ঠোঁটের যত্নে করনীয়! আপনারা যারা লিপস্টিক ব্যবহার করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা ব্রান্ড তাদের লিপস্টিকের বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে। যা আপনার ঠোঁটের জন্য কখনো কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।অনেক সময় দেখা যায়, নামি কোম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। তাই সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।
ঠোঁটের কালচে দাগের কারন যে শুধু গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে এমন নয়
অনেক সময় আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ ও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাই ত্বকের মতো ঠোঁটেরও সমান যত্ন নেয়া জরুরি।সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ধূমপানের অভ্যাসও ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তোলে ঠোঁটকে। আর অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা থেকেও ঠোঁটে হতে পারে কালচে দাগ।
আসুন জেনে নিই ঠোঁটের যত্নে করনীয় কালচে দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
১. ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করতে চিনিকে স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
২. ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে ব্যবহার করতে পারেন মধু। আর তাই ঠোঁটের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন মধু। কেবল কালচে ভাব দূর করতেই নয়, ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু খুব ভালো কাজ করে। ঘুমানোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
৩. প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি খুব ভালো কাজ করে। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়াও দূর হয়। ২ চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই পেস্ট দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
৪. লেবুর রস খুব ভালো ব্লিচিং। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করলে কালচে ভাব দূর হবে।
৫. প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে বরফ ঘষুণ। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
৬. দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। দুধের সরে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান প্রতিদিন।ঠোঁটে কালো দাগ দূর করতে ১৩টি টিপস জানা আছে কি?
ঠোঁট কেন কালো হয়
অনেক কারণেই ঠোঁট কালো হতে পারে বা ঠোঁটে কালো কালো দাগ পড়তে পারে। যেমন- ব্যস্ত কর্মজীবন, স্ট্রেস, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাতাসের আর্দ্রতা, শারীরিক অসুস্থতা।তামাক সেবন, ধূমপান করা, কেমোথেরাপি, অতিরিক্ত ফ্লুরাইডের ব্যবহার, নিম্নমানের কসমেটিকসের ব্যবহার, রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক না তোলা, সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে, স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা।
ঠোঁটের যত্নে করনীয়! ঠোঁটে কালো দাগ প্রতিকার
খুব সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ঠোঁটের হারানো গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য দামী কোনও প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই।
১. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করেন, তখন টুথপেস্টের কিছুটা আপনার ঠোঁটের উপর লাগিয়ে প্রলেপ দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা শেষ হলে হাতের ব্রাশটি দিয়ে ঠোঁট ব্রাশ করুন। এজন্য ব্রাশটিকে অবশ্যই নরম হতে হবে এবং অনেক হালকাভাবে ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের এবং ঠোঁটের চারপাশের মৃত কোষগুলো উঠে আসবে, সতেজ হবে ঠোঁট এবং এর চারপাশ।
২. প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের জন্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই ট্রিটমেন্টে আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরে আসবে। নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই কালো দাগ কমে আসবে।
৩. লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগালেও একই উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেল এবং নারিকেল বেটে সাদা রস ঠোঁটে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে।
৪. পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন, পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।
৫. দুধের সরের সাথে ডালিমের বিঁচির গুঁড়ো মিক্স করে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে গোলাপী আভা আসবে। এক্ষেত্রে সর না নিয়ে ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটে কালো দাগ দূর করতে ১৩টি টিপস
ঠোঁট কেন কালো হয়?অনেক কারণেই ঠোঁট কালো হতে পারে বা ঠোঁটে কালো কালো দাগ পড়তে পারে। যেমন- ব্যস্ত কর্মজীবন, স্ট্রেস, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাতাসের আর্দ্রতা, শারীরিক অসুস্থতা, তামাক সেবন। ধূমপান করা, কেমোথেরাপি, অতিরিক্ত ফ্লুরাইডের ব্যবহার, নিম্নমানের কসমেটিকসের ব্যবহার। রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক না তোলা, সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে, স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা।
ঠোঁটে কালো দাগ প্রতিকার
খুব সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ঠোঁটের হারানো গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য দামী কোনও প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই।
১. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করেন, তখন টুথপেস্টের কিছুটা আপনার ঠোঁটের উপর লাগিয়ে প্রলেপ দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা শেষ হলে হাতের ব্রাশটি দিয়ে ঠোঁট ব্রাশ করুন। এজন্য ব্রাশটিকে অবশ্যই নরম হতে হবে এবং অনেক হালকাভাবে ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের এবং ঠোঁটের চারপাশের মৃত কোষগুলো উঠে আসবে, সতেজ হবে ঠোঁট এবং এর চারপাশ।
২. প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের জন্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই ট্রিটমেন্টে আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরে আসবে। নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই কালো দাগ কমে আসবে।
দাগ দূর করতে লেবুর রস বাদাম তেল – shajgoj.com৩. লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগালেও একই উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেল এবং নারিকেল বেটে সাদা রস ঠোঁটে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে।(ঠোঁটের যত্নে করনীয়)
৪. পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন, পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।
৫. দুধের সরের সাথে ডালিমের বিঁচির গুঁড়ো মিক্স করে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে গোলাপী আভা আসবে। এক্ষেত্রে সর না নিয়ে ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
৭. প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার ঠোঁট থেকে লিপস্টিক বা লিপগ্লস তুলে ফেলুন। তুলে ফেলতে সামান্য একটু তুলায় অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল লাগিয়ে হালকা করে মুছে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ঠোঁটের এই মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য এটা বিশেষভাবে দায়ী।
৮. আমাদের ত্বকের অন্যান্য অংশের মত ঠোঁট থেকেও কিছুটা তেল উৎপন্ন হয়, একে বলে সেবাম। এটা খুব প্রয়োজনীয়। ঠোঁটকে তাই সবসময়ই আর্দ্র রাখতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় লিপবাম লাগিয়ে যেতে হবে। ঘরে থাকলে কোকো বাটার লাগিয়ে নিন। শুনে অবাক লাগতে পারে কিন্তু শুধু শীতকাল নয়, আপনার ঠোঁটকে গোলাপী রঙের করতে হলে সারা বছরই পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষায় এটা জরুরী।
৯. গোলাপের মত ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না, তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়িগুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্টটা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
১০. গাজরের রস করে একটা বাটিতে নিয়ে, তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে, রঙও ফিরবে একই সাথে।