লাইফস্টাইল

কুকুরমুতা বা তাম্রচূড়া গাছের ঔষুধি গুণ

তাম্রচূড়া গাছের ঔষুধি গুণ

তাম্রচূড়া গাছের ঔষুধি গুণ! এটির বৈঙ্গানিক নাম: Blumea lacear, সমনাম: Blumea lactucifolia, ইংরেজী নাম: lettuce leaf blumea। স্থানীয় নাম হচ্ছে কুকুর মূতা। কুকুরমূতা ব্লমিয়া গণের এ্যাস্টেরেসিয়া পরিবারের গ্লল্ম। এই প্রজাতিটি বাংলাদেশের সর্বত্রে পাওয়া যায়। এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহিত হয়।

কুকুরমুতা বা তাম্রচূড়া বিবরণ

কুকুরমুতু বা কুকুরশোকা হচ্ছে একটি তীব্র গন্ধ যুক্ত বর্ষজীবি গুল্ম। এটি সাধারনত ১-২ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এদের কান্ড গুলো অনেকটা রোমশ, খাড়া ও শাখাযুক্ত হয়ে থাকে। এটি সরল ,তবে পাতা ও কান্ডের সংযোগ স্থল থেকে অনেক গুলো ছোট ছোট শাখা বের হয়ে থাকে। পাতা গুলো অগোছাল কিন্তু ৫-১০ সেমি লম্বা হয়ে থাকে।

এবং ২-৬ সেমি চওড়া হয়ে থাকে। কিন্তু বোটাঁর দিকটা সরু ,কিনারা ঢেউ খেলানো, সক্ষম পশম , মনে হয় যেন পশম দিয়ে তৈরি।উজ্জ্বলহলুদরঙ্গেরফুলগুলোযেন৮মিমিপর্যন্তলম্বাহয়েথাকে।কিন্তুএইগাছটিরএকটাগন্ধআছে।যেগন্ধটাকুকুরেরখুবইপছন্দের।তাইএইগাছটিশুকলেইকুকুরমূত্রত্যাগকরেথাকে।

ঠিকএজন্যইএইগাছটিকেকুকুরমুতাগাছহিসেবেপ্রচলিত।এইগাছটিরগুচ্ছবদ্ধ  ফুল হয়ে  থাকে। এই ফুলের ভেতরটা হলুদ কালারের হয়ে থাকে যা থেকে এটি পরে বীজ কোষে পরিনত হয়। এই বীজ গুলা অনেকটা সোমরাজের মত দেখতে। বীজের মত এটির ছোট ছোট পুষ্প হয়। যা প্যারাসুটের মত উড়ে গিয়ে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় উড়ে গিয়ে বংশ বিস্তার করে।

কুকুর মুতা গাছের বিস্তার

এটি উত্তর পশ্চিম ভারতের সমভূমিতে ২০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জন্মে থাকে।গীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় এশিয়া থেকে দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায়।

গুনাগুন

কুকুরমুতা উষ্ণ, তীক্ষ এবং তেতো, ব্রঙ্কাইটিস, রক্তের সমস্যা, জ্বর, তৃষ্ণা ও জালাপোরা কমাতে সাহায্যে করে। মূল মুখের রোগ সারাতে সাহায্যে করে বলে জানা যায়। ভারতের কোঙ্কন জেলায় এটি পোকা মাকড় তারাতে সাহায্যে করে। হোমিওপ্যাথিক কাজে মাথাব্যাথা ও ঠান্ডা জনিত কাজে এটি অনেক ভুমিকা পালন করে থাকে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।