বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩! হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন আবারো আমাদের পোস্টটিতে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট। আজকের পোস্টটি মূলত হচ্ছে বিশ্ব দিবস কর্মসূচি সম্পর্কে। এই দিবসটি মূলত পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে পালন করা হয়। তাই বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্ট শুরু করার যাক। পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলেই জানতে পারবেন।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস
প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পুরো বিশ্বে পালিত হয় ।এ-বছরের প্রতিপাদ্য- ‘অনলি ওয়ান আর্থ’। ‘লিভিং সাসটেইনেবলি ইন হারমোনি উইথ ন্যাচার’- এটাই এই প্রতিপাদ্যের মূল সুর বলা হয় । বাংলায় বলা হচ্ছে- ‘প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই জীবনযাপন ‘জীবনধারণ কর এবং পরিবেশকে রক্ষা করো। ১৯৭২ সালের ৫-১৬ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘের প্রথম উদ্যোগে মানব পরিবেশ-সংক্রান্ত প্রথম বৃহদাকার কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল ।বিশ্বের প্রায় ১১৪টি দেশের সরকার প্রধানরা এর সদস্য । এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এবং তাদের মূল্যবান মতামত এখানে প্রকাশ করেছেন।
এই কনফারেন্সের ফলেই জন্ম হয় নাইরোবি ভিত্তিক সংস্থা ‘জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি’ বা ‘ইউনাইটেড নেশনস এনভায়ভরনমেন্ট প্রোগ্রাম’ (ইউএনইপি) এখানে গঠিত হয়।৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে পালনের সূচনাও ওই কনফারেন্স থেকেই সূত্রপাত ঘটে বলে জানা গেছে।৫০ বছর আগের ওই কনফারেন্স ঘিরে ২০২৩ সালের ২ থেকে ৩ জুন স্টকহোমে ‘স্টকহোমপ্লাস ৫০’ শীর্ষক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে সুইডেন। (বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩)
একইসঙ্গে, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির প্রকাশের মাধ্যমে অর্ধশতাব্দী পূর্তিও উদযাপিত হবে বলে জানা গেছে ‘ইউএনইপিএট ৫০’ শিরোনামে।এবারের সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বলেন যে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা – এসডিজি)- এ পরিবেশ-সংক্রান্ত এজেন্ডা বাস্তবায়ন শনিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হয় । পরিবেশ বিষয়ক জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ-২৬’।২০২৩ সালের ৭ থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরের অবকাশ কেন্দ্র শার্ম আল শেখে ‘কপ-২৭’ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ।
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বাক্ষরদান কর্মসূচি
২৭ এপ্রিল বাংলাদেশে নিযুক্ত হয় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ড ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী | মো. শাহাব উদ্দিন বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জল/বায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক বৈঠকে মিলিত হন। এর মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক পরিবেশগত চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর দান করে। বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের কয়েকটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। এভাবেই পরিবেশ উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ উন্নতি হয়।
পরিবেশগত কনভেনশনগুলো হলো : জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, মরুকরণ রোধ কনভেনশন, বিপজ্জনক বর্জ্য্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বাসেল কনভেনশন, জৈব দূষক সম্পর্কিত স্টকহোম কনভেনশন। আর বিভিন্ন বিষয়ক গবেষণা করা।।ওজোন স্তর ক্ষয় রোধ-সম্পর্কিত মন্ট্রিল প্রটোকলসহ সব প্রধান বহুপাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও নিঃশর্তভাৱে ৭ শতাংশ এবং শর্তসাপেক্ষে ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা।বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা’ (ন্যাপ) তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে টিকে আছে।
আজকের পোস্টটি এই পর্যন্ত। আরো এরকম পোস্ট বিভিন্ন জানা-অজানা বিষয় জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন। পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ