তথ্য ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ২০২৪ এর কয়েকটি মোবাইল ফোন

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি মোবাইল

হ্যালো বন্ধুরা! আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের এই পোস্টটিতে। পোস্ট টি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ফোন এর সম্পর্কে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ফোন সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা আমাদের এই পোস্টটিতে এসেছেন। তাই বন্ধুরা চলুন কোথায় না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ,বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ফোন সম্পর্কে এবার জানা যাক-

আমরা তো প্রতিনিয়তই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আসছি কিন্তু আপনি জানেন কি বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি মোবাইল ২০২৩ কোনটি? আপনি যদি জেনে না থাকেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি মোবাইল কোনটি তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ২ টি ফোন সম্পর্কে।

বন্ধুরা আমরা তো প্রতিনিয়তই অ্যাপেল কোম্পানির আইফোনের দাম শুনে আসছি যেটা বাংলাদেশের মানুষ বলে থাকে কিডনি বিক্রি করা ফোন বা অ্যাপল আইফোন। কিন্তু আপনি কি জানেন আইফোনের চয়েও বেশি দামী ফোন বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে.? যদি জেনে না থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

১০ হাজার টাকার মধ্যে শাওমি মোবাইল

বন্ধুরা বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে আইফোন সকল গ্রাহকদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলেছে তাদের নিজস্ব কিছু ফিচারস এর জন্য আর নিত্য নতুন সব ফিচারস যুক্ত করে দামের দিক দিয়ে সব সময় এগিয়ে থাকে অ্যাপল কোম্পানির সকল আইফোন গুলো।

কিন্তু আই ফোনের সাথে টক্কর দিয়ে স্যামসাং এবং শাওমি কোম্পানি তারা দুটি ফোন বাজারে আনে যা আইফোন এর চেয়েও দামি আজকের এই আর্টিকেলে সেই ফোন দুটি নিয়েই আলোচনা করব যাতে আপনারা জানতে পারেন বাংলাদেশের বাজারে আইফোনের চেয়েও সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি মোবাইল Samsung Galaxy Fold-এই ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে সর্বোচ্চ দামি একটি ফোনে যেটা স্যামসাং কোম্পানির থেকে তৈরি। Samsung Galaxy Fold ফোনটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রথম মার্কেটে আনা হয়।

কিন্তু অন্য সকল দেশে ফন্টি বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও বাংলাদেশের বাজারে কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।কারণ আইফোন এর চেয়েও বেশি দামী ফোন হওয়ায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ফলটিকে না একদমই অসম্ভব তাই বাংলাদেশের বাজারে ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি।

তাই মূলত স্যামসাং কোম্পানি এই ফোনটিকে বাংলাদেশের বাজারে অফিশিয়ালি লঞ্চ করেনি।তবে Samsung Galaxy Fold ফোনটি বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে আনঅফিশিয়ালী পাওয়া যাচ্ছে। আপনার যদি এই ফোনটি কেনার মত সামর্থ্য থাকে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে আনঅফিসিয়াল ভাবে ফোনটিকে ক্রয় করতে পারেন।

Samsung Galaxy Fold Full Specifications

তো চলুন জেনে নেয়া যাক কি সব ফিচারস ব্যবহার করা হয়েছে এই ফোনে? কেনই বা এই ফোনটির এত দাম.? সব কিছুই জানতে পারবেন এখনই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
Samsung Galaxy Fold Full Specifications- Samsung Galaxy Fold এই ফোনটি মূলত বাংলাদেশের বাজারে চারটি কালারে পাওয়া যাবে। একইসাথে ফোনটিতে রয়েছে ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা। সুবিধা রয়েছে সিম কার্ডেও এই ফোনটিতে সিম কার্ড হিসাবে একটি nano-sim এবং অন্যটি ইলেকট্রিক সিম ব্যবহার করতে পারবেন।তবে দুঃখের বিষয় হলো এত দামি ফোন হওয়া সত্ত্বেও ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি খুবই বাজে ভাবে করা হয়েছে কারণ ফোনটিতে তেমন কোনো প্রটেকশন দেওয়া হয়নি কারণ ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নরমাল ফোনের মতোই গ্লাস ফন্ট এবং প্লাস্টিক বডি।

Samsung Galaxy Fold এর চেয়ে ক্যামেরার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে Xiaomi Mi Mix Alpha

সাধারণত 20 থেকে 30 হাজার টাকার ফোনেও গরিলা গ্লাস ফিবের প্রটেকশন পাওয়া যায় কিন্তু এই ফোনটিতে তেমন কিছুই দেখা যায়নি এই ফোনটি যেই বাজেটের সেই হিসাবে ফোনটিতে ন্যূনতম গরিলা গ্লাস ৬ এর প্রটেকশন দেওয়া উচিত ছিল।

যাইহোক ফোনটি ল্যাপটপের মত ভাঁজ করা সিস্টেম হওয়ায় ফোনটির ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে ৭.৩ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে যেটা গ্রাহকদের খুবই পছন্দের এবং রঙিন ছবি দেখা যাবে এই ডিসপ্লে তে। ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে হওয়ায় ডিসপ্লে রেজুলেশন ব্যবহার করা হয়েছে ১৫৩৬×২১৫২ পিক্সেল যা দিয়ে ৮k এর চেয়েও বেশি রেজুলেশনের ভিডিও দেখতে পারবেন এই ফোনটি দিয়ে।

ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা যেখানে একটি 12 মেগাপিক্সেল অন্যটি 12 মেগাপিক্সেল এবং অন্যটি 16 মেগাপিক্সেল তবে এই ক্যামেরাগুলো মেগাপিক্সেল কম হলেও ছবি কিন্তু খুবই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে।

একই সাথে এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে ফোরকে ইপিএসে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবেও রয়েছে দুটি ক্যামেরা একটি 10 মেগাপিক্সেল এবং অন্যটি 8 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা দিয়ে খুব সহজেই মোবাইল ভাঁজ করা অবস্থায় সেলফি তুলতে পারবেন।

তবে ফোনটির ব্যাটারির দিক দিয়েও রয়েছে একটি দুঃসংবাদ কারণ ফোনটিতে মাত্র 4000 এমএইচ এর একটি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যা এই বাজেটের মধ্যে মোটেও পারফেক্ট নয় একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে 15 ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার এবং 15 ওয়াটের একটি ওয়ারলেস চার্জার এবং 15 ওয়াটের একটি রিভার্স চার্জার ব্যবহার করা যাবে।

Chipset Qualcomm Snapdragon 855 (7 nm) –ফোনের প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Chipset Qualcomm Snapdragon 855 (7 nm) একইসাথে ফোনটিতে রেম ব্যবহার করা হয়েছে ১২ জিবি এবং রম ব্যবহার করা হয়েছে ৫১২ জিবি যা দিয়ে ফোনটি খুবই দারুণ পারফর্মেন্স করতে পারবে।

সকল ফিচারস এর দিক বিবেচনা করে ফোনটির দাম ধরা হয়েছে 2 লক্ষ 30 হাজার টাকা।ফোনটি সবথেকে বড় চমক হচ্ছে এর ডিসপ্লে সেকশনে কারণ এই ফোনটির ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে আল্ট্রা এইচডি ডিসপ্লে রেজুলেশন হচ্ছে Ultra HD+ 2088 x 2250 pixels (388 ppi) ডিসপ্লের টেকনোলজি হিসেবে ব্যবহার করা Flexible Super AMOLED Touchscreen।

Samsung Galaxy Fold এর চেয়ে ক্যামেরার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে Xiaomi Mi Mix Alpha কারণ এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে 108 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সাথে রয়েছে 12 মেগাপিক্সেল এবং 16 মেগাপিক্সেল এর আরো দুইটি ক্যামেরা।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।