লাইফস্টাইল

ঘি খাওয়ার নিয়ম ও ঘি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘি খাওয়ার নিয়ম

বন্ধুরা আপনারা কি জানেন কি মানুষের শরীরে কি কি কাজ করে, আর কি খেলেই এর কি কি উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে।ঘি খাওয়ার নিয়ম। শরীরের জন্য ঘি এর উপকারিতা অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সহ আজকের এই পোস্টটিতে আমি বিস্তারিত আলোচনা। তো বন্ধুরা পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে এসব কিছু বুঝতে পারবেন।

শীতের দিনে শরীর গরম রাখার জন্য ঘি এর ব্যবহার

দৈনন্দিন জীবনে মানুষের শরীরকে এবং শরীর সুস্থ রাখতে প্রত্যেকটি মানুষের দরকার পুষ্টিকর খাবার। শরীরের জন্য খাঁটি ঘি এর উপকারিতা অপরিসীম। খাঁটি ঘি এর কিছু বিস্ময়কর উপকার আছে যা শরীরের জন্য উপকারী। এটি আবার সম্পূর্ণ চর্বি জাতীয় খাবার।

ঘি নিয়ে অনেকেরই অনেক মন্তব্য, তবে গবেষণায় জানা গেছে শরীরের জন্য বা স্বাস্থ্যের জন্য ঘি এর উপকারিতা অপরিসীম এবং ঘি আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য একটি বিশেষ উপকারী উপাদান। শরীরের দুর্বলতা কাটাতে, সর্দি কাশি দূর করতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এবং শীতের দিনে শরীর গরম রাখার জন্য ঘি এর ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া ঘি দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে খেলে গলার বিভিন্ন সমস্যা বা গলা ব্যথা দূর হয়।

ঘি এর উপকারিতা দেওয়া হল:একজন ভারতীয় গবেষকের মতে শীতকালই হলো ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়। ওই সময় এটি সহজে শরীরকে গরম রাখে এবং হজম সহজে হয়। ঘি তে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। পেশী সুগঠিত রাখার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য ঘি এর উপকারিতা অপরিসীম। তাছাড়া শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে ঘি আমাদের রক্ষা করে।

ঘি কি ;ইংরেজিতে ঘি কে ক্লারিফাইড বাটার বলা হয়। এতে রয়েছে 99 দশমিক 9 শতাংশ চর্বির পরিমাণ। বাকি জলীয় উপাদান, দুধের পুরা অংশ এবং চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে এক শতাংশ। বাহিরের তাপমাত্রাতেও ঘি কে সংরক্ষণ করা যায় কারণ এতে রয়েছে মূলত সম্পৃক্ত চর্বি। চর্বি থাকার কারণে ঘি বাহিরের তাপমাত্রায় নষ্ট হয় না।

ঘি কিভাবে তৈরি হয়; সাধারণত গরু ছাগলের দুধ থেকে ঘি তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে বেশি ঘি তৈরি করা হয় গরুর দুধ থেকে। প্রথমে দুধ কে বাটার বা মাখন বানাতে হবে। তারপর সে বাটার ভালোভাবে মথিত করে নেওয়ার পর বেশি করে জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার কারণে তৈলাক্ত কিছুটা আঠালো এক ধরনের মিশ্রন সৃষ্টি হবে যে মিশ্রণের নাম ঘি।

সাধারণত এভাবেই ঘি তৈরি করা হয়। তবে অনেকেই দুধ জ্বাল দেওয়ার ফলে উপরের দিকে পাতলা একটি শহরে। সেই শহর জমিয়ে জমিয়ে একটি পাত্রে রাখেন। তারপর সেই শহরগুলোকে একত্র করে জ্বাল দেন। জ্বাল দেওয়ার ফলে ঐ শ্বর থেকেও উৎপন্ন হয়।

ঘি এর উপকারিতাঃঘি এর উপকারিতা এর কোন শেষ নেই। তার মধ্যে কিছু উপকারিতা আমি এই ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরছি। আপনারা সম্পূর্ণভাবে ব্লক টিপ পরলে ঘি এর উপকারিতা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

চোখ ভালো রাখতে ঘি এর উপকারিতাঃঘি এর মধ্যে ভিটামিন এ থাকার কারণে আমরা নিয়মিত খেতে পারি। এটি বিশেষ করে অপটিক নার্ভ এর উন্নয়ন ঘটায়। যার কারণে আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে। শুধু তাই না ঘিয়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

যার ফলে যেকোনো রোগ সহজে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি এটাও বুঝতে পারছেন আপনারা যে ঘি আপনি নিয়মিত খেলে আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে এবং দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে তা ভালো করার চেষ্টা করবে।

ভিটামিনের উৎস হিসেবে ঘি এর উপকারিতা

আমরা আগেও জেনে এসেছি যে অনেকগুলো ভিটামিন পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই ও ভিটামিন ডি।

প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হওয়া একই এর মধ্যে ব উবরয়েছে বিউটারিক অ্যাসিড লিইনোলিক এসিড।এর সাথে কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি ও আছে। যার ফলে আপনি যদি চর্বিজাতীয় খাবার এর সাথে এটা খান তাহলে আপনার শরীরে এটি ভালোভাবে শোষিত হবে।

ঘি এর মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে পাওয়া যায়। আরো ভিটামিন ক্যালসিয়াম এর সঙ্গে মিলে হার সংস্থা গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন আমাদের দেহের শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর ইনসুলিন এর ভূমিকা পালন করে। আমাদের হৃদপিণ্ড ও হাড়ের জন্য বিশেষভাবে উপকারী কিছু ভিটামিন রয়েছে এই ঘি এরমধ্যে। আর্থাইটিস ও গিটে ব্যথার জন্য ঘি এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডও এর মধ্যে রয়েছে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারিতাঃ নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ঘি এর কোন তুলনা হয় না। শরীরকে চাঙ্গা করে এবং ব্রেন পাওয়ার কে উন্নতির দিকে নিয়ে যায়।

ঘি এর ওমেগা ৬এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড গুলো শরীর ও মনকে উন্নত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় পাওয়া গেছে এই দুই ধরনের এসিড ডিমেনশিয়া রোগের প্রতিরোধ হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমরা বুঝতে পারলাম যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ঘি এর উপকারিতা অপরিসীম।

গরুর দুধের তৈরি ঘিয়ের উপকারিতা:  গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক:

১. গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে।

২. চোখের জ্যাতি বাড়ায়।

৩. বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে ব্যবহৃত হয় ঘি।

৪. মানসিক চাপ,উদ্বেগ কমিয়ে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৫. ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী।

৬. ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।

৭. গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে।

৮. ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়।

৯. ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।

কি মানুষের শরীর ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই প্রত্যেক মানুষের ঘি খাওয়া অবশ্যই দরকার। কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেক মানুষের খেতে পারে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন কি মানুষের শরীরের দীর্ঘ আয়ু বৃদ্ধি করে। তো বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই এরকমই নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব সার্টিফিকেট করতে থাকুন ।সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।