ট্রাভেল

মেট্রোরেল আইনে এক কোটি টাকা জরিমানা সহ হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড

মেট্রোরেল আইন ২০১৫

মেট্রোরেল আইনে কি বলা আছে! পদ্মা সেতুর পরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরেকটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো আর তা হলো মেট্রোরেল।

কেননা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য যাতায়াতের নতুন দ্বার উন্মোচিত করে দিল। ফলে মানুষজন এখন খুব সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। আগে যেমন মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে পোরে থাকতো মেট্রোরেল হওয়ায় এর অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরা থেকে কমলাপুর গামী যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল হতে পারে একটি আরামদায়ক সহজলভ্য জার্নি।

মেট্রোরেলের বাজেট

মেট্রোরেল কিন্তু একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে সঙ্গে কোনো ভাবে সংযুক্ত নয়। এখানে যে সমস্ত কর্মকর্তা রয়েছে তারা নতুন করে নিয়োগ প্রাপ্ত অফিসার বা সরকারী কর্মকর্তা । মেট্রোরেল আইনে কি বলা আছে মেট্রোরেল ছিল বাংলাদেশের এক স্বপ্নের প্রকল্প।

ঢাকাবাসীকে যানজট মুক্ত করার জন্যও ২০১২ সালে মেট্রোরেল নিয়ে আলোচনা শুরু এবং ২০১৭ সালে মেট্রোরেলের কাজের উদ্বোধন করা হয়। ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেলের জন্য সরকার বাজেট দেয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি  টাকা । যেখানে অর্থায়ন করেছে জাইকা ৭৫% এবং বাংলাদেশ সরকার ২৫%।

অর্থনীতিতে মেট্রোরেল

বাংলাদেশের ৮ টি মেগা প্রজেক্ট এর মধ্যে মেট্রোরেল একটি। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মেট্রোরেলের চরে্লারেছে ৪ লাখ যাত্রী যেখান থেকে আয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের জিডিপিতে মেট্রো রেলের অবদানও হবে অনেক বেশি এটি ঢাকার যানজটকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে। যে যানজটের ফলে বছরে ৫৫ হাজার ছয়শ ৮৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে এআরআই।

মেট্রোরেলওয়ে আইন ২০১৫

১/ মেট্রোরেল আইনে বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি মেট্রোরেলের ক্ষতিসাধন করতে চায় বা একটি গ্লাস ভাঙ্গে তাহলে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৫ বছরের জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

২/ টিকিট ছাড়া ভ্রমণের সময় ধরা পরলে  ১০ গুণ বেশি ভারা গুণতে হবে এবং সাথে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

৩/ কোন ব্যক্তি মেট্রোরেলের টিকিট জাল করলে বা নকল করার চেষ্টা করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১  কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

৪/  মেট্রোরেলের কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দিলে বা তাদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা সহ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

৫/  মেট্রোরেলের কিছু এলাকা সংরক্ষিত  এ সমস্ত এলাকায় কোন ব্যক্তি প্রবেশ করবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেখান থেকে সরতে না চাইলে ওই ব্যক্তিকে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

৬/ কোন ব্যক্তি একবার মেট্রোরেলের শাস্তিতে দণ্ডিত হয়ে জেল গেলে এবং জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় একই অপরাধ করলে তাকে আগের অপরাধের দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে।

উপরুক্ত  এসব বিষয় মেট্রোরেল আইন ২০১৫ তে বলা হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি এসব আইন লংঘন করতে চায় তাহলে তাকে দ্বিতিয় বার ভাবতে হবে। কেননা বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম কোঠর আইন আর আগে কখন করা হয়নি।

বন্ধুরা মেট্রোরেল সম্পর্কে আজকের পোস্টটি এতোটুকুই মেট্রোরেল সম্পর্কে আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ.

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।