লাইফস্টাইল

বদ হজমের সমস্যা দূর করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

বদ হজমথেকে বাচার উপায়

বদ হজমথেকে বাচার উপায়! বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হজম শক্তি নিয়ে সমস্যা । এই সমস্যায় আপনি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন কিন্তু সমাধান পাচ্ছেন না। আজকে আমরা এই সমস্যার সমাধানের কিছু টিপস নিয়ে এসেছে । চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,,,,

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গ্যাসের ওষুধ। পেটে কোনো সমস্যা হলেই আমরা দৌড়ে পাশের ওষুদের দোকান থেকে ট্যাবলেট খেয়ে উপশমের উপায় খুঁজি। কিন্তু কখনও কী ভেবে দেখেছেন, আপনার ঘরে কিংবা আশপাশেই আছে হজমের সমস্যা দূর করার উপায়। দীর্ঘদিনের পুরনো হজমের সমস্যা নিমিষে দূর করার সাতটি ঘরোয়া উপায় আসুন জেনে নিই-

কাঁচাহলুদ হচ্ছে হজম সমস্যা দূর করার বড় দাওয়াই

হজম সমস্যা দূর করার একই বড় দাওয়াই হলো আপেল। আপেল সিদ্ধ করে সেই রস খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। এটি খালি পেটে নিয়মিত খেলে বদহজম দূর হয়।কাঁচাহলুদ হচ্ছে হজম সমস্যা দূর করার বড় দাওয়াই। এক টুকরো কাঁচাহলুদ নিমেষেই আপনাকে দেবে স্বস্তি।

* খালি পেটে উষ্ণ গরম পানি পেটের সমস্যা দূর করে। ফাপা ফাপা ভাব দূর করে।

* জিরার গুড়ো পানিতে মিশিয়ে গরম করে খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। এটি পেটের চর্বিও দূর করে।

* এলাচে ঝাঁজ থাকলে নিয়মিত চিবিয়ে খান। দেখবেন পেটের আরাম দিচ্ছে।

* খাবার খাওয়ার মাঝে বেশি সময় বিরতি দেয়া যাবে না। সমান দূরতে খেতে হবে। এ ছাড়া দীর্ঘসময় পেট খালি রাখলে গ্যাস বাড়ে।

* পেঁপে পাতা হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে পাতা সিদ্ধ করে পানি খান উপকার পাবেন।

* হজমের সমস্যা দূর করতে হলে খাবারে আঁশের পরিমাণ বাড়াতে হবে। নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে।

বেশিরভাগ মানুষই কখনো না কখনো পেট টান টান হয়ে থাকা, পেট ফুলে থাকা কিংবা পেটে অস্বস্তি হওয়ার মতো উপসর্গের মুখোমুখি হন।

বিশেষ করে একটা লম্বা ছুটি কিংবা উৎসবের পরে অনেকেই এমন অনুভব করে থাকেন। এগুলো পেট ফাঁপার লক্ষণ। এই লক্ষণগুলোর সাথে সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ার সম্পর্ক থাকে।তবে একটানা পেট ফাঁপার সমস্যা হলে এর পেছনে হজমের কোনো সমস্যা অথবা ব্যক্তির ডায়েট দায়ী থাকতে পারে। (বদ হজমথেকে বাচার উপায়)

পেট ফাঁপার কারণ-প্রায়ই পেট ফাঁপা অনুভব করার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়খানার রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ করা কোষ্ঠকাঠিন্য
বাতাস গিলে ফেলা। খাওয়ার সময়ে কথা বললে এমন হতে পারে নির্দিষ্ট কোনো খাবার সহ্য না হওয়া সিলিয়াক ডিজিজ ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম
দৈনন্দিন অভ্যাসে সহজ কিছু পরিবর্তন এনে পেট ফাঁপা ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই উদ্দেশ্যে যেসব খাবার খেলে বেশি বায়ু হয় সেগুলো খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। কার্বোনেটেড (বুদবুদ ওঠে এমন) কোমল পানীয়ের বিকল্প বেছে নিতে হবে। সময় নিয়ে বসে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ-যেসব খাবার খেলে পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেশি বায়ু যায় সেগুলো খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। এতে পেট ফাঁপা ভাব কমে আসবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে—শিম ও অন্যান্য বিন জাতীয় সবজি (Beans)পেঁয়াজ,ব্রকলি,ফুলকপি,বাঁধাকপি,অঙ্কুরিত সবজি বা স্প্রাউট (Sprouts)
এই তালিকার সবজিগুলো খাওয়া কমিয়ে দিলেও দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও অন্যান্য শাকসবজি খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক কতটুকু ফল ও শাকসবজি খাবেন-শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকে বাঁচতে দৈনিক কমপক্ষে পাঁচ পরিবেশন ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ৮০ গ্রাম তাজা ফলমূল অথবা শাকসবজিকে এক পরিবেশন ধরা হয়। হিসাবের সুবিধার্থে এক হাতের তালুতে যতটুকু তাজা ফলমূল অথবা শাকসবজি আঁটে সেটিকে এক পরিবেশন ধরা যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য

নিচের তিনটি কাজের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব—খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার রাখা। এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফলমূল, শাক, সবজি, ডাল ও পূর্ণশস্য (যেমন: লাল চাল ও লাল আটা)পর্যাপ্ত পানি ও অন্যান্য তরল পান করা।

এটি ফাইবারের কাজে সহায়তা করে এবং হজমে সাহায্য করেনিয়মিত ব্যায়াম করা। সপ্তাহে কেবল চারদিন ২০-৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটলেও পেটের কাজ করার ক্ষমতার উন্নতি হবে। ফলে হজমের প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে আসবে পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে না রাখা। পায়খানার বেগ আসলে তা যদি আটকে রাখা হয়, তাহলে শরীর ক্রমশ সেখান থেকে পানি শুষে নিতে থাকে। পেটের ভেতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

বাতাস গিলে ফেললে পেট ফাঁপা ভাব হতে পারে। অতিরিক্ত বাতাস গিলে ফেলা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু কাজ করা যায়। যেমন—

১/খাওয়ার সময় মুখ বন্ধ করে চিবিয়ে খাওয়া

২/সোজা হয়ে বসে খাওয়া

৩/খাওয়ার সময়ে ঝুঁকে বসা থেকে বিরত থাকা

৪/বুদবুদ ওঠা কোমল পানীয় (যেমন: কোক-সেভেন আপ) খাওয়া কমিয়ে দেওয়া চুইংগাম খাওয়া বন্ধ করা

৫/খাওয়ার সময়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকা

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।