লাইফস্টাইল

টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে ফলো কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

চুল পড়ার কারণ

চুল পড়ার কারণ! বন্ধুরা আপনারা অনেকেই চুলের নানা রকম সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া অন্যতম। নারী বা পুরুষ সবাই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। শীতকালে তো চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নতুন চুল গজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সবাই।

নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার

নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার আর চুল পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানলেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায়ে নতুন চুল গজাবে-

হেয়ার ম্যাসাজ: ম্যাসাজ করলে নতুন চুল গজাবে খুব শিগগিরই। এজন্য তেল বা হেয়ার মাস্ক মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও নতুন চুল গজাবে। নিয়মিত চুল চিরুনি করতে ভুলবেন না যেন!

নারকেল তেল: চুলের জন্য নারকেল তেল সবচেয়ে কার্যকরী। এ তেল ব্যবহারে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পায়। নারকেল তেলে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এজন্য দ্রুত চুল লম্বা হয়, সেইসঙ্গে নতুন চুল গজায়। এ ছাড়াও চুল হয় ঝলমলে ও কোমল।

খাবারে ওমেগা রাখুন: চুলের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এক উপাদান হলো ওমেগা। চুল পড়ার সমস্যা রোধে ও নতুন চুল গজাতে উপাদানটি কাজ করে। তবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ওমেগা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের প্রভাব চুলের উপরও পড়ে থাকে। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়। ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। এ কারণেই ধূমপায়ীদের চুল দ্রুত পেকে যায় ও টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রোটিন গ্রহণ: প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। যখন আপনার শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাবে না; তখনই চুল পড়া শুরু হয়। দিনে অন্তত ৫০-১০০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। তবে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখেই তা গ্রহণ করতে হবে।

খাবারে ভিটামিন: পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। শরীর যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন না পায়, তবে চুলেও পুষ্টি পৌঁছায় না। এজন্য সুষম খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। এতে নতুন চুল গজাবে দ্রুত আর চুল পড়াও বন্ধ হবে।তবে চুলের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো- ভিটামিন-এ, বায়োটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, আয়রন এবং জিঙ্ক।

শ্যাম্পু করার পর নিমের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে

চুল একবার পড়তে শুরু করেছে তো থামাথামির নাম নেই। এদিকে মাথার তালু ফাঁকা হতে শুরু করলো বলে! স্বাভাবিক নিয়মি প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল পড়বেই। তবে চুল পড়ার পাশাপাশি নতুন চুল যদি না গজায়, তখনই চুল পাতলা হতে শুরু করে। এখন এই নতুন চুল গজানোর বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার ওপর। আপনি কী খাচ্ছেন, কীভাবে যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে নতুন চুল গজাবে কি না।

যত্ন নিলে কী না সুন্দর হয়! চুলও ঠিক তাই। যত্ন নিলে সুন্দর হবেই। গজাবে নতুন চুল। কিন্তু শুধু তো যত্ন নিলে হবে না, জানতে হবে যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায়। কোনটি সঠিকভাবে কাজ করে, কোনটি করে না তাও জেনে নিতে হবে। কারণ অনেক উপকারী উপাদানও সঠিক প্রয়োগের অভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর কার্যকরী উপায়গুলো-

নিমপাতার ব্যবহার-ত্বকের নানা সমস্যা সারাতে বেশ পরিচিত নিমপাতা। শুধু ত্বক নয়, চুলের যত্নেও নিমপাতা বেশ কার্যকরী। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে উপকারী এই পাতা। এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন।

শ্যাম্পু করার পর নিমের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এটি করতে হবে সপ্তাহে একদিন। মাথার ত্বকে কোনো ধরণের সংক্রমণ বা খুশকির সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করবে নিমপাতা। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং নতুন চুল গজানো সজে হবে।

পেঁয়াজের রস-পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝালো গন্ধ আপনার কাছে বিরক্তিকর লাগতেই পারে কিন্তু এটি আপনার চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে দারুণভাবে কাজ করে।

কয়েকটি পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে নিয়ে এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩ বার। এতে চুল ও স্ক্যাল্পের অনেক সমস্যা দূর হবে। গজাবে নতুন চুল।

মেথি-চুলের যত্নে উপকারী উপাদান হলো মেথি। এটি নতুন চুল গজাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পরিষ্কার পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেই ব্লেন্ড করা মেথি চুলে সরাসরি ব্যবহার করুন বা দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

কালো জিরা ও মেথি-কালো জিরা ও মেথি প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর গুঁড়া করে নিয়ে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তেলের এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। সপ্তাহে তিনদিন এটি চুলে ব্যবহার করুন।(চুল পড়ার কারণ)

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।