শিক্ষা

কৃষকের বন্ধ ছোটকান প্যাঁচার পরিচিতি ও খাদ্য তালিকা

ছোটকান প্যাঁচার স্বভাব

ছোটকান প্যাঁচার স্বভাব! ছোটকান প্যাঁচা আমাদের দেশের একমাত্র পরিযায়ী প্যাঁচা। এই প্যাঁচার আচরন অন্য সব পাখির থেকে আলাদা। এটিকে দেখা যায় মুলত শুষ্ক মৌসুমে নদীর চরে ।

ছোটকান প্যাঁচার বর্ননা

ছোট কান প্যাঁচা লম্বায় ৩৩-৪৫ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ডানা ১০৫-১০৭ সেমি হয়ে থাকে। এদের মধ্যে পুরুষের ওজন ২০০-৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং মহিলর ওজন ২৮০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই পাখি গুলোর দেহের নিচে হলদে সাদার সঙ্গে কালচে রঙ আছে। পুরুষ পাখিটির চেয়ে স্ত্রী পাখি একটু বড় হয়ে থাকে। গায়ের রঙের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এদের মাথাটা বড় ও কানটা ছোট হয়ে থাকে। বাইরে থেকে এদেরকে দেখা যায় না।

গোলাকার মুখ ধূসর সাদা ও চোখগুলো এদের সালফার হলুদ। পিঠে ও গায়ে কালো সাদা বুটিক আছে ।কারো কারো গায়ে হলুদের মিশ্রন আছে। এদর লেজটি অন্য দের তুলনায় ছোট। চোখের রঙ কোটার কালো ঠোঁট কালো ও খাট এবং পা গুলো পালক দিয়ে মোড়ানো । এদের নখ গুলো দেখতে কালো।

ছোটকান প্যাঁচার স্বভাব

অন্য আরো ১৬ প্রজাতির প্যাঁচার থেকে এই প্যাঁচাটি আলাদা এক প্যাঁচা যা পরিযায়ী। এই প্যাঁচাটিকে উপকারি টপ্যাঁচা হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। অন্য সব প্যাঁচা নিশাচর হলেও এই প্যাঁচাটি দিনের বেলায় খাবার সংগ্রহ করে থাকে। নিশাচর পাখি হলেও আধার ঘনিয়ে আসার আধা ঘন্টা আগে খাবারের শিকারে বের হয়।

এই পাখিটি তৃনভূমি, ফসলের জমি, বালিড়ারি কিংবা পাহাড়ি অঞ্চলে খাবার শিকার করে বেরায়। ঘন ঘন বন জঙ্গলে খাবার সংগ্রহ করা পছন্দ করে না। এরা জোড়ায় কিংবা একাকি খাবারের সন্ধানে বের হয়। এরা মাথা ঘুরিয়ে উরন্ত পোকা মাকড় সংগ্রহ করে।

ছোটকান প্যাঁচার প্রজনন

এই পাখিটির প্রজননের সময় কাল হলো মার্চ থেকে জুন মাস । এরা সাধারনত মরা গাছের কোটরে কিংবা মাটিতে ঘাস পাতা বিছিয়ে ৪-৭ টি ডিম পারে। কোন কোন প্যাঁচা আবার ৪-১২ টি ডিম দিয়ে থাকে। ডিম থেকে বাচ্চা দিতে সময় লাগে ২৪-২৯ দিন। শাবককে শাবলম্বী হতে সময় লাগে এক মাস করে। বয়ঃপ্রাপ্ত হতে সময় লাগে এক বছর করে। এদের গড় আয়ু ১৩ বছর।

ছোটকান প্যাঁচার খাদ্য তালিকাও বিস্ততি

ইঁদুর , কাঠবিড়ালি, খরগোশ, বাদুড় , ফড়িং ইত্যাদি সরীসৃপ প্রানী খেয়ে থাকে। বাংলাদেশে ছাড়া এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান ইত্যাদি জায়গায় এরা বিস্তার করে।

ছোটকান প্যাঁচার অবস্থা

প্রধানত বাসস্থান ধ্বংসের কারনে বিশ্বব্যাপি গরায়ের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। অনেক সময় শিকারের গুলিতে ও এরা মারা যায়। বর্তমানে এরা বিপদগ্রস্থ ও সংকটাপন্ন। বাংলাদেশের বন্যপ্রানী আইনে এই প্রানীটি সংরক্ষিত।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।