তথ্য ও প্রযুক্তি

ইলন মাক্সের যে ৫টি প্রজেক্ট পুরো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে

ইলন মাক্সের বিখ্যাত প্রজেক্ট কি কি

ইলন মাক্সের বিখ্যাত প্রজেক্ট কি কি! হ্যালো বন্ধুরা, এমন একটি রকেট যেটি স্পেসে গিয়ে সুরক্ষিতভাবে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং তার ব্যবহার দ্বিতীয়বার করা যায়।

নাসার মতো এজেন্সিরও বিষয়টি অদ্ভুত লেগেছিল। এ কারণে তারা ইলন মাক্সকে নিয়ে মজাও করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই এজেন্সিই মিলন মাক্সের এসপেস এক্স দিয়ে তাদের অ্যাস্ট্রোনয়েডদের মহাকাশে পাঠাচ্ছে। পেট্রোলের দাম ১০০ পার হয়েছে এখন একজন সাধারণ ব্যক্তি রাস্তায় চলবে কিভাবে?

আর সেটির একটি উপায় রয়েছে ইলোন মাক্সের কাছে।এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে ইলন মাক্সের এমন পাঁচটি প্রজেক্ট সম্পর্কে জানাবো যা সুদূর ভবিষ্যতে আমাদের জীবনকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দেবে।

১/ স্পেস এক্স

ইলন মাক্সের বিখ্যাত প্রজেক্ট কি কি স্পেস এক্স একটি অ্যারো এক্সপ্রেস মেনুফ্যাকচারার এয়ার স্পেস ট্রান্সফরমেশন কোম্পানি। যেটাকে ইলোন মাক্সের মাধ্যমে ২০০২ সালে স্থাপন করা হয়। আসলে ইলোন মাক্স এয়ার ট্রাভেলকে সহজলভ্য করার জন্য রি ইউজফুল রকেট বানাতে চেয়েছিল। আর সে তার এ আইডিয়া অনেক বড় বড় স্পেস এজেন্সি কেউ বোঝানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু সে সময় কেউ তার কোথায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়নি। আর এ কারণেই ইলন তার নিজের এয়ার স্পেস কোম্পানি বানানোর কথা ভাবে। ইলন মাক্স রি ইউজফুল রকেট বানিয়ে পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেয়। কেননা সে এমন কিছু করে দেখিয়েছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় এজেন্সিও সেটা কল্পনাও করতে পারিনি।

আসলে ইলন মাক্স  express travel কে সস্তা করে সাধারণ মানুষের জন্য space transformation এর রাস্তা বানাতে চায়। কেননা তার লক্ষ্য সাধারণ মানুষকে মহাবিশ্বে ভ্রমন করা। এগুলো ছাড়াও ইলোন মাক্সের আরেকটি বড় স্বপ্ন হল মঙ্গল গ্রহকে মানুষ বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা।

মানুষ যেন মঙ্গল গ্রহকে তার নতুন বাড়ি হিসেবে গড়ে নিতে পারে। আর এজন্যই তিনি স্পেস এক্স এ এমন কিছু পাওয়ারফুল রকেট বানানোর উপর কাজ করেন যা আমাদের নিয়ে অনেক সুরক্ষিতভাবে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে পারে। ইলনের বক্তব্য সেদিন বেশি দূরে নয় যখন আমরা মানুষেরা মঙ্গল গ্রহে প্রথম পা রাখবো।

২/ টেসলা

বন্ধুরা যেখানে ইলন মাক্সের কথা বলা হচ্ছে সেখানে টেসলার কথা বলা হবে না এমনটা হতে পারে না। কেননা এটি সেই কোম্পানি যে ইলনকে সবথেকে বেশি বিখ্যাত আর সফলতা এনে দিয়েছে। এমনিতে টেসলা সম্পর্কে আপনারা সবাই অবশ্যই জানেন। তবে যারা জানেন না তাদেরকে আমি বলে দেই টেসলা হল একটি ইলেকট্রনিক ভেরিকল আর ক্লিন এনার্জি তৈরিকৃত কোম্পানি।

আর ইলন এই কোম্পানির সিইও এবং প্রজেক্ট আর্কিটেক। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে ইলনের এই কোম্পানি বর্তমানের চেয়ে ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি কার তৈরি করে থাকে। টেসলা সাধারণত ইলেকট্রিক কার বানায় যা সাধারণত পৃথিবীতে খুব বেশি অ্যাভেলেবেল নয়।

তবে ভবিষ্যতে যখন পৃথিবী থেকে ফসেল ফিউল সংগ্রহ শেষ হয়ে যাবে তখন পৃথিবীতে ইলেকট্রিক কারের ব্যবহার বেড়ে যাবে এবং এর সাথে সাথে ইলনের এই কোম্পানি সেলস ড্রাইভিং কার্ড তৈরি করার জন্য অনেক বেশি প্রচেষ্টা করছে। আর এক্ষেত্রেও তারা অনেক অংশে সফলতা পেয়ে গেছে।

আরেকটি বিষয় আপনাদের জানানো দরকার যে মার্কেট ক্যাপের হিসাব অনুযায়ী টেসলা বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে ভেলুভেল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। আর খুব জলদি বাংলাদেশেও এরকম কার দেখতে পাওয়া যাবে।

৩/ হাইপারলুপ

আপনারা মানুষজনকে অনেকবার বলতে শুনে থাকবেন যে ভবিষ্যতে আমরা অনেক দ্রুত মানে সুপারসনিক গতিতে ভ্রমণ করব। এটি সম্ভব কিভাবে হবে এর জবাব কারো কাছেই নেই।

যদিও মিলন মাক্স পৃথিবীর এমন প্রথম মানুষ যে সুপারসনিক গতিতে ট্রাভেল করার জন্য একটি ট্রান্সপোর্টেশন মাধ্যমের উপর কাজ করা শুরু করেছে। আর ইলন এই প্রজেক্টের নাম দিয়েছে হাইপারলুপ। আসলে হাইপারলুপ মাটির গভীর দিয়ে চলা অনেক গতি সম্পূর্ণ একটি ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম।

এর জন্য মাটির নিচে স্পেশাল টানেল বানানো হবে। যার ভিতরে ম্যাগনেটিভ এক্সেলেটর পাওয়ার এর সাহায্যে একটি হাইপার ট্রেন চলবে। যেহেতু এই টানেলের লো প্রেসার টিউব থাকবে এ কারণে এখানে বাতাস থেকে হওয়া ফ্রিক্সন টাই হবেনা। আর কোন প্রকার ফ্রিক্সন টাই না হওয়ার ফলে এই ট্রেনটি অনেক বেশি গতিতে ভ্রমণ করতে পারবে।

এমনও বলা হচ্ছে যে এর মাধ্যমে মানুষ ৯০০ থেকে ১৫০০ প্রতি ঘন্টা স্পিডে ট্রাভেল করতে পারবে। যা পৃথিবীতে চলা যেকোন এয়ার প্লেনের গতির থেকেও অনেক বেশি।

৪/ দ্য বোরিং কোম্পানি

দ্য বোরিং কোম্পানি আমেরিকার একটি টানেল কন্সট্রাকশন কোম্পানি। যেটা ইলন মাক্সের মাধ্যমে ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এই কোম্পানিটি বানানোর চিন্তা ইলন মাক্সের মাথায় একটি ট্রাফিকে আটকে থাকার ফলে এসেছিল।

আসলে ইলন মাক্সের এই কোম্পানিটি পৃথিবী থেকে ট্রাফিক সমস্যা দূর করতে বানানো হয়েছে। এ কোম্পানির প্রধান কাজ হল মাটির নিচে করা ট্রান্সপোর্টেশনের জন্য বড় বড় টানেল বানানো। কেননা ইলন এটা মনে করে যে রাস্তা থেকে ট্রাফিকের সমস্যা তখনই শেষ হবে যখন আমাদের ট্রান্সপোর্টকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া যাবে এবং ইলন মাক্সের বক্তব্য যে, সে খুব দ্রুত আন্ডারওয়ার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম লঞ্চ করবে। আর এই প্রজেক্টের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে ট্রাফিকের সমস্যা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

৫/ সোলার সিটি

সোলারসিটি হলো একটি সোলার প্যানেল আর সোলার রুক্টাইস বানানোর কোম্পানি। যেটা টেসলা ২০১৬ সালে কিনেছিল। ইলন মাক্স সেই কোম্পানির চেয়ারম্যান। আর এর মাধ্যমে সে পৃথিবীতে ক্লিন এনার্জি দিয়ে পলিউশন ফ্রি ইনভারমেন্ট দিতে চায়। আসলে টেসলা এই কোম্পানিটি কিনে নেওয়ার আগে এই কোম্পানি লোকসানের কারণে বন্ধ হতে চলেছিল।

কিন্তু ইলনের পরিশ্রমে এই কোম্পানির মাঝে আবার প্রাণ ফিরে এসেছে। সে শুধু এই কোম্পানির প্রোডাক্ট আর সার্ভিস রেন্স বাড়িয়েছে এমনটা নয় বরং তার মূল্য অনেক কম করে দিয়েছে। এটি অনেক বেশি মানুষের মাঝে পৌঁছাতে পেরেছে। ইলন মাক্স মিডিল ক্লাস মানুষদেরকে টার্গেট করার জন্য অনেক সস্তা সোলার গ্রুপ টাউলস ক্রিয়ট লঞ্চ করে। যা সত্তা হওয়ার সাথে সাথে ইন্সটল করাও খুব সহজ। আর এই প্রজেক্টের মাধ্যমে মানুষ অনেক কম টাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারছে এবং ধীরে ধীরে এই প্রজেক্ট পুরো পৃথিবীতে লঞ্চ করা হচ্ছে।

বন্ধুরা উপরোক্ত ইলন মাক্সের এসব প্রজেক্ট আপনার কেমন লাগে এবং পৃথিবীকে কতটুকু সুরক্ষা দিতে পারবে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। পাশাপাশি ইলন মাক্সের এরকম ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের সাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।