ফ্রিজের খাবারের অপকারিতা কি কি! বন্ধুরা ফ্রিজে আমরা সকলে কম বেশি খাবার রেখে থাকি। এজন্যেই আমাদের একটু সাবধান হতে হবে। কোন খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে খেলে ক্যান্সার হয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত হতে পারে সে সম্পর্কে। আমাদের প্রত্যাহিত জীবনে প্রতিটি পরিবারে রয়েছে ফ্রিজ। দীর্ঘ সময় আমাদের অতিরিক্ত খাবারগুলোকে ভালো রাখার জন্য প্রায় সকলি এখন খাবার ফ্রিজে রাখেন। অনেকেই এক সপ্তাহের রান্না করেও ফ্রিজে রেখে পরবর্তীতে চুলার মধ্যে গরম করে খেয়ে থাকেন। তবে এরকম সব খাবার খেলেও বিশেষ কিছু খাবার ফ্রিজে রেখে কখনোই খাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ফ্রিজে খাবার রাখার কারণে কিছু বিশেষ খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয় এসব খাবারে জন্ম নেয় মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া। যা খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে আপনাকে। এমনকি হতে পারে ক্যান্সার। আর এই বিষয়ে ভালো করে না জানার কারণে মৃত্যুও নিশ্চিত হতে পারে। বন্ধুরা আজকে আমরা এরকমই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানব যে খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে খেলে ১০০% ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
১/ ভাত
আমরা অনেকেই পরিবারের মধ্যে অতিরিক্ত ভাত ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেই। কিন্তু এটি একটি মারাত্মক ভুল। কেননা ফ্রিজের মধ্যে ভাত রেখে দিলে তা ডিপ হওয়ার পর পরেই আঠালো ভাব ধারণ করে। ফলে ভাতের মধ্যে অবস্থানরত সকল পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে শরীরের ডাইজেস্ট পাওয়ারকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। আর এর ফলে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং মানুষ খুব অল্প পরিশ্রমে হাপিয়ে উঠে। আর তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো আপনারা কখনোই ভাত ফ্রিজে রাখবেন না। আপনার ভাত যদি অতিরিক্ত দিয়ে থাকে তাহলে সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে পানিহাত করে খান। এতে করে ভাতের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
২/ ডিম
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম থাকে। আর এই ডিমকে কখনোই অনেক দিন সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজে রাখবো না। কেননা অনেকদিন সংরক্ষণের জন্য ডিমকে ফ্রিজে রাখলে ডিমের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যেটি শরীরে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলে ডিমকে বহুদিন ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করলে তা ক্যান্সার সৃষ্টির জীবাণু বহন করতে পারে। তাই কখনোই এই কাজটি করা যাবে না।
৩/ বিট বা বিটরুট
বিট বা বিটরুট কখনোই ফ্রিজে রেখে খাবেন না। কেননা এর মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড থাকে। যখন এই যৌগ সমৃদ্ধ খাবার গরম করে খাওয়া হয় তখন এই যৌগ প্রথমে নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রোসামিনে রূপান্তরিত হয় যা কারসিনোজেনিক হিসেবে পরিচিত। এই যৌগ শরীরের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি করে। তাই চিকিৎসকরা এই জাতীয় সবজি বরাবর গরম করে খেতে নিষেধ করে থাকেন।
৪/ মুরগির মাংস ও মাশরুম
মুরগির মাংস কখনোই ফ্রিজে রেখে বারবার গরম করে খেতে নেই। কেননা এর ফলে শরীরের মধ্যে বদ হজম হয়ে থাকে। এমনকি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। মুরগির মাংস বার বার গরম করে খেলে এর মধ্যে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে মাশরুম বারবার ফ্রিজে রেখে গরম করে খেলে এর মধ্যে থাকা এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য কখনোই মাশরুম ফ্রিজে রেখে খাবেন না।
৫/ পালং শাক
বিভিন্ন পরীক্ষায় গবেষণা করে দেখা গেছে যে পালং শাক বারবার ফ্রিজে রেখে গরম করে খেলে শরীরের মধ্যে কারসিনোজেনিক এলিমেন্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যারা বারবার পালং শাক ফ্রিজে রেখে গরম করে খেয়ে থাকেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
বন্ধুরা উপরের এই পাঁচটি খাবার কখনোই ফ্রিজে রেখে খাবেন না। অন্যথায় আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এমন কি আপনি নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকবেন। তাই আপনি পরিবারের সকলকে সাবধান করে দিন যেন কখনোই এই খাবার গুলো ফ্রিজে না রাখে এবং কখনোই না খায়।
বন্ধুরা আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের জন্য এরকম নিত্য নতুন অনেক পোস্ট দিয়ে থাকি। আপনি চাইলেই আমাদের সাইটটি ঘুরে আসতে পারেন এবং আপনার অজানা সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারেন। পাশাপাশি অবশ্যই আপনার মন্তব্য আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।