লাইফস্টাইল

এখন মুখের কালো দাগ দূর হবে মাত্র ৭ দিনে

মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়! বন্ধুরা আপনারা যারা মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত মূলত তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। আপনাদের যাদের বিশেষ করে দুই গালে, কপালে, গলায়, পিঠে একটা বয়সের পর দাগ-ছোপ পড়ে মোটামুটি সব মহিলারই।

তাই ত্বকের যত্নআত্তির ব্যাপারে কোনওরকম সমঝোতা না করাই ভালো। নিয়মিত ক্লেনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজ়িংয়ের রুটিন মেনে চলুন। এবং আমাদের এই পোস্টটির সকল নিয়মকানুন যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের দাগ কয়েকদিনের মধ্যেই ভ্যানিশ হয়ে যাবে,,,২ মিনিটে।

রোদ: ত্বকের নিদাগ উজ্জ্বলতার সবচেয়ে বড়ো শত্রু হচ্ছে সূর্যের চড়া আলো। রোদে বেরনোর আগে অতি অবশ্যই মুখসহ শরীরের সব খোলা অংশে সানস্ক্রিনের প্রলেপ লাগান। সাঁতার কাটার সময় ব্যবহার করুন ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:হরমোনের অতিরিক্ত বেশি বা কম ক্ষরণের জন্য আপনার ত্বকে গাঢ়রঙের দাগ-ছোপ পড়তে পারে। প্রেগন্যান্সি বা মেনোপজ়ের কারণেও হরমোনের স্তরে ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়। এর ফলে মেলানিনের উৎপাদনেও সাম্য থাকে না। ফলে মুখে, কাঁধে, গলায় ছোপ-ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে।

ত্বককে লোমহীন রাখার অনন্ত প্রচেষ্টা

বহু মহিলাই ত্বকের বাড়তি লোমের আস্তরণ সরিয়ে ফেলতে চান। সে কারণে রোম তোলার ক্রিম, টুইজ়ার, ওয়্যাক্স ইত্যাদি নানা পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু নিরন্তর এই প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে ত্বকের স্পর্শকাতরতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দাগ-ছোপের আশঙ্কাও।

ব্রণ বা চোট-আঘাতের দাগ:ব্রণ বা ফোড়া হলে খুঁটবেন না, হাত লাগাবেন না বেশি। তা হলে কিন্তু দাগ চট করে মিলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

লেবুর রস আর জলের মিশ্রণ: একমাত্র আপনার চোখের চারপাশটা বাদ দিয়ে মুখে বা গলার অন্যত্র প্রতি একদিন অন্তর লেবুর রস আর জলের মিশ্রণটা লাগিয়ে দেখতে পারেন।

চলতে পারে লেবুর রস আর মধুর মিশ্রণও। লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। এর সাইট্রিক অ্যাসিড আর ভিটামিন সি ক্রমশ গাঢ় কালো ছোপ হালকা করে দেয়। আপনার ফেস মাস্কেও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন ই তেল: যদি আপনার ভিটামিন ই তেলে কোনও অ্যালার্জি থাকে, তা হলে আলাদা কথা। না হলে দাগ-ছোপে সরাসরি তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে যাঁদের ব্রণর ধাত আছে, তাঁরা আমন্ড, সানফ্লাওয়ার সিডস, শুকনো অ্যাপ্রিকট ইত্যাদি রাখুন খাদ্যতালিকায়।

আলুর রস: আলু খুব ভালো করে ধুয়ে ছেঁচে রস বের করে নিন। তার পর সরাসরি সেই রস লাগিয়ে নিন দাগ-ছোপে। মিনিট দশেক অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। ফেস প্যাক বানানো যায় আলুর রস, মধু আর লেবুর রস দিয়েও।

অ্যালো ভেরা জেল: অ্যালো ফেরা জেলও দাগ-ছোপ তাড়াতে খুব কার্যকর। সরাসরি অ্যালো ভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। অ্যালো ভেরা জেল, চিনি আর লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে লাগিয়ে নিন ত্বকে।

আমন্ডের তেল: রাতে শুতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চরাইজ়ারের বদলে কয়েক ফোঁটা সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করে দেখুন, চোখে পড়ার মতো ভালো ফল পাবেন।

আরো কিছু ঘরোয়া নিয়মের মাধ্যমে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা জেল ক্ষত নিরাময় থেকে ময়শ্চারাইজিং সমস্ত কিছুতে দারুণ উপকারী। মুখের কালো দাগ দূর করতেও এটি খুব ভাল।

আপনি সরাসরি গাছ থেকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন বা বাজার থেকে অ্যালোভেরা জেল কিনতে পারেন।এটি ব্যবহার করার জন্য, অ্যালোভেরার রস বা প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেড এলাকায় প্রয়োগ করুন। এটি সকাল এবং সন্ধ্যায় ৩০ মিনিট মতো মুখে রাখুন এবং এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

অ্যালোভেরা জেল দিয়েও একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। একটি প্যাক তৈরি করতে – অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল বের করে নিন। এরপরে, তাজা কুড়িয়ে নেওয়া শসা, লেবুর রস, ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো যোগ করুন এবং ভাল ভাবে মেশান। এটি ত্বকে প্রয়োগ করুন এবং সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে নিন। এরপর বরফ-ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে হলুদের গুঁড়ো দারুণউপাদান

দ্রুত ফলাফল পেতে আপনি একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সঙ্গে ১-২ চা চামচ দুধ এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

এই তিনটি উপাদান মিলিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।মুখে ২০ মিনিটের জন্য এই ফেসপ্যাক রেখে, হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। আপনি দুই সপ্তাহের জন্য নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের পার্থক্য দেখতে পাবেন আপনি।

আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্কিন পিগমেন্টেশন হালকা করতে এবং ত্বকের সামগ্রিক চেহারা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই প্রতিকারটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি পাত্রে সমান পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার এবং জল মেশাতে হবে।

আপনার গাঢ় দাগে প্রয়োগ করুন এবং ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে দিন। এরপরে, হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান। আপনি চাইলে ভিনেগারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।(মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়)

চন্দনের জাদুকরী গুণ রয়েছে। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা, দাগ এবং ব্রণ কমাতে করতে সহায়তা করে। আপনাকে শুধু ১ চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল এবং কমলা লেবুর রস যোগ করতে হবে।

এই সমস্ত উপকারণের মসৃণ পেস্ট না পাওয়া পর্যন্ত আপনি আরও কমলালেবুর রস যোগ করতে পারেন। এবার প্যাকটি আপনার মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে, ময়েশ্চারাইজার লাগান।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।