লাইফস্টাইল

শরীরের পানিশূন্যতায় নারীস্বাস্থ্যের যে সব জটিল রোগ হয়ে থাকে

পানিশূন্যতায় নারীদের শরীরের জটিলতা

পানিশূন্যতায় নারীদের শরীরের জটিলতা. পানি শূন্যতা নারীদের শরীরের একটি জটিলতম সমস্যা। পানির অভাবে শরীর সঠিক ভাবে কাজ করে না। সাধারনত আমরা জানি যে পানির অপর নাম জীবন। সাধারনত আমাদের শরীরে মস্তিষ্কে ৭৫ শতাংশ, রক্তের ৯২ শতাংশ, হাড়ের ২২ শতাংশ, এবং মাংসপেশিতে ৭৫শতাংশ পানির প্রয়োজন থাকে। একজন ৭০ কেজি মানুষের শরীরে ৪২ লিটার পানির প্রয়োজন হয়ে থাকে। কোন কারনে এর পরিমান কমে গেলে শরীরে নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে েএই পানিশূন্যতায় ভুগলে মানুষ মৃত্যুও হতে পারে।

মানুষের শরীরে পানির কাজ

  • পানি শরীরে সব ধরনের বায়োক্যমিকেল বিপাক কাজ করে থাকে।
  • পানি শরীরে রক্ত সরবরাহের কাজ ঠিক রাখে।
  • পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্তনে রাখে।
  • পানি শরীরে উৎপন্ন বিষাক্ত পদার্থ বের করে ফেলে।
  • পাডিন এসিড বেইস নিয়ন্তন করে।
  • পানি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

পানিশূন্যতার লক্ষণ

  • বুক জ্বালা পোরা করে।
  • মাথা ঘোরা ও পেট ব্যাথা করে।
  • মেরুদন্ডের পেছনে ব্যাথা করে।
  • মানসিক অবসাদ ও বিষন্ণতা দেখা দিতে পারে।

নারীদের পানিশূন্যতায় যে সব কঠিন রোগ হতে পারে

রক্তচাপ কমে যাওয়া : পানিশূন্যতায় রক্তচাপ কমে গিয়ে ভলিয়ম কমে যায়, ফলে রক্তচাপ কমে গিয়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। মাথা ব্যাথা , বমি বমি ভাব , চোখে ঝাপসা দেখা এসব নানান কারনে অনেক সময় মৃত্যু হতে পারে। তাই প্রয়োজন মত পানি পান করতে হবে। পানিশূন্যতায় নারীদের শরীরের জটিলতা

কিডনির কার্যক্ষতা নষ্ট : পাডিন পান করা কম হলে পানিশূন্যতায় প্রসাব কম হয়। এতে করে প্রসাব করার অনুভূতি কমে যায়। বেশি ক্ষন প্রসাব আটকে থাকলে ভিতরে মূত্রথলিতে জমে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় । ফলে কিডনিতে ইনফেকশন হয় এবং পাথর সহ কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

ক্যানসারও হতে পারে : পানিশূন্যতা হলে মরীরে পানির পরিমান কম থাকে। তাই খাদ্যের বিষ বের হতে না পেরে খ্যাদ্যনালীর সংস্পর্শে বেশিক্ষন থকলে খ্যাদ্যনালীতে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে : এতে তল পেটে ব্যাথা হয়, বমি বমি লাগে, খাবারে অরুচি করে স্বাস্থ্যহানি ঘটে।

আলসার তৈরি হতে পারে : খাদ্যনালীর মিউকাসে ৯৮ শতাংশ পানি, ও ২ শতাংশ বাই কার্বোনেট থাকে। এটি পানিশূন্যতায় নষ্ট হয়ে ভিতরে আলসারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে , অকালে বাধ্যক সুষ্টি হয় , শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, প্রস্রাবের প্রদাহ সৃষ্টি হয়,  দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য নিয়মিত করে পানি পান করা দরকার। পর্যপ্ত পানি পান করলে মনও ভালো থাকবে এবং শরীরও ভালো থাককেব।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।