তথ্য ও প্রযুক্তি

২০২৯ সালে অমরত্ব লাভ করবে মানুষ জোরাল দাবি বিজ্ঞানীদের

মানুষ অমূলত্ব লাভ করবে কবে

মানুষ অমূলত্ব লাভ করবে কবে! মানুষ অমূলত্ব লাভ করবে কবে! ২০২৯ সাল থেকে অমর হবে মানুষ। সম্প্রতি এক বিজ্ঞানির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। যা নিয়ে হৈচৈ পরে গেছে সারা বিশ্বে। মূলত জেনেটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, রোবটিকসহ আরো নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মানুষের অমরত্বের ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন এই বিজ্ঞানী। এই বাণী যদি সত্যি হয় তাহলে অমরত্ব ঘটবে মানুষের।

জোরমিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা হবে, মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতার এই লাইনটি  জীব জগতের জন্য চিরসত্য। মানুষকে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে একদিন। কিন্তু শীগ্রই নাকি এই সত্যের বদল ঘটে মানব জাতি অমরত্ব পেতে চলেছে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞানীর গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

গুগলের সাবেক বিজ্ঞানী রেইকাজ ইউলের ভবিষ্যৎবাণী সত্য প্রমাণিত হলে বদলে যেতে পারে পুরো মানব সভ্যতা। জীবন মানেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মহাজাগতিক মায়াকে আঁকড়ে ধরে মানুষের বেঁচে থাকতে চাওয়া যতটা সত্য, ততটা সত্য অনিবার্য মৃত্যু। সব ছেড়ে একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে।

চিরকাল কেউ বেঁচে থাকতে পারবে না। শুধু মানুষই নয় জীবজগতের জন্যই এটি চির সত্য। যুগ যুগ ধরে জন্ম মৃত্যু নিয়ে আমরা যা দেখে এসেছি যা শুনে এসেছি তাই নাকি পরিবর্তন হতে চলেছে। সেই ভবিষ্যৎবাণী। রেইকাজ ইউল ১৪৭ টি ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। যার মধ্যে ৮৫ টিরও বেশি কার্যকর হয়েছে।

২০২৯ সালের মধ্যে মানুষ অমর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৭৫ বছর বয়সী রেইকাজ ইউল একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা চালিয়েছেন। মূলত জেনেটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, রোবটিক্স এবং আরো অনেক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মানুষের অমরত্বের ভবিষ্যৎবাণী করেছেন এই বিজ্ঞানী। যা সম্প্রতি চ্যানেল এডাজিও নামে একটি youtube চ্যানেলের ভিডিওতে পোস্ট করা হয়েছে।

২০০৫ সালে প্রকাশিত রেইকাজ ইউলের বই দ্য সিঙ্গুলারিটি ইজ নেয়ার এ মানুষের অমরত্ব অর্জনের তথ্যটি তিনি জানিয়েছিলেন। সেই ক্ষেত্রে ন্যানোপ্রযুক্তির অগ্রগতির উদ্ধৃতি দিয়ে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ন্যানোপ্রযুক্তি ও রোবটিক্স ন্যানো বোটের জন্মদেবে। যা মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ও টিসুগুলোকে ঠিক করতে থাকবে। ফলে মানুষ মরণকেও প্রতিরোধ করতে পারবে বলে বিশ্বাস এই বিজ্ঞানির। রেইকাজ ইউল

 ভবিষ্যৎ বাণী নিয়ে এবারই প্রথম বিশ্বের মধ্যে আলোরণ তৈরি করেনি। বিভিন্ন সময় তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে শিরোনামের পাতায় এসেছিলেন। যেমন বিশ্বের সেরা দাবা খেলোয়াড় ২০০০ সালের মধ্যে একটি কম্পিউটারের কাছে হেরে যাবে। যা ১৯৯৭ সালে সত্যি প্রমাণিত হয়েছিল। যখন ক্রোয়েশিয়ার গ্যারি কাজ পারে কম্পিউটার ডি ব্লুর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তবে অমরত্বের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আগামী দিনে মানুষ অমর হতে চলেছে কিনা এখন সেটাই হচ্ছে দেখার বিষয়।

বন্ধুরা আপনারা কি মনে করেন মানুষ চিরকাল পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবে। আর যদি এমনটি ঘটে তাহলে পৃথিবীর মধ্যে কি প্রভাব পড়তে পারে। এসব নিয়ে আপনার মন্তব্য আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এবং মানুষের অমরত্ব লাভের আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।