লাইফস্টাইল

৩ লক্ষণে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কি-না

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ! বন্ধুরা আপনারা জানেন কি আমাদের এই পৃথিবীতে প্রতি ৭ সেকেন্ডে ১ জন করে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমস্যাগুলোর মতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে চলুন বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-

পরিমিত খাবার, শারীরিক শ্রম ও ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ থাকা যায়

পরিমিত খাবার, শারীরিক শ্রম ও ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন রোগটি শনাক্ত করা। অনেক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী জানেন না যে রোগটি পুষছেন। ডায়াবেটিস হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

পরিমিত খাবার, শারীরিক শ্রম ও ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থ থাকা যায়। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন রোগটি শনাক্ত করা। অনেক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী জানেন না যে রোগটি পুষছেন। তাই আগে জানা প্রয়োজন ডায়াবেটিস আছে কি না!

কিন্তু কী করে জানবেন সেটা? আসুন, দেখে নিই ডায়াবেটিস রোগের প্রধান লক্ষণগুলো কী কী?

*ঘন ঘন পানির পিপাসা।

*ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

*অতিরিক্ত ক্ষুধা।

*শরীরের ওজন কমে যাওয়া।

অন্যান্য উপসর্গ: প্রধান লক্ষণগুলো ছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যায়। এসব হলো শরীরে চুলকানি, বাত ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, ঘন ঘন চশমা বদল, পা জ্বালাপোড়া করা এবং অবশ বোধ করা, কাটা-ছেঁড়া সহজে না শুকানো। যদি আপনার এসব শারীরিক উপসর্গ থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

কাদের ঝুঁকি আছে: এ ছাড়া লক্ষণ না থাকলেও প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক লোকজনেরই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি, কায়িক পরিশ্রম করে না যারা, যাদের বাবা-মা, ভাইবোনের ডায়াবেটিস আছে, যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, যাদের রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরল ৩৫–এর নিচে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড ২৫০–এর বেশি। যেসব নারীর গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়েছিল ও যাঁদের হৃদ্রোগ রয়েছে।

শিশুদের ক্ষেত্রে: যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি, ফুফু, ভাই-বোনের ডায়াবেটিস আছে, যাদের শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে, যাদের জন্মের সময় ওজন কম ছিল এবং যেসব শিশুর মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: গর্ভাবস্থায় কখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না।এ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পরপরই একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে পাশাপাশি গর্ভকালীন ২৪-২৮ সপ্তাহের সময়ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যাদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয় তাঁদের প্রসবের ছয়-বারো সপ্তাহ পর পরীক্ষা করতে হবে।ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস হয়েছে কি-না বুঝে নিন মুখের ৩ লক্ষণে

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বড়েই চলছে। প্রতি বছর লাখ লাখ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যাধিতে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।

গ্লুকোজের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রায বেড়ে ওঠায় রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়।ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কমবেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। ডায়াবেটিস হলে অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি এবং খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়-

শুকনো মুখ-টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়।শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।

মাড়ির রোগ-শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে।এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়। মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত।

মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।

দাঁতের ক্ষতি-মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন।

যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেন না; তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়ে। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা।

আপনার কি করা উচিত? মুখের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জটিলতাগুলো রোধ করতে ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁতের যত্ন নিতে হবে।

ডায়াবেটিস হওয়ার পর সবাই পা এবং চোখের যত্নের দিকে মনোনিবেশ করেন। দাঁতের যত্ন নিতে ভুলেই যান। মনে রাখতে হবে, মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রতিও সচেতন হতে হবে।(ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ)

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।