লাইফস্টাইল

খেজুর খেলে যেসব রোগ থেকে মিলবে চিরতরে মুক্তি

খেজুরের পুষ্টিগুণ

খেজুরের পুষ্টিগুণ! বন্ধুরা আপনার কি খেজুর এর গুনাগুন সম্পর্কে জানেন, খেজুর খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় , এবং শরীরের জন্য খেজুর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন তাহলে এই বিষয়গুলো যদি জেনে না থাকেন, আজকের এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলব। চলুন কোথায় বাড়িয়ে শুরু করা যাক,

পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন আঁশ ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক

খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই প্রতিদিন খেতে পারেন খেজুর।পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

খেজুরের পুষ্টিগুণ-সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর-আয়রনে ভরপুর খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ কাছেও ঘেঁষবে না।
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে।

আসুন জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা-

১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।

৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।

খেজুরে রয়েছে বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সেই সঙ্গে খেজুরে দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর-

আয়রন – আয়রন হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষধ। খেজুরের পুষ্টিগুণ

প্রোটিন – আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। খেজুর হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ।

ক্যালসিয়াম – ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটা অনেক উপকারী।

কর্মশক্তি বাড়ায় – খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি।স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে সুপরিচিত খেজুর খেতে পারেন ঘুমানোর আগে।

তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারি খাবার খাওয়ার পর পরই খাবেন না খেজুর। ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানা থাকলেও এড়িয়ে চলুন ফলটি।খেজুর সবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফাইবার পাওয়া যায়, খেজুর সকালে খালি পেটে খেতে হবে, যা শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ভিটামিন বি৬ও পাওয়া যায় খেজুরে। তাই সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে খেজুর খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় তা এখানে আমরা আপনাদের বলব।

ওজন কমাতে – যারা তাদের ওজন কমাতে চান তাদের জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ায়। আমরা যখন নিয়ন্ত্রণে খাই তখন ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হিমোগ্লোবিন বাড়ায়- খেজুরে ভালো পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে- খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন ১-২টি খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যায়।গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী- খেজুর সেবন গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও উপকারী, খেজুরে উপস্থিত আয়রন মহিলাদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অপরিহার্য। গর্ভবতী মহিলারা সহজেই দিনে ১-২টি খেজুর খেতে পারেন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।