ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়! সাধারনত নানান কারনে শরীর ব্যাথা করতে থাকে। বসা শোয়ার বেতিক্রম হলেও শরীর ব্যাথা করতে থাকে। আবার বেশি পরিমান হাটাহাটি করলেও শরীর ব্যাথা হতে পারে। আবার অনেক সময় বেশি কাজ করলেও হাত ব্যাথা হয়। শরীর ব্যাথা হওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে ক্লান্তি। কমবেশি বেশির ভাগ লোকই এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়।
শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত হলে আবার অপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় পানি পান করা কম হলেও শরীর ব্যাথা হতে পারে। পানির পরিমার কম হলে শরীর হাত পায়ে যন্ত্রনা হয়ে থাকে। শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য বেশি কিছু না করলেও ১০টি উপায় মেনে চললে শরীর সুস্থ্য থাকবে। ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
১/ চেরি-
অ্যাসপিরিন হচ্ছে এক প্রকার ওষধ যা শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। কিন্তু গবেষকদের মতে অ্যাসপিরিন এর চেয়ে চেরি কার্যকরি ওষধ। এই ফলের মধ্যে বেশ কিছু প্রািকৃতিক উপাদান আছে যা শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে।
২/আদা-
আদা শরীরের জন্য অনেক কার্যকরি একটি উপাদান। আদা পাকস্থলীর জন্য অনেক উপকারে আসে। এটি হজমেও সাহায্যে করে। এটি শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। ৗদনিক প্রতিটি মানুষকে ৫০০ মিলিগ্রাম আদা খাওয়া দরকার।
৩/ হলুদ-
দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাথায় ভুগলে হলুদের ব্যবহার বাড়াতে পারেন। হলুদ একটি প্রদাহ প্রমশন কারি উপাদান। এটা প্রদাহ প্রমশন ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। দীর্ঘ সময়ের ব্যাথা কমাতে হলুদের ব্যবহার সঠিক ভাবে করতে পারেন । প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টারমানিক কিভাবে ব্যবহার করবে তা নিশ্চিত করতে।
৪/রুই মাছ-
রুই মাছ অনেক উপকারী। এই মাছটি অনেকেরই পছন্দের একটি মাছ। এই মাছের মধ্যে ওমেগো ৩ রয়েছে। যা মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। এই ওমেগো ৩ শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। সে কারনে বেশি বেশি রুই মাছ খাওয়া দরকার।
৫/রেড ওয়াইন-
সাধারনত লাল আঙুর থেকে তৈরি হয় রেড ওয়াইন। পিঠের ব্যাথার জন্য কাযৃকরী ভূমিকা রাখে এই রেড ওয়াইন। আঙুর থেকে তৈরি হওয়া এই রেড ওয়াইন ব্যাথ্রর ওষুদের কাজ করে। এছাড়া স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৬/অলিভ অয়েল-
অনেক সময় রান্না ও গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাজারে যে সব তেল কিনতে পাওয়া যায় তার মধ্যে ।ন্যতম হলো অলিভ অয়েল।এটা শরীরের ব্যাথা কমাতে শহায়তা করে। অলিভ অয়েল শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় না এটি শরীরে মাখার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৭/গোলমরিচ-
গোলমরিচ এক ধরনের ঝাল জাতীয় মশলা। এটি অন্য মরিচের তুলনায় ঝাল জাতীয়। এর মধ্যে ক্যাপ্সাসিন অঅছে যা পেন কীলার তৈরিতে সাহায্যে করে। যদি পেশিতে ব্যাথা থাকে তাহলে কোন একটি ক্রিমের সাথে ব্যবহার করলে ব্যাথা কমবে।
৮/রোজমেরি তেল-
রেজামেরি তেল মাথা ব্যাথা, পেশিতে ব্যাথা, খিঁচুনি নিরাময়ে সাহায্যে করে থাকে। এটি সরাসরি ব্যবহার না করে অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে ব্যবহার করলে ব্যাথা কমে যাবে।
৯/ রসুন-
রসুনের মধ্যে রয়েছে ব্যাথা কমানোর উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পেশি ব্যাথা, ঘাটের ব্যাথা ও ফোলা কমাতে সহায়তা করে। এজন্য প্রতিদিন খালি পেটেএকটি করে রসুনের কোয়া চিবিয়ে খাওয়া দরকার। তাহলে অনেকটা উপকারে আসতে পারে।
১০/ কুমড়োর বীজ-
এতে প্রচুর পরিমান ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটি মাইগ্রেইন এর ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। এছাড়া একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে এই কুমড়োর বীজ থেকে।