রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কাছে আসন্ন নির্বাচনে ৪০ টি আসন চায় জাতীয় পার্টি

বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে

বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে! আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে চল্লিশ আসন চায় জাতীয় পার্টি। তেমনি আসন্ন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের সঙ্গেই থাকছে বিরোধী দল। এই লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতার ডাকে দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনের আগেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।

এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে। সম্মেলনে রওশনকে  জাপার চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হিসেবে দুজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরদিন রওশন অনুসারীরা সম্মেলন কমিটির জরুরী বৈঠক করেছেন। ১৯ আগস্ট বিরোধী দলের নেতা ও জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ৪ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঐ বৈঠকে বিরোধী দলের নেতার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি ফাইল  দেওয়া হয়েছে। এতে  জাপার প্রত্যাশিত আসন্ন নতুন কমিটি আওয়ামী লীগের কাছে থাকা সহ সার্বিক বিষয় উল্লেখ করা রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়ে।

জাপার মধ্যে নেতৃত্বের ক্রন্ধল

 দীর্ঘ দিন ধরেই নেতৃত্বের ক্রন্ধল চলছে জাতীয় পার্টির মধ্যে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রওশন এরশাদ ও জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অবস্থান একেবারে ভিন্ন। শীর্ষ নেতৃত্বে ক্রন্ধলের কারণে জাপার নেতা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন রওশন এরশাদ।

আর সরকারের সমালোচনায় মুখর জিএম কাদের। অনেকের ধারণা জিএম কাদের হয়তো বিএনপির সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। দলীয় সূত্রগুলো বলছে বৈঠকে জাপা ৪০ আসনের তালিকা দিলেও এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেত্রী বিরোধী দলের নেতাকে কোন আশ্বাস দেননি। তবে এই তালিকায় জিএম কাদের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাক্ষাতে নির্বাচনের আগে সম্মেলন করার কথা জানান রওশন এরশাদ। প্রধানমন্ত্রী  এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়ে জিএম কাদিরের অবস্থান জানতে চান। তখন রওশন এরশাদ জানান সম্মেলনে তিনি হবেন চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম নির্বাহী সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্মেলনে জাপার শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সব সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশ্চিত করেন রওশন এরশাদ। পাশাপাশি সব জেলার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে কমিটি গঠন করা হবে।

প্রথম বারের মত সংসদে প্রধান বিরধি দল হিসেবে আবির্ভাব

এরশাদের মৃত্যুর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইতোমধ্যেই সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যে মহাজোট গঠন করেছিল তাতে এইচএম এরসাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ছিল।

এরপর ২০১৪ সালে বিএনপি বর্জনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করে সংসদের প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসে। সব শেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসার পর সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করলে দের শতাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি।

ফের গঠন করা হয় মহাজোট। ২০১৯ সালে এরশাদ মারা যাওয়ার পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তার ভাই জিএম কাদের। তবে তার সঙ্গে ভাবি রওশনের বিরোধ চলছে। জিএম কাদের আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এককভাবে ল্ড়ার ঘষণা দিয়ে রেখেছেন। একটি সূত্র বলছে ৩০০ আসনেই প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে জিএম কাদের। তবে রওশন এরশাদও প্রার্থীর তালিকা করে রেখেছেন বলে জানা গেছে।

বন্ধুরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে আপনার বক্তব্য আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এবং বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্য পেতে চাইলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।