ব্যবসায় উদ্যোগ

৬০ বিঘা জমির বেশি থাকলে হতে পারে ৭ বছরের কারাদণ্ড   

কেন ৬০ বিঘার বেশি জমি রাখা যাবে না

কেন ৬০ বিঘার বেশি জমি রাখা যাবে না! উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কিংবা ব্যক্তিগত যেভাবেই হোক ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমি কেউ রাখতে পারবে না। তা ছাড়া দখল নয় দলিল যার জমি তার। অন্যের জমি দখল করলে হয়ে পারে শাস্তি এবং জরিমানা। নতুন ভূমি আইনে এমন সব বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

একজন ব্যক্তির যদি ৬০ বিঘা জমি থাকে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি যদি আরও জমি পেয়ে থাকেন আর সব মিলিয়ে সেই জমির পরিমাণ যদি ৬০ এর বেশি হয় তাহলে বাকি জমি সরকার ক্ষতিপুর দিয়ে খাস করিয়ে নিতে পারবে। অথবা ব্যক্তি চাইলেই নিজে তা বিক্রি করে দিতে পারবে। এরকম অধ্যাদেশ ছিল এরশাদ সরকারের আমলে। কিন্তু বাকি জমি সরকার কিভাবে অধিগ্রহণ করবে বা ব্যক্তি ছেড়ে দেবে তার কোন নীতিমালা ছিল না। আর সে কারণেই সেই অধ্যাদেশ কার্যকর হয়নি।

কিন্তু এবার সেই অধ্যাদেশ পরিণত হলো আইনে। ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ নামে সেই আইন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন এবার আইনের পর সেই বিধিমালা করা হচ্ছে। ফলে থাকছে না ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমি রাখার সুযোগ। তবে সমবায়, শিল্প কারখানা, প্রতিষ্ঠান এর বেশি জমি চাইলেই ব্যবহার করতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রী বলেছেন সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কি কারণে এত বেশি পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অবশ্যই ভূমি অফিসকে জানাতে হবে। আর যদি তারা ৬০ বিঘার বেশি জমি অধিগ্রহণ করার পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইননানক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভূমি মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে এই জমি রাখার পরিমাণটি ছিল ১০০ বিঘা। পরবর্তীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এরশাদ সরকার এই জমির পরিমাণ করেছে ৬০ বিঘা।

পাশাপাশি এখন আর দখলে থাকলে কেউ জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে না। এজন্য থাকতে হবে দলিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালেও তা নিষ্পত্তি করতে হবে ১০০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে। কারো বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রী বলেছেন, মামলার পরিমাণ অনেক কমে আসবে এবং খুব দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তিক করা সম্ভব হবে।

জমির উপরের তলের মাটি কেউ তুলে বিক্রি বা ব্যবহার করতে হলে সেখানে অনুমতি নিতে হবে জেলা  প্রশাসক কার্যালয়ের। আইন অমান্য করলে দিতে হবে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।