লাইফস্টাইল

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে মেনে চলুন সহজ কিছু উপায়

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়! চলুন বন্ধুরা তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক মেধা শক্তি বা স্মৃতি বাড়ানোর উপায় ও টিপস।অনেকেই আছেন যারা কোনো ঘটনা বা বিষয়বস্তু চমৎকারভাবে মনে রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার মেধা কম! না, আপনার মেধা অবশ্যই কম না। সবার মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তাই সবাই একভাবে মনে রাখতে পারে না। কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে আপনিও নিজের স্মরণশক্তি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

১. মানসিক চাপ কমিয়ে বিষন্নতা দূর করুন-মানসিক চাপের মধ্যে বিষন্নতা মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিষন্নতা আপনার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়।

২। নিয়মিত ব্যায়াম করুন-ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর।

নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলোতে চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। ফলে মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।

৩। গান শুনুন-গবেষকরা দেখিয়েছেন কিছু সঙ্গীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারী। ব্যাপারটা এই রকম- কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।

৪। অন্যকে শেখান-নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন। তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। আরেক জনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন।

আবার চর্চাও হবে আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা আরেকজনের সাথে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে।

৫। পর্যাপ্ত ঘুম-একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।

নিজের অর্জন করা জ্ঞানের ১০ শতাংশও আমাদের মনে থাকে না

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমরা অনেক কিছুই শিখছি। তবে যা কিছুই শিখি না কেন, তার খুব কমই আমাদের মনে থাকে। হিসেব করলে দেখা যাবে নিজের অর্জন করা জ্ঞানের ১০ শতাংশও আমাদের মনে থাকে না। কিন্তু কেন? এর কারণ হচ্ছে, আমাদের মস্তিষ্ক প্রধানত কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। আর নতুন তথ্যগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি রূপে মস্তিষ্কে জমা হয়ে থাকে।

এই ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিগুলো যখন বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়, তখন তা মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হয়। তাই নতুন শেখা জিনিসগুলোকে পুনরাবৃত্তি করা না হলে আমরা তা ভুলে যাই।

আচ্ছা, এই ভুলে যাওয়া বা মনে না থাকার সাথে কি অঙ্ক বা গণিতের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে? ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কি গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? ১৮৮৫ সালে Hermann Ebbinghaus নামক একজন জার্মান বিজ্ঞানী একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধারণা করেন মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন সরবরাহ হয়

কোন বিষয়কে অনেক দিন পর্যন্ত মনে রাখার জন্য তা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি হিসেবে মস্তিষ্কে রাখতে হয়। জোর করে কিছু মনে রাখার চেষ্টা করলে তা সহজেই ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেননা, মস্তিষ্ক
ক যে কোন তথ্যকে স্মৃতিতে রূপান্তর করতে কিছুটা সময় নেয়। জোর করে মনে রাখতে গেলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

ব্যায়ামে মস্তিষ্কের আকার বাড়ে: শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়।

হাঁটাচলায় বাড়ে স্মৃতিশক্তি: কোন শব্দ বা বাক্য যদি আপনি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে।

খুঁজে নিন অবসর: স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন কিছু করুন: মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলো নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব।

গান শুনুন: সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। ব্যাপারটা এই রকম- কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।

পর্যাপ্ত ঘুম: একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।(স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়)

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।