লাইফস্টাইল

৪টি প্রাক্রিতিক উপায়ে মুখের কালো দাগ দূর করুন ১০০% পরিক্ষিত

মুখের কালো দাগ দূর করার সহস উপায়

মুখের কালো দাগ দূর করার সহস উপায়! বন্ধুরা অনেকের মুখে দেখা যায় যে অনেক ধরনের কিছু কালো কালো লাল লাল রকমের দাগ । এই দাগ গুলো মূলত স্কিন ড্যামেজ এর কারণেই হয়ে থাকে।

কারণ অনেকগুলো হতে পারে যেমন প্রধানত ধুলোবালি ২ নাম্বার হল সূর্যের আলো রোশনি মূলত আরো বিভিন্ন ধরনের কারণের জন্য মানুষের মুখে যে পাতলা স্কিন থাকে সেই স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার কারণে মূলত মুখের মধ্যে দাগ দেখা যায়। মুখের কালো দাগ নিয়ে খুব অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে? অনেক চেষ্টার পড়েও মুখের কালো দাগ দূর হওয়ার যেন নাম-ই নেই। বন্ধুরা এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য আজকের এই পোস্টটি। চলুন না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,,

আমরা সবাই-ই প্রায় সৌন্দর্য নিয়ে খুব সচেতন। তাই স্কিনকে সতেজ রাখতে যত্ন ও চর্চার কোনো জুড়ি নেই। কিন্তু সময় ও যত্নের অভাবে অনেক সময় আমাদের মুখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মুখের কালো দাগ।
আমাদের স্কিনে অতিরিক্ত মেলানিন সৃষ্টি হলে, মুখে কালো দাগ সৃষ্টি হয়। এই দাগ সাধারণত আমাদের মুখ, পা এবং আন্ডারআর্মস-এ দেখা যায়। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর এক্সপোজারের কারণেও এই দাগ সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের তালিকার প্রথমেই রয়েছে-

১. লেবুর রস:
লেবু ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার স্কিনের কালো দাগের ঘনত্ব কম করতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে লেবুর সাহায্যে মুখের কালো দাগ কম করা যায়।

উপকরণঃএক চামচ পরিমাণ লেবুর রস
এক চামচ পরিমাণ পানি
কটন প্যাড

পদ্ধতিঃলেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে নিন। এরপর একটি কটন প্যাড এর সাহায্যে মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গাতে লাগান। 20-30 মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন কমপক্ষে একবার এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করুন।

২. অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা অ্যালোইন বহন করে। এটি মেলানোসাইটিক নামক একটি যৌগিক মিশ্রণের প্রভাব, যা অতিমাত্রায় মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

উপকরণঃঅ্যালোভেরা জেল
কটন প্যাড

পদ্ধতিঃঅ্যালোভেরার পাতা হতে জেল আলাদা করুন। এবার একটি কাঁটা চামচ এর সাহায্যে জেল তৈরি করুন। কটন প্যাডটি নির্যাসিত জেল- এর মধ্যে ডুবিয়ে যে জায়গায় কালো দাগ রয়েছে, সেখানে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্যে প্রতিদিন কমপক্ষে একবার করে এই প্যাকটি লাগান।

৩. হলুদ:
হলুদে থাকে কারকিউমিন নামক একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এন্টি মেলানজেনিকের প্রভাবে মুখের কালো দাগ হালকা করতে সহায়তা করে।

উপকরণঃ১ চা চামচ হলুদ, পরিমাণ মতো পানি এবং কটন প্যাডস।

পদ্ধতিঃহলুদ এবং কয়েক ফোটা পানি মিশিয়ে একটি গারো মিশ্রণ তৈরি করুন, এরপর মিশ্রণটি কালো দাগের আশেপাশে লাগান। 20-30 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনার হলুদের যদি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা হতে দূরে থাকাই শ্রেয়।

৫. লেবু ও আলু
লেবুর গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। লেবুর মধ্যে রয়েছে এক ধরনের বিশেষ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের ভেতর থাকা ময়লা দাগ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং আলুতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।

উপকরণঃএকটি লেবু, একটি আলু ও কটন প্যাডস

পদ্ধতিঃ১টি আলুকে কেটে কয়েকটি কয়েকটি টুকরো নিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর আলু থেকে জুস বের করে নিন। এবার ১চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস এতে মিশিয়ে নিন।

মিশ্রণটি ভালোভাবে নেড়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার একটি কটন প্যাড এর সাহায্যে দাগের ওপর লাগান ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আলু ও লেবু উভয়-ই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ, যা মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।মুখের কালো দাগ সাধারনত ক্ষতি বিহীন হয় এবং কিছু সময় পর নিজে থেকে চলে যায়। তবুও আপনি যদি আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে মুখের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো ফলো করতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলি আমরা একদমই হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছি। মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলি একটু সময় নিয়ে কাজ করে এবং এর প্রতিকার আপনার ত্বকের কালো দাগের ধরন এবং কারণসমূহের উপর নির্ভর করে। কিন্তু তবুও যদি আপনি আপনার ত্বকের কোনো পরিবর্তন দেখতে না পান তবে দ্রুত আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।(মুখের কালো দাগ দূর করার সহস উপায়)

 ডাক্তারের পরামর্শ

ত্বকের কিছু না কিছু সমস্যা সারা বছর লেগেই থাকে! ব্রণ হোক বা পিগমেন্টেশন, ত্বকের সমস্যা সারানোর একমাত্র পথ হল সমস্যার গোড়ায় পৌঁছনো। সেটা না করে এটা ওটা টোটকা দিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে ত্বকের ভালোর বদলে খারাপও হয়ে যেতে পারে! তেমনটা নিশ্চয়ই আপনি চান না? মুখের কালো দাগের বেলাতেও একই কথা বলা যায়। বহু মেয়ে এই সমস্যায় ভোগেন।অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক, দু’রকম কারণেই মুখে কালো দাগছোপ পড়তে পারে। “বাহ্যিক কারণের কথা বিবেচনা করলে কালো দাগের অন্যতম কারণ হল রোদজনিত ক্ষতি ।

এর ফলে মুখে ছিট ছিট কালো দাগ (ফ্রেকলস) পড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ কারণে কালো দাগ পড়ে প্রদাহজনিত কারণে। ব্রণ হলে বা ক্ষত হলে অথবা পুড়ে গেলে কালো দাগ থেকে যায়। তা ছাড়া লিচেন প্লেনাসের মতো কিছু রোগের কারণেও পিগমেন্টেশন (এটিও আসলে প্রদাহ) দেখা দেয়,” বলছেন কিরণ।

তবে কালো দাগছোপের হাত থেকে বাঁচার উপায় আছে। কিরণ বলছেন, কালো দাগের মোকাবিলা করা খুব কঠিন নয়, “পিগমেন্টেশন ত্বকের কতটা গভীরে, তার ওপরে নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি দাগ সারবে। দাগ যত ওপর ওপর থাকবে, তা সারানোও তত সহজ।

কিন্তু দাগ যদি গভীরে হয়, যদি ডার্মিস পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তা হলে তা সারানো কঠিন। দাগের গভীরতার ওপর নির্ভর করে লেসার, পিলস বা মাইক্রোডার্মাব্রেশন ট্রিটমেন্ট বা ক্রিম দিয়ে দাগ নির্মূল করা সম্ভব।”
মুখের কালো দাগছোপ নিয়ে যাঁরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, এ খবর তাঁদের নিশ্চিতভাবেও আশা জোগাবে!

বন্ধুরা এই ছিল আপনার মুখের দাগ দূর করার কিছু সহজ নিয়ম। এরকমই নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।