রোজা থাকার নিয়ম, আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি অকারণে একটি রোজা ভঙ্গ করলো সে ব্যক্তি যদি সারা জীবন সে রোজার বিনিময়ে রোজা রাখে এরপরও রমজান মাসের একটি রোজার সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।
তাহলে বুঝতে পারছেন রমজান মাসের একটি রোজার নিয়ামত আল্লাহতালার কাছে কত বেশি। বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো রোজা রাখার নিয়ম, রোজা ভঙ্গের কাফফারা, রোজা কাজা আদায়ের বিধানসহ অন্যান্য বিষয়।
রোজার কাজা আদায়ের বিধান
যদি কোন ব্যক্তি রমজান মাসে অসুস্থ থাকে এক্ষেত্রে নারী পুরুষ উভয়ই, তাহলে অসুস্থতার কারণে যে রোজাটি ভঙ্গ হয়েছে রমজান মাস শেষে পরবর্তী মাসে বা পরবর্তী রমজান মাস আসার আগ পর্যন্ত সেই ব্যক্তি যেন ঐ ভঙ্গ রোজার বিনিময়ে একটি রোজা রাখে।
আর এটি হচ্ছে রোজার কাজা আদায়। এর মাধ্যমে আল্লাহতালা ঐ ব্যক্তির আমলে রমজান মাসের ৩০ টি রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ করবে। তবে মনে রাখবেন কেউ যদি অসুস্থ না থেকেও রমজান মাসের একটি রোজা ভঙ্গ করে তাহলে ঐ ব্যক্তি সারা জীবন ঐ একটি রোজার বিনিময়ে রোজা রাখলেও সমপরিমাণ সওয়াব পাবে না।
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গের কাফফারা
যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজান মাসে একটি রোজা ভঙ্গ করে তাহলে ঐ ব্যক্তিকে পরবর্তীতে কাজা রোজা দিতে হবে।
পাশাপাশি একজন দাসকে মুক্ত করতে হবে, সেটি না পারলে টানা দুই মাস রোজা রাখতে হবে, এটিও সম্ভব না হলে ৬০ জন মিসকিনকে ডেকে খাওয়াতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ রোজাটি আল্লাহতালা কবুল করতে পারেন।
রোজার কাজা আদায়ের সময় রোজা থাকার নিয়ম
রমজান মাস চলে যাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব কাজা রোজা আদায় করা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। অযথাই এই কাজে সময় নেওয়া আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অবশ্যই কাজা রোজা পালনের ক্ষেত্রে ঈদের দিন বেছে নেওয়া যাবে না।
বন্ধুরা আশা করি উপরুক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা রমজান মাসের একটি রোজার গুরুত্ব কত বেশি সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
বন্ধুরা আমরা যারা মুসলিম রয়েছি তারা যেন আল্লাহকে অবশ্যই ভয় করি এবং তার নবী রাসূলের দেখানো পথে নিজের জীবনকে অতিবাহিত করতে পারি এই কামনায় আজকের এই পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। পোস্টটি যদি আপনার কাছে বিন্দুমাত্র ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করে সকলকে জানানোর চেষ্টা করুন ধন্যবাদ।