লাইফস্টাইল

এই ৯টি পুষ্টিকর খাবার গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় রাখতেই হবে

গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকা

গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকা! গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টি কর খাবার খাওয়া দরকার। এ সময়ে বাচ্চা ও মাকে সুস্থ্য থাকার জন্য পিুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অব্যশই সুষম, স্বাস্থ্যকর, ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এটি গর্ভ কালীন সময়ে আপনার ও বাচ্চার সুস্থ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। গর্ভের শিশুর উপযুক্ত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশুর বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে।

১/ দুগ্ধ জাতীয় খাবার

গর্ভবতী অবস্থ্যায় মা ও ‍শিশুকে সুস্থ্য থাকার জন্য দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে। দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষ করে দই খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকার। দই অন্যান দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে বেশি ক্যালসিয়াম বহন করে। বিভিন্ন ধরনের দই প্রোরবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে সাহায্যে করে যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে।

২/ শুঁটি

বিভিন্ন প্রকার শুঁটি যেমন- মটরশুটি, শিম , ছোলা, সয়াবিন , চিনাবাদাম ইত্যাদি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ গর্ভবতী মায়েরা ভিটামিন ৯ এর অভাব পূরন করতে পারে না। এই ভিটামিনের অভাবে শিশুর নানান সমস্যা হয়ে থাকে। শিশুর ওজন সঠিকের তুলনায় কম হয়। এবং পরবর্তীতে শিশুর ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

শুঁটিতে সাধারনত প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ৯ থাকে যা শিশুদের এই সমস্যা দুর করে দেয়। শুঁটি উচ্চমানের আঁশ সরবরাহের পাশাপাশি আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাসও বহন করে থাকে।

৩/ মিষ্টি আলু

গর্ভবতী মায়েদের জন্য মিষ্টি আলু খাওয়া দরকার। মিষ্টি আলু শরীরের বিভিন্ন কোষ ও টিস্যুর বেড়ে উঠার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

গভূবতী মহিলাদের সাধারনত ডাক্তারেরা বলেন যে পরিমানের প্রতিদিন ১০-৪০ % ভিটামিন এ গ্রহন করা। ঠিক এ কারনেই উদ্ভিদ হতে তৈরি মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ আছে। এছাড়া মিষ্টি আলু আঁশ বহন করে, রক্তে চিনির পরিমান কমায়, এবং হজম শক্তিতে অনেক ভূমিকা পালন করে।

৪/ রুই মাছ

গর্ভাবস্থায় মায়েদের বেশি করে রুই মাছ খাওয়া দরকার। গভুবতী মায়েদের ওমেগা ৩ কমে যায়। রুই মাছে ওমেগা ৩ আছে । সে জন্য গর্ভবতী মায়েদেরকে রুই মাছ খাওয়া দরকার। তাছাড়া যে সব গর্ভবতী মায়েরা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চর্বি যুক্ত মাছ খেয়ে থাকে । তাদের এই অভাবটি পূরন হয়ে থাকে। তাছাড়া ইহা ভিটামিনের একটি অন্যতম উপাদান যা শরীরের এই সমস্যাটি দুর করে থাকে।

৫/ ডিম

ডিম হলো একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। যা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ডিম দিয়ে পূরন হয়ে থাকে। একটি বড় মাপের ডিম ৭৭ ক্যালরি শক্তি বহন করে থাকে। সেই সাথে বহন করে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও চর্বি।

গবেষনাঢয় দেখা গেছে যে বেশির ভাগ মানুষ কোলিন এর সমস্যায় ভুগছেন। কোলিনের পরিমান কম হলে শিশুর ব্রেইন তৈরিতে সমস্যা হয় এবং শিশু নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। সে জন্য গর্ভবতী মায়েদের ডিম খাওয়া দরকার।

৬/ সবুজ শাক সবজি

বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, এমন অনেক সবজি আছে যা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বহন করে থাকে। সে সব কিছু একটি গর্ভবতী মায়ের খাওয়া দরকার।

সাধারনত এগুলো বহন করে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, উত্যাদি। বলাবাহুল্য যে এসব খাবারে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । সে জন্য গর্ভবতী  মায়েদের বেশি করে সবুজ শাক সবজি খাওয়া দরকার।

৭/ মাংস

গর্ভবতী মায়েদের বেশি করে মাংস খাওয়া দরকার। বিশেষ করে খাসির মাংস, গরুর মাংস, মুরগির মাংস অব্যশই উচ্চমানের প্রোটিন আছে। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকার। বিশেষ করে গরুর মাংসে আছে আয়রন, কোলিন, এবং ভিটামিন বি যা প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য দরকার।

আয়রন দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন খনিজ উপাদান যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের কার্যকারীত বাড়ায়। বিশেষ করে ৬-৭ মাসে গর্ভবতীদের আয়রনের ঘাটতি হয়ে থাকে । যা সময়ের আগে বাচ্চা হয় এবং শিশুর নানান সমস্যা হয় এবং ওজন কম হয়। সে জন্য গর্ভবতী মায়েদের প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার।

৮/ শুকনো ফল

শুকনো খাবারে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি, আঁশ ও ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকার। এছাড়াও শুকনো ফল গ্রহন করে ভিটামিন , আয়রন এবং পাটাসিয়াম। তাছাড়া গর্ভবতী মায়েদের প্রচুর পরিমানে খেতে হয়। অনেক সময় ভাড়ি খাবার খেতে ইচ্ছে করে না ।

সে জন্য শুকনো খাবার খাওয়া দরকার। যে সব খাবারে পুষ্টি আছে সে সব খাবার খেতে হবে। আপেল, আঙ্গুর, বেদানা, খেজুর, কলা ইত্যাদি । গর্ভবতী মায়েদের ও বাচ্চার সুস্থ্যতার জন্য এসব খাবার খাওয়া দরকার।

৯/ পর্যাপ্ত পানি

গর্ভাবস্থায় যেমন বেশি করে খাবার খাওয়া দরকার ঠিক তেমনি খাবারের  পাশাপাশি পর্যপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে। তাহলে বাচ্চা সুস্থ্য থাকবে। পানি সঠিক পরিমানে পান না করলে শরীরের ডিহাইড্রেশন বেড়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন পরিমান মত পানি পান করতে হবে। দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পানি পান করতে হবে। তাহলে মা বাচ্চা দুজনেই সুস্থ্য থাকবে। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকা

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।