ট্রাভেল

চট্টগ্রামের ভাষাতেই চর্যাপদ রচিত! চট্টগ্রাম জেলার ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস

চট্টগ্রামের ইতিহাস! চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ জেলা হলো চট্টগ্রাম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন।

চট্টগ্রামের ইতিহাস

আজকে শুরু করতেছি আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ নিয়ে যার নাম হল চট্টগ্রাম। আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের জানাবো চট্টগ্রাম আমাদের দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানাবো । আর চট্টগ্রাম উৎপত্তি সম্পর্কে জানাবো আপনাদের। চট্টগ্রামের মধ্যে কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান আকর্ষণ। আর এই চট্টগ্রামের উৎপত্তি সম্পর্কে জানাবো আপনাদেরকে। তাই পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলেই সবকিছু জানতে পারবেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল বলা হয়। চট্টগ্রাম দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বলে ধারণ করা হয়েছে । চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেক মতভেদ রয়েছে। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি ধারণা করা হয়। যে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে আগমনকারী বারো আউলিয়া নামে বড় অঞ্চলে একটি বড় চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে । আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ শব্দর অর্থ বাতি এবং ‘গাঁও’ শব্দেরঅর্থ গ্রাম।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর

ধারণা করা হয় ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। বর্তমানের তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম গঠিত। ধরা করা হয় ১৮৬০ সালে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা। পরে চট্টগ্রাম ভেঙে কক্সবাজার জেলা পরিণত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্ম জন্ম হয় প্রায় ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই।

ব্যবসা-বাণিজ্য : চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক সমুদ্র বন্দর বলে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় ১৯৮৩ সালে হালিশহরে নির্মিত চট্টগ্রাম ইপিজেড, দেশের প্রথম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা নামে পরিচিত। জেলায় ৩২৮টি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান করা হয়েছিল । এর মধ্যে রয়েছে পাটকল, বস্ত্রকল, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, চামড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জাহাজ-ভাঙা ও জাহাজ নির্মাণ ও ইত্যাদি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

প্রাকৃতিক সম্পদ: চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বলতে বুঝায় লীলাভূমি। কর্ণফুলী, হাস, মুর ও সাধু জেলার প্রধান নদী হিসাবে বিখ্যাত। ১৯৯৪ সালে আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড সাঙ্গুর উত্তোলন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করা হয়।

সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় লবণের চাষ হয় বলে , বাংলাদেশের লবণের সংকট দেখা যায় না। চট্টগ্রাম জেলায় মাছচাষের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন বলা হয়। হালদা নদীর উৎসমুখ থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত মিঠাপানির প্রাকৃতিক মাছের প্রজননক্ষেত্র বলা হয়। চট্টগ্রামের আরেকটি ঐতিহ্য শুটকি মাছ তৈরি করা। সোনাদিয়া, সন্দ্বীপ প্রভৃতি দ্বীপাঞ্চল ইত্যাদি জায়গা থেকে শুটকি মাছ পাওয়া যায় ।(চট্টগ্রামের ইতিহাস)

মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম : ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাটের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা-পত্র এখান থেকে দ্বিতীয়বার পাঠ করা হয়। যুদ্ধের পুরো নয় মাস এ অঞ্চল ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল নামে পরিচিত ।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি : চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত গানগুলো বিশ্বপরিমণ্ডলে বেশ ক্ষেতে অর্জন করেছে। সংগীত, নৃত্য, নাটক, যাত্রাপালা, কবিগান, লোকসংগীতের চর্চা এ অঞ্চলে বরাবরই হয়ে আসছে বলে জানা যায় । মুসলমান সম্প্রদায়ের ‘মেজবান’ এ জেলার ঐতিহ্য বলে মনে করা হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ও নানা ধরনের লোকজ আচার অনুষ্ঠান পালন করে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬ চট্টগ্রাম থেকে। বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের সাথে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে দেখা হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।