পাথরকুচি পাতার উপকারিতা! বন্ধুরা পাথরকুচি পাতার রস যদি টানা ৩ দিন খান তাহলে অশ্ব এবং পাইলস রোগ যাদের রয়েছে তাদের এই রোগের কারণে রক্ত পপাইলস দূর করুন মাত্র ৩ দিনে।
এই রস খেতে হবে একটানা তিন দিন। এরপরই আপনি হাতেনাতে এর ফল পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। তবে যাদের এই রোগ গুলোর তীব্রতা অনেক বেশি তারা একটানা ৭ দিন এমনটি টানা ২১ দিন পর্যন্ত খেতে পারেন। কেননা পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
পাথরকুচি পাতার এতগুন রয়েছে যে এটি আপনাকে ১৫ টি মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করবে। ফলে যে রোগ গুলো আপনার শরীরে দীর্ঘদিন যাবত বাসা বেধেছিল আপনি এই পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে সেই রোগগুলোকে শরীর থেকে তাড়াতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার রস যে সমস্ত রোগগুলো আমাদের শরীর থেকে দূর করতে সহায়তা করে সে সম্পর্কে।
১/ পেট ফাঁপা
আমরা অনেক সময় পেট ফাপার সমস্যায় পড়ে থাকি। দেখা যায় পেট ফেঁপে যাওয়ার ফলে আমাদের খাবার রুচি কমে যায়, আধবায়ু দেখা দেয় এবং পেট অনেক ফুলে যায়। এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য আপনি এক চা চামচ পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে গরম করে খেলে পেট ফাঁপা সমস্যা দূর হয়ে যাবে
২/ কিডনির পাথর অপসারণ
যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তারা যদি চায় যে আমি অপারেশন না করে পাথর অপসারণ করবো তাহলে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য দিনে দুই থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত কিডনির পাথর অপসারণ করতে পারেন এবং খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৩/ সর্দি জনিত সমস্যা দূর করা
আমরা সচরাচর দেখি যে সর্দি-জনিত কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দেয়।জাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস সকালে এবং বিকেলে এক চামচ করে খেলে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই নিরাময় পাওয়া যায়।
৪/ পিত্ত তোজনিত ব্যথা দূর করে
যাদের রক্তপিত্ত বা পিত্তজনিত ব্যথা রয়েছে তারা নিয়মিত পাথরকুচির পাতা সেবন করার মাধ্যমে এই জটিল এবং ব্যথাজনিত রোগ থেকে চাইলেই খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন।
৫/ মৃগী রোগ ভালো করে
মৃগী জনিত ব্যক্তিদের মুখে প্রতিদিন দুই থেকে দশফোটা পাথরকুচির পাতার রস মুখে দিতে হবে। একটু পেটের মধ্যে গেলেই রোগীর উপশম শুরু হবে।
৬/ অনেক দিনের পুরনো সর্দি থেকে উপশম
এ ছাড়া যাদের সর্দিপুরান হয়ে গেছে তাদের জন্য পাথরকুচির পাতা বেশ উপকারী। এজন্য পাথরকুচির পাতার রস গরম করে নিতে হবে এবং গরম থাকা অবস্থায় একটু সোহাগার খই মেশাতে হবে। এজন্য অবশ্যই পরিমাপ করে নিতে হবে। মনে রাখবেন ২৫০ মিলিগ্রাম সোহাগার খই এর সাথে দুই থেকে তিন চা চামচ পাথরকুচি পাতার রস মেশাতে হবে এবং পরিমাপ মত দুইবার খেলে সর্দি একদম সেরে যাবে। এমনকি যদি কারো কাশি থাকে তাহলেও কাশি ভালো হয়ে যাবে।
৭/ শিশুদের পেট ব্যথা
আমাদের বাসায় কম বয়সের অনেক শিশু রয়েছে যাদের পেটে বিভিন্ন কারনে ব্যথা হয়ে থাকে। এজন্য ৩০ থেকে ৬০ ফোঁটা পাথরকুচি পাতার রস পেটে মালিশ করলে শিশুরা এই পেট ব্যথা থেকে আরাম পাবে। অবশ্যই মনে রাখবেন ৫ বছরের নিচে কোন শিশুকে পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ানো যাবে না। এই জন্যই পাথরকুচি পাতার রস শিশুদের শরীরে ব্যবহার করতে হবে।
৮/ ত্বকের যত্ন
পরীক্ষায় দেখা গেছে পাথরকুচি পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। যেই পানি ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া এবং চর্ম রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়। আর এজন্য পাথরকুচির পাতা শিলপাটায় বেটে ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
৯/ শরীরের ক্ষত দূর করতে পাথরকুচির ব্যবহার
পরিবারের বিভিন্ন প্রকার কাজ গেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয় বা কাটা যায়। সেই কাটা জায়গায় পাথরকুচি পাতা বেটে লাগিয়ে দিলে খুব দ্রুত সে ক্ষতস্থান সেরে ওঠে। এছাড়াও যদি কারো হাত বা পা আগুনে পুড়ে যায় তাহলে পাথরকুচির পাতা নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব দ্রুত সেরে ওঠা যায়।
১০/ ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস নিরাময়
দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ভালো করার জন্য পাথরকুচির পাতার রসের সঙ্গে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন খেলেই এই সকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
এছাড়াও শরীরে জ্বালাপোড়া, অজান্তেই বিভিন্ন প্রকার পোকামাকড়ের কামরের দাগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পাথর কুচির পাতা কয়েকদিন ব্যবহার করতে পারেন।
বন্ধুরা আমরা হয়তো অনেকেই এতদিন পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতাম না। আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। পাথরকুচি পাতা নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এবং এরকমই নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।