রাজনীতি

বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমানগুলো কোন কোন দেশের কাছে রয়েছে

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান কোনটি

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান কোনটি! বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমরা সকলেই জানি বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব।

যেখানে বিভিন্ন দেশ নানান ভাবে তাদের জনগণের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তিকে বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগাচ্ছে। পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম বৃদ্ধি করছে। যে দেশের সামগ্রিক সরঞ্জাম যত বেশি উন্নত সে দেশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তত বেশি শক্তিশালী। সামরিক সরঞ্জাম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমান বাহিনী।

যেই দেশের বিমান বাহিনীতে যত বেশি শক্তিশালী বিমান রয়েছে সেই দেশের বিমান বাহিনী তত বেশি অন্যান্য দেশের মধ্যে গিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম। আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে এরকমই বিশ্ব নন্দিত কয়েকটি যুদ্ধবিমান সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

লকেট মার্টিন এফ ৩৫ লাইটনিং টু

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান লকেট মার্টিন এফ ৩৫ লাইটনিং টু। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো ফিফ্থ জেনারেশনের ফাইটার জেট। এতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন।

আরও রয়েছে ডেটা নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এবং সবচেয়ে আধুনিক রাডার। যেখানে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে খুব সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং সে অনুযায়ী খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

এমনকি এই যুদ্ধবিমানের পাইলটদের হেলমেটটি সবচেয়ে আধুনিক। যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে পাইলটদেরকে আরো বেশি সজাগ রাখতে পারে। এই হেলমেট চতুর দিক দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

লকেট মার্টিন এফ ৩৫ লাইটনিং টু

J20 মাইটি ড্রাগন

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিশালী যুদ্ধবিমান চীনের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট চেন্দু J20 মাইটি ড্রাগন।। যুক্তরাষ্ট্রের f22 এবং রাশিয়ার এস ইউ ৫৭ কে টেক্কা দেওয়ার জন্য বানানো হয়েছে এটি।

এই যুদ্ধবিমানের মধ্যে নতুন ইঞ্জিন এবং ড্রোন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। যেখানে যুদ্ধবিমান থেকে চাইলেই লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোনের মাধ্যমে আঘাত আনা যাবে। এতে করে যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শত্রুপক্ষের আস্তানায় অনেক বেশি ক্ষতিসাধন করা সম্ভব হবে।

J20 মাইটি ড্রাগন।

লকহেড মার্টিন f22 র‍্যাপ্টার

বিশ্বের প্রথম ফিফথ জেনারেশন ফাইটারজেট ছিল লকহেড মার্টিন f22 ‍্যাপ্টার। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই বিমানে রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ,স্বল্প পাল্লার বিমান যুদ্ধ।

এমনকি দৃষ্টি শক্তির বাইরে হুমকি শনাক্ত করার মত আধুনিক সেন্সর। এটি শুধু মার্কিন বিমান বাহিনীতেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে মার্কিন বিমান বাহিনী আকাশের মধ্যে নিজেদের আধিপত্য আরও ব্যাপক পরিসরে বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

লকহেড মার্টিন f22 র‍্যাপ্টার

কাই কেএফ ২১ বোরামে

শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি  কাই কেএফ ২১ বোরামে। এটি মূলত দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনীর জন্য দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।

ফিফথ জেনারেশনের এই ফাইটারজেটে রয়েছে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা। যেখানে বহির শত্রুদের আক্রমণ থেকে নিজের দেশ এবং নিজের ভূখণ্ডকে রক্ষা করার অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

কাই কেএফ ২১ বোরামে

শুকই এস ইউ ৫৭

শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের পঞ্চম তালিকার রয়েছে রাশিয়ার শুকই এস ইউ ৫৭ এর। এটি রাশিয়ার প্রথম নিঃশব্দ যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমান শত্রুপক্ষের আস্তানায় নিঃশব্দে অবস্থান করে মূল টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত ছুরে পুনরায় আগের অবস্থানে আসতে পারে।

এতে করে শত্রুপক্ষ জানতে পারে না কোন দিক দিয়ে হামলা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এটির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনেক ব্যাপক হারে ধরা হলেও নির্দিষ্ট কিছু কারণে এই যুদ্ধবিমানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সীমিত করা হয়। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরগুলোতে খুব দ্রুত বাজারে  ছাড়া হবে এই বিমান।

শুকই এস ইউ ৫৭

সেই অ্যাঙ্ক এফসি ৩১ জের ভ্যালকন

তালিকার ৬ নাম্বারে রয়েছে সেই অ্যাঙ্ক এফসি ৩১ জের ভ্যালকন। প্রায় এক দশক আগে প্রথম এর উৎপাদন শুরু হয়। আর মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই পূর্ণ মাত্রায় চালু হবে এই বিমান।

মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই বিমান। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ক্যারিয়ার বিমানের মধ্যে এটাই প্রথম ফিফথ জেনারেশনের। যুদ্ধের কঠিন পরিস্থিতিতে সেনাদেরকে সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল যুদ্ধবিমানটি।

সেই অ্যাঙ্ক এফসি ৩১ জের ভ্যালকন

Boeing f15 EX ঈগল টু

বিশ্বের প্রথম ফোর্থ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান ছিল boeing f15 EX ঈগল টু। ২০২৩ সালে ৫১ তম জন্মদিন পালন করেছে এই যুদ্ধবিমান।

এটি বিশ্বের একমাত্র যুদ্ধবিমান যার রেকর্ড হলো একটিও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া ১০০ এর ফাইট জয়। এখনো ইঞ্জিন এবং রাডার সহ নানান রকম উন্নয়ন কাজ চলছে এই বিমানের।

Boeing f15 EX ঈগল টু

ইউরো ফাইটার টাইফন

ইউরো ফাইটার টাইফন ইউরোপের যৌথ বাহিনীর জন্য তৈরি একটি যুদ্ধবিমান। তবে এখন ইউরোপের বাইরে কাতার এবং সৌদি আরবের বিমান বাহিনীতেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই যুদ্ধবিমান।

এটির মূল কারণ হলো এটি বিশ্বের সর্বাধিক ফোর্থ জেনারেশন ফাইটারজেট।এই বিমানের সর্বশেষ সংস্করণ ট্রান্স থ্রি বাজারে এসেছে ২০২০ সালে। টাইফন ইউরোপে এতটাই সফলতা পেয়েছে যে ৫ম জেনারেশন বাদ দিয়ে সরাসরি সিক্স জেনারেশনের বিমান তৈরীর দিকে মনোযোগ দিয়েছে তারা।

ইউরো ফাইটার টাইফন

ড্যাশ সল্ভড রেফেইনের

ইউরো ফাইটারজেটের এর কাছাকাছি  ড্যাশ সল্ভড রেফেইনের। এটি হলো একটি ফরাসি যুদ্ধবিমান। নিজেদের ব্যবহারের জন্য দেশটি এটি তৈরি করলেও পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের কাছে এই যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছে ফ্রান্স।

ড্যাশ সল্ভড রেফেইনের

সুকই এস ইউ ৩৫ এস

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের ১০ তালিকায় রাশিয়া সুকই এস ইউ ৩৫ এস এর অবস্থান। এটি 4.5 জেনারেশন সক্ষমতার একটি যুদ্ধবিমান। সুকই সিরিজের এখন প্রজন্ত অ্যাকশনে থাকা সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান এটি।

সুকই এস ইউ ৩৫ এস

বন্ধুরা বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনীতে থাকা যুদ্ধ বিমান গুলো সম্পর্কে আজকের আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

পাশাপাশি ভুরাজনৈতিক সকল বিষয় জানতে চাইলে আমাদের সাইটটির সঙ্গে থাকুন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান কোনটি

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।