ঠিকানা

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে করা হয় ! জানুন এক মজার তথ্য

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয়! হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন , আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে শুরু করছি একটি অন্যরকম পোস্ট নিয়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয়

আপনার মনে কখনো কি এই প্রশ্ন জাগেনি যে সিডর, নার্গিস, আইলা ,মহাসেন, মোরা, ফনী ইয়াস, আসানি, এইসব ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে করা হয়েছে। আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান বা ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে করা হয়। তাহলে এই পোস্টটি আপনারই জন্য তাই এই পোস্টটি স্কিপ না করে পুরো পোস্টে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, এবং ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ সম্পর্কে জানুন। তাহলে বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করার যাক আজকের পোস্ট।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে করা হয়

  • সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘আসানি’। বাংলায় বলা হচ্ছে, ‘অশনি’। ‘আসানি’ শব্দটি সিংহলি ভাষার শব্দ। এর অর্থ ‘ক্রোধ’। আর বাংলা ‘অশনি’ শব্দের অর্থ হলো ‘বজ্র’। যা কঠোর ঝড়ের ইঙ্গিত করা হয়।
  • ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের তৃতীয় ও গভীর নিম্নচাপ এবং এই বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় বলা হয়েছে। এটি ভারতের দক্ষিণ আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ থেকে তৈরি হয়েছিল, বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করেন। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ প্রথম একে পর্যবেক্ষণ করে ৭ মে জানিয়ে দিয়েছিল।
  • জাতিসংঘের ‘বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) -এর তথ্যানুযায়ী, একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলে একই সময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়ে তা এক সপ্তাহ বা আরও বেশি সময় টিকে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্ত । তাই বিভ্রান্তি এড়াতে, ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও প্রশমনের জন্য প্রতিটি ক্রান্তীয় ঝড়ের নামকরণ করা হয়। যার মাধ্যমে ঝড়ের ধ্বংসাত্মক কে পরিচয় পাওয়া যায়।
  • বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র অববাহিকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া দপ্তর’ (আরএসএমসি) ও ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস’ (টিসিডব্লিউএস)-এর উপর। তারাই মূলত ঠিক করে ঘূর্ণিঝড়ের নাম। তারা ঘূর্ণিঝড়টির উপর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় তাদের নামকরণের, প্রধান কয়েকটি লক্ষ্য থাকে। যেমন ঘূর্ণিঝড় কেমন বেশি ধ্বংসাত্মক না কম ধ্বংসাত্মক।। এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়।
  • বিশ্বজুড়ে ৬টি আরএসএমসি ও ৫টি টিসিডব্লিউএস রয়েছে। যারা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করে। আর ভারতের ‘আবহাওয়া দপ্তর’ (আইএমডি) ও নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ‘আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া দপ্তর’ (আরএসএমসি) ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ও এর সঙ্গে লাগোয়া বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে থাকে।
  • উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট কোনো ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার হলে সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম হিসেবে সাধারণত সংক্ষিপ্ত ও সহজে উচ্চারণযোগ্য শব্দ বেছে নেওয়া হয়। যার কারণে সবাই নামটি ভালো করে উচ্চারণ করতে পারে। এভাবে মূলত ঘূর্ণিঝড়ের নাম করন করা হয়।
  • ১৯৫৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের তৈরি তালিকা অনুযায়ী আটলান্টিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়, বলে জানা যায়।(ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কিভাবে হয়)
  • বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে সাধারণত নারীদের নাম ব্যবহার করে। কারণ নারীদের মতো ধ্বংসাত্মক ছিল এই ঘূর্ণিঝড় তাই এখানে নারীদের নাম ব্যবহার করা হতো। ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে যে নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে তা হলো, ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে হবে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ।

আজকে বন্ধুরা এতটুকুই। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিতভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে আমাদের এই ওয়েবসাইটে। তাই বন্ধুরা এই পোষ্টের দ্বিতীয় পাঠ করার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ রইল। তাই বন্ধুরা আমাদের ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকুন আরও এরকমই মজার মজার পোস্ট পড়তে থাকুন। পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।