Top 10 motorcycle brands! জ্যামের শহরে বাইককেই রাস্তার বন্ধু বানিয়ে নিয়েছেন অনেকে। ববার কেউ কেউ ভাবনায় আছে নতুন বাইক কেনার। কিন্তু কোনটা বাইক কিনবেন, তা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। কেমন দাম, টেকসই কতটুকু, এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মাথার মধ্যে। একটু নিশ্চিন্ত হতে জেনে নিতে পারেন বাংলাদেশের বাজারে সেরা মানের ১০টি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের কথা।
বাজাজ
বাজাজ দেশের বাজারে মোটরসাইকেল বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড বাজাজ। বাংলাদেশে মোটরসের ব্র্যান্ড এটি মোটরসাইকেল ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজাজের বাইকের গুণগত মান, ইঞ্জিন পারফরম্যান্স, মানানসই ডিজাইন, বাইকের স্থায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো বাজাজকে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা করে আসছে বাজাজ। বর্তমানে এ ব্র্যান্ডের বাইকের মডেলসংখ্যা ১২টি।
হোন্ডা
এই আমাদের এই মটর বাইকের জনপ্রিয়তা এত বেশি যে মোটরসাইকেলকে ‘হোন্ডা’ বলেই ডাকেন অনেকে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে হোন্ডা সবচেয়ে বেশি পরিচিত হওয়ার কারণ হলো এর দীর্ঘস্থায়িত্ব আর জাপানি ব্র্যান্ড।
শহরের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যেও হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয়। হোন্ডা বর্তমানে প্রায় ২০টি মডেল বাজারজাত করছে আমরা জানতে পারি।
টিভিএস
এই বাইকটি কমিউটার সেগমেন্টের অসাধারণ এবং অনেকগুলো বাইকের সমন্বয়ে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে টিভিএস গারিটি।
বাংলাদেশের এ ব্র্যান্ড বর্তমানে অত্যাধুনিক সব ফিচারের সমন্বয়ে যেসব ১৫০ সিসির সেমিস্পোর্টস বাইক বাজারে নিয়ে আসছে, তার প্রায় প্রতিটিই ইউনিক ডিজাইনের, যা এক দেখাতেই অধিকাংশ বাইকপ্রেমীর পছন্দ হয়ে যায়। টিভিএস বর্তমানে ২৩টি মডেল বাজারজাত করছে বলে আমরা মনে করি।
হিরো
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে হিরো বাংলাদেশে অন্যতম একটি সেরা ব্র্যান্ড। কমদামে সবচেয়ে ভালো মানের বাইক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয় হিরো এমন একটি বাইক ।
আগে সার্ভিসজনিত কিছু সমস্যা থেকে থাকলেও বর্তমান সার্ভিস এবং কমিউটার থেকে স্পোর্টস ক্যাটাগরির পণ্যসম্ভার হিরো ব্র্যান্ডকে নিয়ে এসেছে দেশের সেরা মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের এটি মডেল । বাংলাদেশের বাজারে হিরো ২৪টি মডেল নিয়ে ব্যবসা করছে আমরা মনে করি।ইয়ামাহা সবার পছন্দের ব্র্যান্ড এই বাইক ইয়ামাহা।
দেশের বাইকপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ইয়ামাহার নাম অন্যতম শীর্ষে
মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা আর কমিউটার সেগমেন্ট অর্থাৎ ১০০ সিসি থেকে ১২৫ সিসি সেগমেন্টে ইয়ামাহার বাইক আছে মাত্র ১টি। সেটি হলো ১২৫ সিসি সেগমেন্টে। এই ব্র্যান্ড ১৪টি মডেল বাজারজাত করছে।
সুজুকি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কয়েকটি জাপানি ব্র্যান্ড বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে, তাদের মধ্যে অন্যতম গারি হলো সুজুকি। ৯০ দশকে টু স্ট্রোকের সব বাইক নিষিদ্ধ হওয়ার পর অন্যান্য বাইক ব্র্যান্ড যখন ভারতীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করল, সুজুকি তখন বাংলাদেশ থেকে একরকম ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছিল।
প্রায় ১০-১৫ বছর পর আবার যখন সুজুকি বাংলাদেশে এল, তখন এর বাইকগুলো ছিল আরও ভালো মানের আর আনেক সুন্দর । নিজেদের বিখ্যাত মডেল সুজুকি জিক্সারসহ সব মিলিয়ে ২৭টি মডেল নিয়ে বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে সুজুকি।(Top 10 motorcycle brands)
রানার
এই মোটরসাইকেলের বাজারে রানার এখন একটি পরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম। এটি দেশি ব্র্যান্ড ও সহজলভ্য। শহর থেকে গ্রাম বা ৮০ সিসি থেকে ১৬৫ সিসি যেকোনো মডেলের মোটরসাইকেল পেয়ে যাবেন এবং দাম অন্য বাইকের চেয়ে অনেক কমনানা রকম অফারের মাধ্যমে রানার তাদের ক্রেতাদের কাছে প্রতিনিয়ত নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে। বর্তমানে রানার ব্যবসা করছে ১৭টি মডেল নিয়ে।
কিওয়ে
অল্প দিনের মধ্যে দিয়ে কিওয়ে ব্রান্ডটি বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। যদিও সময়ের পরিক্রমায় ব্র্যান্ডটির উত্থান-পতন ও হস্তান্তর চলমান, তারপরও এর অসাধারণ তৈরির প্রক্রিয়া, সহজলভ্য দাম, ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ও মাইলেজ বাইকপ্রেমীদের মন কেড়েছে।
কিওয়ে বাংলাদেশে আসার পর তাদের পণ্যসম্ভারে কমিউটার থেকে শুরু করে স্পোর্টস, এমনকি অসাধারণ লুকের ক্রুজার বাইকও নিয়ে এসেছে, যা বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে ক্রুজার মোটরসাইকেলের সম্পূর্ণ নতুন একটি মাত্রা যোগ করে। বর্তমানে কিওয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে ৭টি মডেল নিয়ে বলে মনে করা যায়।