকের অনুচ্ছেদের এ পর্যায়ে আমরা মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ -উল -আযহার সম্ভাব্য তারিখ ও বার জানবো।

ঈদ যেহেতু চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সেহেতু আকাশে চাঁদের আগমনের উপর ঈদ -উল-আযহার তারিখ ও বার নির্ভর করে।ঈদ -উল-আযহা অর্থ হলো ত্যাগের ঈদ।প্রতিবছর জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে ঈউ -উল -আযহা অনুষ্ঠিত হয়।তবে ধারণা করা হচ্ছে,আসন্ন জুন মাসের ১৬ জুন, ২০২৪ তারিখে ঈদ-উল-আযহা পালিত হতে পারে।

বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও চাঁদ দেখা কমিটি প্রতি বছরেই ঈদের তারিখ ঘোষণা করে।এ বছরেও চাঁদ দেখার মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগণের নিকট ঈদের সুসংবাদ পৌঁছে দেওয়া হবে।

ঈদ-উল-আযহা হচ্ছে ধর্ম প্রাণ মুসল্লিদের কাছে একটি ত্যাগের উৎসব।এ ঈদ মুসলিমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য পশু কোরবানীর মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে।ঈদ-উল -আযহার অন্যতম একটি বিশেষ আর্কষণ হচ্ছে পবিত্র হজ্ব পালন।যা ইসলামের স্তম্ভগুলোর মধ্যে একটি।দেশ দেশান্তর থেকে আল্লাহ ভীরু মুসলিমরা হজ্ব করার প্রয়াসে মক্কায় পাড়ি জমান।আরবী জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন মুসলিমরা সিয়াম পালন করে থাকেন।তবে মহান আল্লাহ,সবার জন্য এ সিয়ামকে ফরজ করে দেননি।

মুসলিম ধর্মাম্বলি পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। গত ২ বছর মহামারী করোনা ভাইরাসের জন্য মুসলিমদের মাঠে নামাজ আদায় করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।তবে এ বছর যেহেতু রোজার ঈদের নামাজ মাঠে আদায় করা হয়েছে তাই আশা করা যায় ঈদ-উল-আযহার নামাজও মাঠে হবে।

ঈদ মানেই হাসি,খুশি,সম্প্রীতি।ঈদ মানেই উৎসবের আমেজে ভরপুর দেশ।শত বাঁধা-বিপত্তিকে পেছনে ফেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিষ্ঠা ভরে সুস্হ্য শরীরে ঈদ উদযাপন করুন।ভালো থাকুন,ভালো রাখুন।

সুপ্রিয় পাঠক,সামনে আসতে চলেছে মুসলিম বিশ্বের প্রধাণ ২য় উৎসব ঈদ-উল-আযহা।হাসি,খুশি,উৎসব,আমেজের বার্তা নিয়ে ঈদ আসে।প্রিয়জনের আগমন এবং ভালোবাসার সিক্ততা নিয়ে ঈদ আসে।প্রিয়জনকে ঈদের শুভেচ্ছা সবাই জানাতে চায়।তবে আপনার শুভেচ্ছা জানানোর ধরণটা যদি একটু ভিন্ন রকম হয় তাহলে কেমন হবে বলুন তো!!! আপনার কথা চিন্তা করেই আজ আমাদের ব্যতিক্রমী আয়োজন।হ্যাঁ পাঠক,আজ হাজির হয়েছি ঈদ শুভেচ্ছার কবিতা সমারোহ নিয়ে।আশা করছি আপনার প্রিয়জন ব্যতিক্রমী শুভেচ্ছা পাবেন।

কোরবানীর ঈদ কবে হবে

১। আসসালামুয়ালাইকুম

এই যে শুনছেন,আমার সালাম নিন,

সামনে কিন্তু ঈদের দিন।

ঈদ হবে ১০ তারিখ জিলহজ্ব মাসে,

প্রিয়জনকে অবশ্যই রাখবেন পাশে।

বছর গেলে সময় ঘুরে ঈদ আসে ২ বার,

উৎসব,আনন্দে,হাসি,উল্লাসে কাটাতে চাই বারবার।

খাওয়া-দাওয়া,ঘোরা-ফেরা চলে  সারা বেলা,

ঈদ শেষে আবার করি ভাঙ্গা-গড়ার খেলা।

বছর ঘুরে ঘটে চলে কত শত সর্বনাশ,

ঈদ এলে সবার মনে খুশি রাশ রাশ।

ধণী,গরিব নির্বিশেষে সবাই নামাজে যায়,

ঈদ মানে সম্প্রীতি মনে রাখবো তায়।

ঈদের খুশিতে সব অভিমান ভূলে শান্ত থাকুক মন,

পরিবার নিয়ে হাসি,আনন্দে কাটুক সবার সারাজীবন।

২.মেঘের পরে মেঘ জমেছে

  সবার ঘরে ঈদ এসেছে।

  বছর ঘুরে এলো দিন,

  সুখ আনন্দ খুঁজে নিন।

  ঈদ হবেনা একজনে,

  খুশি থাকুক সবার মনে।

  ধণী,গরিব সবাই মিলে

  হারিয়ে যাই স্বপ্নের নীলে।

  ঘোরা-ফেরা সাবধানে করি

   আছে কিন্তু মহামারী।

   সবার কাছে শেষ নিবেদন

    ঈদের অর্থে গড়ে উঠুক জীবন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।