Uncategorized

হ্যাপি নিউ ইয়ার এর ইতিহাস ও রোমানিয় সভ্যতা

হ্যাপি নিউ ইয়ারের ইতিহাস

হ্যাপি নিউ ইয়ারের ইতিহাস! হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। দেখতে দেখতে আরেকটি বছর বিদায় নিলো। আমরা সকলেই নতুন বছরে পদার্পণ করার জন্য অধীর অপেক্ষায় অপেক্ষমান আছি।

আমরা সকলেই জানি নতুন বছর মানেই পুরনোকে ভুলে নতুনকে বরণ করে নেওয়া। সেই সঙ্গে নিজের ভবিষ্যৎ, সমাজ, দেশ পরিবার সহ সমগ্র পৃথিবীর উন্নয়ন সাধন এবং কার্যকারির লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন বছরের দিনটি আমরা শুরু করে থাকি। আমরা এই নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আতশবাজি ফোটানো সহ হরেক রকমের খানাপিনার আয়োজন করে থাকি। যেটি একটি সাংস্কৃতির অংশ হিসেবে আমাদের জীবনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে।

এমনকি অনেকেই রয়েছে এই দিনটিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেড়াতে যাওয়া ছাড়াও প্রিয়জনকে হ্যাপি নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। আমরা কি জানি যে দিনটিতে আমরা এত আনন্দ করে থাকি এই হ্যাপি নিউ ইয়ার কিভাবে এলো। আর কিভাবেইবা জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখ হ্যাপি নিউ ইয়ার এর দিন বলে ধার্য করা হলো। হ্যাঁ আজকে আমরা এই বিষয়ে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই হ্যাপি নিউ ইয়ার এর ইতিহাস।

হ্যাপি নিউ ইয়ার কিভাবে এলো

ব্যাবিলনীয় সভ্যতা

বর্ষবরণ উৎসবকে বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে প্রাচীন উৎসব। আর এই উৎসবটি পালন করা হতো প্রায় ৪ হাজার বছর আগে। খ্রিস্টপূর্ব ২ হাজার বছর নাগাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে মেসোপটিমিয়ান সভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে।

হ্যাপি নিউ ইয়ারের ইতিহাস তখনকার সময়ে মেসোপটিমিয়ান সভ্যতাকে মোট ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। যেমন সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসরিয় সভ্যতা ও ক্যালডিয় সভ্যতা। এই ৪টি সভ্যতার মধ্যে হ্যাপি নিউ ইয়ার উৎসব পালন করা হতো ব্যাবিলনীয় সভ্যতায়। তবে তখনকার সময়ে জানুয়ারিকে নয় তারা বসন্তের প্রথম দিনকে হ্যাপি নিউ ইয়ার এর দিন বলে মনে করত।

আর এই দিনটি তারা নির্ধারণ করত আকাশের চাঁদ দেখে। অর্থাৎ যেদিন রাতে বসন্তের চাঁদ তারা দেখতে পেতো ঠিক তার পরের দিন থেকে তারা টানা ১১ দিন হ্যাপি নিউ ইয়ার উৎসব পালন করতো। আর এই ১১ দিনের তাৎপর্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন।

রোমান সভ্যতা

বর্ষবরণ বা নিউ ইয়ার পালন করতো রোমানিরাও। তবে রোমান সাম্রাজ্যে হ্যাপি নিউ ইয়ার পালন করা হতো মার্চের প্রথম দিন। আর এদের অবশ্য একটি ক্যালেন্ডারও ছিল। রোমানদের এই ক্যালেন্ডারে মাসের সংখ্যা ছিল ১০টি। যেখানে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস উল্লেখ করা ছিল না। পরে অবশ্য  নুমা পন্টিলাস নামের এক বিখ্যাত সম্রাট সেই ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস যুক্ত করে ১২ মাসে এক বছর বলে ঘোষণা করে।

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে হ্যাপি নিউ ইয়ার এর দিনটিকে ২৬ শে মার্চ ধরে এই উৎসবটি পালন করা হতো। পরে যখন রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন আরো দুইটি মাস যোগ করা হয় তখন জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখে হ্যাপি নিউ ইয়ার এর দিন বলে ঘোষণা করা হয়। আর তখন থেকে ঠিক করা হয় জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি হ্যাপি নিউ ইয়ারের দিন বলে পালন করা হবে।

কিন্তু রোমানরা ১ জানুয়ারি হ্যাপি নিউ ইয়ারের দিন ধার্য করা হলেও তারা পূর্বের নিয়মে পহেলা মার্চ হ্যাপি নিউ ইয়ারের দিন পালন করে আসতে থাকে। পরে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য জুলিয়াস সিজার ৩৬৫ দিনে ১ বছর ঘোষণা করে। অর্থাৎ তিনি তখন সূর্যের উপর নির্ভর করে দিন গণনা শুরু করে। আর এর আগে চন্দ্রের উপর নির্ভর করে দিন গণনা করা হতো। সূর্যের উপর নির্ভর করে দিন গণনা করার ফলে দেখা গেল সকল দিন এবং বছরের সঠিক মিল পাওয়া যাচ্ছে।

এর পরে অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস বেশ কিছু সমস্যা দূর করে এবং এরপর থেকেই আজ অব্দি জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখ হ্যাপি নিউ ইয়ারের দিন বলে পালন করা হয়। তখন এই ক্যালেন্ডারটি নাম দেওয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারযা। যা প্রায় ৪৩২ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৫২ সালে নির্মাণ করা হয় যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

বন্ধুরা হ্যাপি নিউ ইয়ার নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা যদি হ্যাপি নিউ ইয়ারে আপনার বন্ধুকে মেসেজ, উক্তি, কবিতা সহ অন্যান্য শুভেচ্ছা পাঠাতে চান তাহলে আমাদের পরবর্তী পোস্টগুলো ফলো করতে পারেন ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।