বিমানের ব্ল্যাক বক্সের কাজ কি! একটি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হলে সর্বপ্রথম যে জিনিসটি খুজা হয় সেটি হচ্ছে বিমানের ব্ল্যাক বক্স।
কারণ ব্লাকবক্সে রেকর্ড করা তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল এবং দুর্ঘটনার পূর্বে বুদ্ধিমানের অবস্থান কথায় ছিল। ষাটের দশকের দিকে অস্ট্রেলিয়ার উড়োজাহাজ গবেষক ডেবিট ওয়ারেন্ট প্রথম এই ব্লাকবক্স আবিষ্কার করেন। বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো কমলা রং এর এই ব্লাক বক্স কিভাবে কাজ করে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের পোস্টটি।
পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকে জেট ইঞ্জিনের দ্বারা চালিত কিছু বিমান পরপর দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং বহু প্রাণহানি ঘটে। সেই দুর্ঘটনাগুলো কি কারনে ঘটেছিল তা কোনভাবেই উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার সূত্র ধরেই অস্ট্রেলিয়ান গবেষক ডেভিড ওয়ার্নার ১৯৫৭ সালে ব্ল্যাক বক্সের প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। ডিভাইসটির সাহায্যে বিমানের ককপিটে শব্দ এবং বিমানের অন্যান্য যন্ত্রাংশ কিভাবে কাজ করছে সে সম্পর্কিত তথ্য রেকর্ড করে রাখা যায়।
বিমানের ব্ল্যাক বক্স এর সংখ্যা
একটি বিমানে সাধারণত দুটি ব্লাক বক্স থাকে একটি সামনে আরেকটি বিমানের লেজে। টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয় এই ব্লাকবক্স। পৃথিবীর শক্তিশালী ধাতব পদার্থের মধ্যে টাইটানিয়াম অন্যতম। উপর থেকে শক্ত পাথরের উপরে পরে, আগুনে পুড়ে বা সমুদ্রের তলদেশে পড়ে গেলেও টিকে থাকতে পারে ব্লাকবক্স।
বর্তমানে এর ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার প্রায় ৬৮ ধরণের যন্ত্রের তথ্য রেকর্ড করাতে পারে। এর মধ্যে উড়োজাহাজের গতি, পথের দিক, উড়ার উচ্চতা, জ্বালানি, টার্বনেট এবং কেবিনের তাপমাত্রা ইত্যাদি অন্যতম। হার্ডডিক্সের মত চৌম্বকীয় ধাতব পাতে এসব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তথ্যের ধারণক্ষমতা বেড়ে এখন সর্বোচ্চ ২৫ ঘন্টার হয়েছে। আকাশে থাকার সময় ২৫ ঘন্টার বেশি হলে আগের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায় ব্ল্যাক বক্সের মেমোরি থেকে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইট শেষে ব্ল্যাক বক্সের পুরনো স্মৃতি মুছে ফেলা হয়।
ব্ল্যাক বক্সের তাপমাত্রার ধারণক্ষমতা
ব্লাকবক্স ১১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘন্টা এবং ২৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রায় ৬০ ঘন্টা টিকতে পারে। দুর্ঘটনায় পড়ার পর ব্লাক বক্স ৩০ দিন পর্যন্ত শব্দতরঙ্গ ছড়াতে পারে । এইসব শব্দ দুই থেকে তিন কিলোমিটার দুর থেকে শনাক্ত করতে পারে দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা।
আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হল ব্ল্যাকবক্স সাগরের ১৪০০০ ফুট নিচে থেকেও শব্দ ছড়াতে পারে। যার ফলে বিমান দুর্ঘটনায় বিস্ফোরিত হলে এই ব্লাক বক্সের মাধ্যমেই জানা যায় বিস্ফোরণ কি কারণে হয়েছে এবং বিস্ফোরণ ঘটার আগে বিমানের পরিস্থিতি কেমন ছিল।
আলোড়ন তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
এদিকে আলোড়ন তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেখা বাংলাদেশের প্রথম কমিক বুক। মানবজাতির গ্রহণ নামে পৃথিবী ধ্বংসের প্রেক্ষাপট নিয়ে এই কমিক বুক লিখেছে চ্যাট জিপি টি নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কমিক দৃশ্যগুলো ইলেস্ট্রেসন তৈরি করেছে নিক জার্নি AI নামে অন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম সাইন্স বি। সাইন্স বি জানিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট দিয়ে তৈরিকৃত বাংলাদেশের প্রথম কমিক বুক এটি।
বন্ধুরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স এবং AI সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আশা করি আপনাদের অনেক ভাল লেগেছে। তথ্য প্রযক্তি নিয়ে আরো মজার মজার তথ্য জানতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন।