সকালে কি খেলে ওজন কমে! ডায়েট করলে ওজন কমে, আবার বেড়েও যায় কেন, এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামছুন্নাহার নাহিদ।
তাকে যে সব প্রশ্ন করা হয় : আমি নারী, বয়স ৩২ বছর। আমার একটি সন্তান আছে, তার বয়স তিন বছর। আমার একটি নিয়মিত সমস্যা হলো, ডায়েট করলে ওজন কমে, তবে স্থায়ী হয় না। একটু খেলেই আবার ওজন বেড়ে যায়। হয়তো ছয় মাস ধরে ১০ কেজি ওজন কমালাম, পরের ছয় মাসে দেখা যায় আবার ১২ কেজি বেড়ে গেল। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না, তাহলে আমি কি করবো ?
তিনি বললেন উত্তরে: যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে মূলত তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা হলো বাড়তি ওজন কমাতে হবে, ভর কমানোর পর তা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে ও পুনরায় যেন ওজন না বাড়ে, তার চেষ্টা চলমান রাখতে হবে।
প্রথমত, এখনকার বাড়তি ওজন কমাতে যেসব বিষয় আপনাকে মেনে চলতে হবে
১. কম ক্যালরিযুক্ত, সুষম খাবার খেতে হবে।
২. একবারে বেশি না খেয়ে বারবার (তিন-চার ঘণ্টা পরপর) খেতে হবে।। যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ শক্তি-পুষ্টি পাওয়া যায়।। আবার অনেক সময় না খেয়ে থাকা যাবে না, তাহলে পরেরবার বেশি খিদে পাবে। বেশি ক্ষুধা মেটাতে নিজের অজান্তেই বেশি খাওয়া হয়ে যাবে।
৩. খাবারের ক্যালরি কমাতে হবে,এ বিষয়ে মনয়োগ। সেটার জন্য রান্নায় তেল ব্যবহার করতে হবে। ডুবোতেলে ভাজা, বাইরের খাবার, কোমল পানীয়, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি কিছুদিনের জন্য বাদ দিতে হবে।
৪. সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, আপনার যে বাড়তি ওজন আছে, তা ঝরিয়ে ফেলা। ওজন কমাতে প্রতিদিন অন্তত ৪০-৬০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন বা পছন্দমতো ব্যায়াম করুন।
৫. রাতে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা (যেমন রাত ১২টা-সকাল ৬টা) ঘুমাবেন। বেশি রাত জাগবেন না, দিনে ঘুমাবেন না। যদি সম্ভব হয়, একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শে সারা দিনের ডায়েট চার্ট তৈরি করে নেবেন। দ্বিতীয়ত, বাড়তি ওজন কমানোর পর তা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য প্রতিদিনের খাবার যা খাবেন, তার আনুপাতিক হারে পরিশ্রম/ব্যায়াম করবেন।
এতে ওজন ধরে রাখা সহজ হবে। তৃতীয়ত, পুনরায় যেন ওজন না বাড়ে, তার জন্য না খেয়ে থেকে বা খুব কম খেয়ে বা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট করে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে করে যখন আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন ও খাবার খেতে শুরু করবেন, তখন আবার খুব তাড়াতাড়ি ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
সব সময় মনে রাখবেন, আপনার ওজন বাড়ার কারণের ওপর কমানোর উপায় নির্ভর করবে। কখনোই খুব দ্রুত (ম্যাজিকের মতো) ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে খুব দ্রুত আবার ওজন বাড়তে শুরু করবে।
যাদের ঘুমের প্রবলেম হয় তাদের জন্য এই পরামর্শঃ
বন্ধুরা আপনাদের যাদের ঘুমের প্রবলেম হয় তাদের জন্য এই পরামর্শ , যেসব খাবারে ভালো ঘুম হয়। সারা দিন কাজ করার পর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয়, মানে ছয়-সাত ঘণ্টা সাউন্ড স্লিপ না হয়, তাহলে পরের দিনটি আমাদের ভালো যাবে না। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নেব সুনিদ্রার জন্য কী খাবেন, কী খাবেন না।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সুনিদ্রা পেতে খাবারের গুণাগুণের কথা বলেছেন রাজধানীর ধানমণ্ডির নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক।
ভালো ঘুম না হলে মেজাজ খিটমিটে হবে
পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক বলেন, ভালো ঘুম না হলে আমাদের মেজাজ খিটমিটে হবে, খাওয়ার রুচি থাকবে না, আমাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দেবে। সেই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, শারীরিক সমস্যা, অসুস্থতা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। ভালো ঘুম হওয়ার জন্য কিছু খাবার রয়েছে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে যদি এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ খান, এটি ভালো ঘুমের জন্য কার্যকর।
কারণ, উষ্ণ গরম দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, সোডিয়াম, কিছুটা ফসফরাস এবং সেই সঙ্গে ট্রিপটোফেন নামক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যেগুলো ভালো ঘুম হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
যেসব খাবারে ভাল ঘুম হয়
তাসনিম আশিক আরো বলেন, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, চীনাবাদাম খাওয়া উচিত, এসব বাদাম যেমন প্রোটিনে ভরপুর, সেই সঙ্গে বাদামে রয়েছে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নামক পুষ্টি উপাদান, যেগুলো ভালো ঘুম হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
সারা দিনে, মধ্য সকালের নাশতায়, ইভিনিং স্ন্যাকস বা ঘুমানোর আগে যদি কিছুটা বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে এটি ঘুমের ক্ষেত্রে ভালো ইফেক্ট ফেলে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আদা পানি, জিরা পানি, লবঙ্গ বা গোলমরিচ ব্যবহার করে তৈরি পানীয় যদি খাদ্যতালিকায় রাখি, এটিও ঘুমের ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখবে। এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি এসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড-জাতীয় যে খাবারগুলো আছে, সেগুলো যদি আমরা খাই, তাহলে আমাদের ইনসমনিয়া প্রবলেম, মানে ঘুমের সমস্যা দূর হবে। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি ও প্রচুর ওমেগা থ্রি।
এই ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি সেরোটোনিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর যখন সেরোটোনিন আমাদের দেহে নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তখন ভালো ঘুম হবে। তাই সামুদ্রিক মাছ, যেমন রূপচাঁদা মাছ, টুনা মাছ, লইট্ট্যা মাছ, কোরাল মাছ, ইলিশ মাছ ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। তাহলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে।
বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এই পর্যন্ত এরকমই মজার মজার পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটির ভিজিট করুন । পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সকালে কি খেলে ওজন কমে