ট্রাভেল

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কবে শুরু হয় ও বছরে সরকারের আয় কত

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব! হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন আজকের পোস্টটি হতে চলেছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উপরে আসলে বাংলাদেশের এই পর্যটন শিল্প থেকে কি কি উপকার হচ্ছে। আর কত টাকা ইনকাম হচ্ছে তা জানাবো আজকের এই পোস্টটিতে তাই বন্ধুরা পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে এই সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। আর আমাদের এই ওয়েবসাইটিতে নতুন নতুন মজার জানা অজানা বিষয় পোস্ট পাওয়ার জন্য ভিজিট করতেই থাকুন। তাহলে বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে শুরু করার যাক আজকের নতুন পোস্ট।

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব

Importance of Tourism Industry of Bangladesh

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব (Importance of Tourism Industry of Bangladesh), বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, এই শিল্পের উন্নয়নের বদৌলতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক গতিশীলতা, আঞ্চলিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও পরিবেশগত উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখতে পারে। এই শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব সুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার পর সুগম হয়। বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং স্থাপত্যের নিদর্শনসমূহ বিশ্ব দরবারে পর্যটনের মাধ্যমেই তুলে ধরার মুখ্য পন্থা হিসেবে পণ্য করা যায়। মূলত পর্যটক খাতের কারণেই বাঙালির বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে সমগ্র পৃথিবী । কারণ প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের পর্যটক ঘুরতে আসে।

বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে আসে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যটক- চলুন জেনে আসি কত সালে বাংলাদেশে পর্যটক শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়? মূলত বাংলাদেশ পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ২০০৫ সালে প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতিতে একে অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে আয়, কর্মসংস্থান ও জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধি করা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মধ্যে কিছু কিছু দেশ আছে যারা শুধু পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিকট উপস্থাপন করা যায়। ২০১০ সাল নাগাদ পৃথিবীর কিছু কিছু দেশেই বাংলাদেশ নামের কোন অস্তিত্ব ছিল না বা খুঁজে পাওয়া যায়নি, কোন দেশে গিয়ে যদি বলা হতো আমি বাংলাদেশের নাগরিক আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি তারা হা মুখে তাকিয়ে থাকতো ।

কিন্তু বর্তমান এই বাংলাদেশ এত তাড়াতাড়ি উন্নয়নের কারণেই মূলত বিশ্বের কাছে আমরা পরিচিত হয়ে উঠতে পেরেছি।বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে আসে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যটক। আপনি চিন্তা করতে পারবেন না বাংলাদেশে এত পরিমান পর্যটক আসে ।এমন একটি ঝুঁকিহীন শিল্পে বাংলাদেশ আজও প্রাথমিক স্তরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের পর্যটক কেন্দ্র শুরু হয় 2006 সাল

বাংলাদেশে ২০০৬ সালে বিদেশি থেকে পর্যটক এসেছে প্রায় ২,০০,৩১১ জন এবং এবং ২০০১ সালের দিকে তাকিয়ে দেখলেই তখনও প্রায় ৫০ শতাংশ ছিল । ২০০১ সালে ২,৬৭,১০৭ জন। এবছর পর্যটক শিল্প থেকে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আয় হয়েছে, ২০০৬ সালে ৫৫৩০.৬০ মিলিয়ন টাকা।বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই একটি করে পর্যটক কেন্দ্র আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের এক নম্বর পর্যটক কেন্দ্র ধারণ করা হয় কক্সবাজারকে সমুদ্র সৈকত।

বাংলাদেশের পর্যটক কেন্দ্র আলোচনা করলে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় যেমন, বৃহত্তর ঢাকার পর্যটন স্থানসমূহ, দ্বিতীয়ত হলো পূর্ববঙ্গের পর্যটন স্থানসমূহ, তারপরেই হল উত্তরবঙ্গের পর্যটন স্থানসমূহ, তারপরে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পর্যটন স্থান সমূহ, তাছাড়া রয়েছে বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবানে র পর্যটন স্থান সমূহ। এসব জায়গার মধ্যে বাংলাদেশের সেরা পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই লেক, নিলাচল ও সেন্টমার্টিন দ্বী প আরো ইত্যাদি।(বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব)

অর্থনৈতিক ভাবে স্থানীয় জাতীয় পর্যায়ে লাভ হয়ে থাকে- আপনি বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যান সেখানে দেখতে পাবেন পুরাতন যুগের কিছু নির্দেশনা। আর বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে নদীর দিয়ে ভর্তি, আর এই সকল স্থানগুলোর পাশেই বিভিন্ন ধরনের পর্যটন শিল্পের সৃষ্টি হয়। যার কারনে অর্থনৈতিক ভাবে স্থানীয় জাতীয় পর্যায়ে লাভ হয়ে থাকে। তাই আমাদের দেশের জন্য পর্যটন খাদ ও পর্যটন শিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই বন্ধুরা আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই আরেকটি নতুন মজার অজানা বিষয় নিয়ে দেখা হবে আপনাদের সাথে। পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।