তথ্য ও প্রযুক্তি

ভূমিকম্প তৈরি করতে পারে আমেরিকা, কোথায় বসিয়েছে এই অস্ত্র

ভূমিকম্প কি কারণে হয়

ভূমিকম্প কি কারণে হয়! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাণ কারী প্রতিষ্ঠান রেথিয়ন ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপেন DEW তৈরি করেছে। এই অস্ত্রের নাম আমাদের অনেকের কাছেই নতুন।

আমাদের চেনাজানা অস্ত্রে যেমন গুলি, বোমা,মিসাইল ব্যবহৃত ব্যবহৃত হয় ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপেনে ব্যবহার করা হয় হাইলি ফোকাস এনার্জি। এমন সনিক ডিরেক্টেড এনেরজি এর ব্যবহার আমরা এডওয়ার্ড-নটন অভিনীত  ইনক্রেটেবল হাল্ক সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু অস্ত্রটি হাল্কের মত কাল্পনিক নয় বাস্তব।

কতটা বাস্তব এবং ভয়ংকর তাই জানা গেছে এবার রেথিওনের একজন কর্মকর্তা নাম এরিক হ্যাকার তার কোম্পানির হাতে থাকা একটি ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপেনের সভ্যতা ধ্বংস করার ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে রেথিওনের হাতে এই অস্ত্রের এমন শক্তিশালী সংস্করণ আছে যা দিয়ে পৃথিবীর যেকোন স্থানে ভূমিকম্প সৃষ্টি করা সম্ভব।

এতদিন তো ভূমিকম্পকে পুরোপুরি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে জেনে এসেছি। তাহলে এখন এ কেমন খবর আনলেন রেথিওনের কর্মকর্তা এরিক হ্যাকার। রেথিওনের অ্য্যান্টেরটিকা ফ্যাসিলিটিতে ২০১০ থেকে ২০১১ প্রায় এক বছর থাকাকালে পেশাগত কারণে সেখানকার মেনুফ্যাকচারিং সেকশনের প্রায় সবখানে এরিকের প্রবেশাধিকার ছিল। সেখানে তিনি এমন প্রযুক্তির দেখা পেয়েছেন যার অস্তিত্ব আছে মানতে আপনার আমার  কষ্ট হবে।

আইস কিউব নিউট্রিন ডিটেক্টর নাম দিয়ে এই টেকনোলজিকে যত সহজ ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তা আসলে তা নয়। এরিক জানিয়েছেন এক ঘন কিলোমিটার আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপটি একই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ডিটেক্টেড এনার্জি ওয়েপেন।

এটি ব্যবহার করে ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইসচর্যে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটানো হয়েছে। এরিক হ্যাকার বলেছেন ঘটনার দিনে ঐ কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিরাই তাকে জানিয়েছিলেন যে দুর্ঘটনাবশত এটি হয়ে গেছে। তবে তিনি এটা নিশ্চিত করেছেন যে আঘাতটা পৃথিবীরি কোথাও না কোথাও করার পরিকল্পনা তো অবশ্যই ছিল।

এন্টারটিকার ডিরেক্টেড এনার্জি  ওয়েপেন নাকি ২ হাজার ৪৭ ভোল্ট শক্তি পরিবহন হতে পারে। এর মূল কাজ নিউট্রিনো ডিটেক্ট করা। মহাবিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই নিউট্রিনো ব্যবহার করে সিগনাল পাঠানো হলে তা এই আইস কিউব নিউট্রিনো ডিটেক্টরে ধরা পড়ে।

কোন কোয়াজার বা কোন এলিয়েন স্পেসশিপের ইঞ্জিন থেকে নিউট্রিনো এলে ডিভাইসটি তা বুঝতে পারবে। এটিকে আলোচনার বাইরে থাকা জানের এয়ার ক্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টার বলেছেন এরিক হ্যাকার। তার মতে সম্পূর্ণ অন্য ক্ষমতার এয়ারক্রাফিক্স কন্ট্রোল সিস্টেম এই পৃথিবীতেই কোথাও না কোথাও তৈরি করে রাখা হয়েছে। কোয়ান্টাম  এন্টাংগেল্ট কমিউনিকেশনের কাজেও ব্যবহার করা যায় এই নিউট্রিনো ডিটেক্টরটি।

এর সাহায্যে যেকোনো দূরত্বে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। প্রশ্ন হল এত অ্যাডভান্স কমিউনিকেশন কেন দরকার। এর ব্যাখ্যা হিসেবে এরিক হ্যাকার বলেন সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর গ্যারি ম্যাককিনন ৯০ এর দশকে নাসার কম্পিউটার হ্যাক করার সময় পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে থাকা সেনা দলের কথা জানতে পেরেছিলেন।

এমন স্পেসশিপ যদি থেকেই থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কোয়ান্টাম  এন্টাংগেল্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম প্রয়োজন। এন্টারটিকার আইস কিউট নিউট্রিনো ডিটেক্টর সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নিকোলা টেসলা যখন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন তখন এর উৎপত্তি ও কারিগরি ব্যাপারগুলো না বুঝেই মানুষ ব্যবহার শুরু করেছেন বলছেন এরিক হ্যাকার। তার বক্তব্য নিউট্রিনো ডিটেক্টর বা আর্থ ওয়েট ওয়েপেন কিভাবে কাজ করে তা আমাদের পরে বুঝলেও হবে। তবে আপাতত মনে রাখতে হবে এমন অস্ত্র আমেরিকার কাছে আছে। যে অস্ত্র ব্যবহার করে আমেরিকা চাইলেই পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ভূমিকম্প ঘটাতে সক্ষম।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।