Rain Quail এর স্বভাব! চিনা বটেরা হলো ফ্যাজিয়ানিডি গোত্র বা পরিবারের অর্ন্তভুক্ত । এরা সাধারনত এক প্রকার বুনো কয়েল । এরা সাধারনত দক্ষিন বা দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় একটি পাখি। এদের ইংরেজী নাম- Rain Quail এবং বৈঙ্গানিক নাম – Coturnix Coromandelica ।
চিনা বটেরা বর্ণনা
বুনো কয়েল টি দেখতে অনেকটা গৃহপালিত কোয়েল এর মত। এরা সাধারনত ১৫-১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এদের ওজন ৬৪-৭১ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের পালক গুলো অনেকটা মাটির কালারের মত হয়ে থাকে। এদের মাথা মাটি কালার হলেও মাথায় অনেক গুলা সাদা সাদা দাগ আছে। এদের ভ্রুটা সাদা কালারের কিন্তু ভ্রুটা একেবারে ঘাড়ে গিয়ে ঠেকেছে।
আর চোখ গুলো ঠোঁটের কাছে গিয়ে ঠেকেছে। পিঠ আর ডানায় অনেক গুলো সাদা দাগ যুক্ত। এদের বুকের অনেক খানি অংশ জুরে কালো দাগ রয়েছে। এদের চোখ গুলো বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। পাগুলো সাদা কালারের , আর ঠোঁট টি সীসা বর্ণের । এই কোয়েল গুলো ছেলে মেয়ে দেখতে প্রায় একই হয়ে থাকে কিন্তু ছেলে কোয়েল টি কালো দাগটি বেশি থাকে।
চিনা বটেরা স্বভাব
গ্রীষ্মকালে ঘাসবন আবার পাহাড়ী শুষ্ক বনাঞ্চলে এরা থাকতে বেশি পছন্দ করে। বালুতে আঁচড়ায় আঁচড়ায় এরা গোসল করতে পছন্দ করে থাকে। ছেলে বটেরা পাখিটি বেশি ডাকে ছেলে বটেরা পাখিটি দুই বার হুইট হুইট শব্দ করে ডেকে থাকে। সকাল বেলা আর বিকেল বেলায় বেশি ডাকে। মাঝে মাঝে চ্রিঙ্ক চ্রিঙ্ক শব্দ করে ডেকে থাকে। সাধারনত প্রজননের সময় এরা বেশি করে ডাকে। Rain Quail এর স্বভাব
চিনা বটেরা প্রজনন
এরা সাধারনত ফসলের গোড়ায়, ছোট ছোট খাদ, ছোট কোন ঝোপ জাড় কিংবা সমতল ভূতিতে বাসা করে থাকে। এদের প্রজননের সময়কাল মার্চ থেকে অক্টোবর এর মধ্যে এরা প্রজনন করে থাকে। প্রথমে এরা বাসা তৈরি করে পরে এরা ৪-৬ টি ডিম পারে । এর বেশি এরা ডিম পারে না। এদের মধ্যে কোন বিভেদ চলে না এক বাসায় অন্য স্ত্রী বটেরাও ডিম পারে। ছানা থেকে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ১৬-২০ দিন এর মধ্যে বাচ্চা বের হয় ।
ছানা ফোটার পরে বাবা বটেরাপাখি অনেক আগ্রাসী হয়ে উঠে। পুরুষ স্ত্রী দুজনেউ মিলে এই ছানা দের প্রতিপালন করে থাকে। ছানাদের বয়স আটমাস পর্যন্ত তারা তাদের বাবা মায়ের কাছে থাকে ।
চিনা বটেরা খাদ্য তালিকা ও বিসতৃতি
এদের খাদ্য তালিকার মধ্যে পোকামাকড় , বাদাম, ঘাস, আগাছার বীজ এদের প্রধান খাদ্য। চিনা বটেরা ভারত , পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও নেপালের এই সব স্থানে বিচরণ করে থাকে।
চিনা বটেরা অবস্থা
আই. ইউ. সি. এন এর মতে এদের অবস্থা অনেকটা আশঙ্কা জনক। বিগত কয়েক বছরে এর কোন প্রজনন হয় নি । সে কারনে এর অবস্থা আশঙ্কা জনক হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪-২০১২ সালের বন্যপ্রানী আইনে এটি সংরক্ষিত।