ব্যবসায় উদ্যোগ

মুন্সিগঞ্জের দিঘীরপাড়ে প্রতিদিন বিক্রি হয় কোটি টাকার পাট

পাটের দাম

পাটের দাম! হ্যালো বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন । হঠাৎ করে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে , বাংলাদেশের দিঘির পাড়ের ভাসমান পাটবাজার। মূলত এইসব বিষয়ে আজকে পোস্টটি ।পোস্টটি পুরো জানতে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়তে থাকুন।

বাংলাদেশের জমে উঠেছে মুন্সিগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীর তীরের ভাসমান পাটের হাট যা সামাজিক গণ মাধ্যমগুলোতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। সারি সারি নৌযানে চলে কেনাবেচা। প্রতি সোম ও শুক্রবার কৃষকরা পাট নিয়ে এখানে আসেন। এ বাজার থেকে পাইকাররা পাট কিনে কারখানা মালিকদের কাছে বিক্রি করেন।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরব এ হাট

নৌকা ও ট্রলারযোগে হাজার হাজার মণ পাট আসছে এখানে। মুন্সিগঞ্জ ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাধারীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাট আসছে বলে জানান কৃষকরা।স্থানীয়রা জানান, মৌসুমে ৩-৪ মাস পাটের এ হাট বসে । প্রতি সপ্তাহে ৫-১০ হাজার মণ পাটের কেনাবেচা হয় এ হাটে। প্রতি হাটবার কোটি টাকা ছাড়ায় ক্রয়বিক্রয়।

হোসেন রহমান নামের এক কৃষক জানান, অনেক বছরের পুরোনো হাট এটি

বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক কৃষক , পাইকার, ব্যাপারী আসে এই হাটে। বাজার ভালো থাকলে ভালো দাম পাওয়া যায় মনে করেন কৃষকেরা। তিনি বললেন বাজার খারাপ হলে লোকসান।

রহমান আলী নামের এক পাইকার বললেন, ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করি এই জায়গায়। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঘোড়াশাল থেকে এখানে এসে ব্যবসা করি।দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজারে পাট কিনছি ।

মো. দিদার হালদার নামের এক পাট বিক্রেতা বললেন, দেড় কানি জমিতে গত বছর পাট চাষ করি। সে সময় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই ফসলে। এবার ৯৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানালেন তিনি। কামলা খরচ বাড়ছে, যাতায়াত খরচ বাড়ছে। এতে আমাদের লাভ কম হচ্ছে। এবং আমরা ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি।

তারপর আব্দুর রব হাওলাদার বললেন, পানি নাই, ঠিকমত পাট পচাতে পারি না।তবে বাজারে দাম ঠিক আছে। চালান পেয়ে সব পাট বিক্রি করে দিছি। প্রতিবছর আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য অনেক কিছুকেই পাট চাষ করা বন্ধ করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা বলল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম জাগো নিউজকে জানান, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় দুই হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে বাজারে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মূল্য পাট বিক্রি হচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষকের লাভও কিছুটা কমেছে বলে মনে করা হয়। তিনি বললেন অল্প খরচে কিভাবে এই ফসল আবাদ করা যায়। এ বিষয়ে আমরা কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা তৈরি করছি।

তিনি বলেন, পাটের মোটামুটি ভালো ফলন হচ্ছিলো। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পানির অভাবে পাটের যে গুনগত মান সেটি কৃষকরা পাচ্ছে না। যার কারণে বাজারমূল্য কিছুটা কম। এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপসচিব বলেন আমরা শীঘ্রই এর কোন বিকল্প পদ্ধতি বা সমস্যার সমাধান বের করব।

বন্ধুরা এই ছিল আজকের পোস্ট। এরকমই নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।