উৎসব

মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র কোনটি জানেন

বাংলাদেশের যুদ্ধের ছবি

বাংলাদেশের যুদ্ধের ছবি! বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ মাধ্যমে। বিশ শতকে বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা হল মুক্তিযুদ্ধ। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন আজকের কথা বলব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিষয় নিয়ে।

আসলে প্রথম বাংলাদেশি কত সালে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয় ? কোন চলচ্চিত্র সর্বপ্রথম প্রকাশ হয়েছিল ? বা কোন চলচ্চিত্র প্রথম বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছিল তা জানাবো আজকের এই পোস্টটিতে তাই পুরো পোস্টটি আপনার জন্য পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি নতুন পোস্ট। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের পোস্ট।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম ছবি তৈরি হয় কলকাতায়

সুখের বিষয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের দেশে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোতে নানা সময়ে উঠে এসেছে এবং আমাদের অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। একাত্তরেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম ছবি তৈরি হয় কলকাতায় শহরে। সে-সময় নির্মিত চারটি প্রামাণ্য চিত্রের মধ্যে ছিল, জহির রায়হানের জেনোসাইড’ ও ‘আ স্টেট ইজ বর্ন’, আলমগীর কবীরের ‘লিবারেশন ফাইটার্স এবং বাবুল চৌধুরীর ‘ইনোসেন্ট মিলিয়নস’আরো অনেকেই এই ছবিতে কাজ করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম ছবি ওরা ১১ জন

স্বাধীনতার পর নতুন জাতি ভালোবাসার আবেগের প্রাবল্যে ভেসে যায়। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রেও সেই জোয়ারের দেখা মেলে। জাতীয় জীবনের এত বড় ঘটনা নিয়ে একের পর এক ছবি তৈরি হতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম কাহিনীচিত্র চাষী নজরুল ইসলামের ওরা১১ জন (১৯৭২)। ‘ ছবির অধিকাংশ কলাকুশলী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।

পরে মুক্তি পায় দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ (১৯৭২), আলমগীর কবীরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’ (১৯৭৩), খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ (১৯৭৩), নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ (১৯৭৪), চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ (১৯৭৪), হারুন-উর-রশিদের ‘মেঘের অনেক রং’ (১৯৭৬), মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’ (১৯৭২), আলমগীর কবিরের ‘আমার জন্মভূমি’ (১৯৭৩) ইত্যাদি চলচ্চিত্র ছবি প্রকাশ পায়।

সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বই দশকের বড় একটা সময় পর্যন্ত শহীদুল হক খানের ‘কলমীলতা’ (১৯৮১) বাদে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কোনো ছবি হয়নি। তবে আশির দশকের মধ্যভাগে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের কর্মীরা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ‘আগামী’ (১৯৮৪, মোরশেদুল ইসলাম) ও ‘হুলিয়া’ (১৯৮৪, তানভীর মোকাম্মেল) ছিল সবচেয়ে আলোচিত।

মুক্তিযুদ্ধ বিসয়ক ছবিগুল হল

নব্বইয়ের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪)।তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মাণ করেন প্রামাণ্য চিত্র ‘মুক্তির গান’ (১৯৯৫)। ১৯৭১ সালে মার্কিন নির্মাতা লিয়ার লেভিনের ধারণকৃত ফুটেজ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। সেলিনা হোসেনের গল্প অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে চাষী নজরুল ইসলাম তৈরি করেন ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’। এ-সময়ের উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্র হলো, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘একাত্তরের যিশু’ (১৯৯৩), তানভীর মোকাম্মেলের ‘নদীর নাম মধুমতি’ (১৯৯৫), ইত্যাদি।

-একুশ শতকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত হয়েছে শ্যামল ছায়া’ (২০০৪, হুমায়ূন আহমেদ), ‘জয়যাত্রা’ (২০০৪,তৌকীর আহমেদ), ‘তাজউদ্দীন আহমদ : নিঃসঙ্গ সারথী’ (২০০৭, তানভীর মোকাম্মেলের বায়োপিক) মেঘমল্লার'(২০১৪, জাহিদুর রহিম অঞ্জন)। শামীম আখতারের ‘শিলালিপি’(২০০২, শহিদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের বায়োপিক)। ২০১১ সালে মুক্তি পায় মোরশেদুল ইসলামের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’।

একই বছর সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ অবলম্বনে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নির্মাণ করেন ‘গেরিলা’। তানভীর মোকাম্মেলের ‘জীবনঢুলী’ (২০১৪) পাকবাহিনীর চালানো গণহত্যার উপর নির্মিত। ২০১৫ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ঘিরে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন ‘অনিল বাগচীর একদিন’। ২০১৯ সালে নির্মিত মাসুদ পথিকের ‘মায়া : দ্য লস্ট মাদার’ ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আটটি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার জিতেছে।

বন্ধুরা এসব বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস। বন্ধুরা পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ আরও এরকমই পোস্ট করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।