ব্যবসায় উদ্যোগ

২০২৪ সালের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশের জিডিপির সমান

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ২০২৪! হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন আজকে চলে আসলাম একটি ব্যতিক্রম ধর্মী নিউজ নিয়ে।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ২০২৪

আমরা সকলেই জানি আমাদের জীবনে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। আর এই অর্থ যদি আমরা  নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আয় করতে পারি তাহলে এটি আমাদের কাছে এক বিরাট ব্যাপার বলে আমরা মনে করি। কিন্তু অনেক সময় আমাদের এই আয় আমাদের সামর্থের মধ্যে থাকে। কিন্তু বিশ্বে এমনও কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত তাদের ব্যক্তিগত আয়কে দিন দিন বাড়িয়েই যাচ্ছে। কেননা তারা চাইছে বিশ্বের মধ্যে ধনীদের চেয়েও আরও বেশি ধনী হতে। এমনই একজন ধনী ব্যক্তির নাম সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। যে কিনা বাংলাদেশের মোট জিডিপির অর্ধেক পরিমাণ অর্থের মালিক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের শীর্ষ ধনী আর্নল সম্পর্কে।

বিশ্বের বিলিনিয়রদের শীর্ষে উঠে আসলো বিলাস দ্রব্য প্রস্তুতকারী ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বারনাট আর্নল।তিনি নতুন তালিকার একেবারে প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছেন। চলতি বছরে ২,২৩ বিলিয়ন ডলারের উপর ভর করে বিশ্ব ধনীদের তালিকা বিলোনিয়ারদের শীর্ষে উঠে এসেছেন ৭৪ বয়সের বয়সী এই প্রকৌশলী। মজার ব্যাপার হলো আর্নলটের মোট আয় বাংলাদেশের মোট জিডিপির প্রায় অর্ধেক। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪০৭.২ বিলিয়ন ডলার।

আর্নলটের প্রতিষ্ঠান এল ভি এম এইচ মুনাফা

আর্নলটের প্রতিষ্ঠান এল ভি এম এইচ মুনাফা এবং শিয়ারের দিক থেকে সব রেকর্ড ভেঙ্গে গত ১২ মাসে যোগ করেছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার। এটি বিলোনিয়ারদের আয়ের ভেতর সর্বাধিক। এর আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন মিলন মাক্স। বর্তমানে তিনি ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করে আর্নলটের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ২০২৪ সাধারণ মানুষের কাছে এল বি এম এইচ এর ব্রান্ডগুলো যতটা পরিচিত আর্নলটের নাম ততটা পরিচিত নয়। এল ভি এম এইচ এর আওতায় থাকা ব্রান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে লুই ভুতু, ক্রিশ্চিয়ানজিওর, ফেন্ডি, টিশানি অ্যান্ড কং, এন্ড এন এস সি এরকম ৭০ টিরও বেশি ব্রান্ডের মাধ্যমে মাত্র তিন দশকের ভেতর এল ভি এম এইচ কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিলাস দ্রব্য কোম্পানিতে পরিণত করেছেন আর্নলট।

১৯৮৯ সালে মাত্র চার বিলিয়ন ডলার আয় করে যাত্রা শুরু করলেও কোম্পানিটির এখন মাসিক আয় ৮৬ বিলিয়ন ডলার। এই সময় এল বি এম এইচ এর স্টোকের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। ১৯৯৭ সালে ফোর্সের তালিকায় প্রথমবারের মতো নাম উঠে আর্নলটের। তার মোট আয় ছিল ৩.১ বিলিয়ন ডলার। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ১৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় উঠে আসে। ২০১৮ সাল নাগাদ তার ভাগ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। সে বছর তিনি ৭১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে শীর্ষ ধনীদের ভেতর চতুর্থ অবস্থানে চলে আসেন। কিভাবে ক্লাসিক বিলাস দ্রব্য তৈরি করে তাদের আবেদন ধরে রাখতে হয় তা ভালো করেই জানেন আর্নলটের। ২০১৯ সালে ফোর্সকে তিনি বলেন লুই ভুত এবং ডিও এর মত ব্রান্ডগুলো নির্দিষ্ট সময়ের ফ্যাশনকে ধারণ করে না বরং এগুলো সময়হীন এবং আধুনিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের অবস্থান। শুধু লুই ভুতই ২ হাজার ডলারের বেশি দামী হাতব্যাগ, ঘড়ি ও অলংকার বিক্রি করে থাকে।

আর্নলটের কোম্পানির মুনাফা

গত বছর এই একটি ব্রান্ডই ২১.৭ বিলিয়ন মুনাফা করেছে। ২০১৭ সালে পপস্টার রিহানার সঙ্গে পার্টনারশিপে ফেনটি বিউটি নামে আরেকটি কোম্পানি খুলেন আর্নলটের। এই একটি কোম্পানি ২০১৯ সাল নাগাদ মুনাফা করে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার। অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী গত বছর কোম্পানিটির দ্বিগুণ মুনাফা করেছে। এত আয় করেও থামছেন না এই ব্যবসায়ী। বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েও তার সাফল্যকে আরো বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বন্ধুরা আমরা হয়তো আর্নলটের আয় দেখে ঈর্ষান্বিত বোধ করছি। কিন্তু তিনি একদিনেই এত বড় সম্পদের মালিক হয়নি। তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নিজের কোম্পানিকে প্রসারিত করেছে। যার ফলে আজকে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় অন্যতম। তাই আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যে অটুট থাকতে হবে তবেই আমরা সাফল্যের শীর্ষ পর্যায়ের অবস্থান করতে পারব। আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে এরকম ব্যতিক্রম ধর্মী পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।